পৃষ্ঠাসমূহ

আবারো ফিরে আসছে হরতালের সংস্কৃতি

আবারো হরতাল ডাকলো বিরোধী দল। বাংলাদেশেরে প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা যেনো এই হরতাল।
তিন বছরের বিরতির পর দক্ষিণ এশীয় প্রতিবাদের হাতিয়ার হরতাল আবার ফিরে এসেছে বাংলাদেশে। দেশের বিরোধী দলীয় জোট গত রোববার থেকে লাগাতার ৩৬ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে।
আমাদের দেশের হরতালের সংস্কৃতি হচ্ছে পূর্বের রাতে মিছিল করে কয়ে
হরতালের পূর্বের রাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায় যখন কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া। যেনো এই খবর রাতারাতি সারাদেশে মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সবার মধ্যে হরতালকে ঘিরে আতংক কাজ করে। তাই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অংশে গাড়ি ও বাস জ্বালিয়ে দেয়া হবে যার ফলে কয়েকজন যাত্রীও বীভৎস ভাবে পুড়ে যাবে।
চলুন তাহলে জানা যাক এই হরতাল সংস্কৃতির কিছু তথ্য:
“গুজরাটী শব্দ “হরতাল” কে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে ব্যবহার করেছেন তা বোধ হয় বিশ্বের কোন দেশই করতে পারেন নি। [..] আর হরতালের আভিধানিক অর্থ যা ই থাকুক না কেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হরতালের সংজ্ঞা হচ্ছে- এদেশ আমার বাপ-দাদার, চাইলেই বন্ধ করে দেব সবকিছু।”
বাংলাদেশের মানুষেরও আত্মার সাথে মিশে গেছে হরতাল। হরতাল আমাদের সংস্কৃতির ও একটা অংশ। হরতালের তারিখ নির্ধারণ মানেই হচ্ছে- আজকে আমার দোকানটা বন্ধ থাকবে, না হয় লুট হবে। আজকে আমার কষ্টার্জিত উপার্জনে কেনা শখের গাড়িটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হবে। হরতাল মানেই হচ্ছে আজকে আমার কাজে যাওয়া হবে না। বড় কর্তার বকুনি। নয়তো ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকা।
এসবই পুরনো কথা। দীর্ঘ প্রায় আড়াই তিন বছর পর আবার শুরু হচ্ছে হরতাল। এ আড়াই তিন বছরে বাংলাদেশের জনগন বোধহয় ভুলেই গিয়েছিলেন হরতাল শব্দটি। এরই ফলে তারা হয়তো আর হরতাল চায় না। কিন্তু তারা না চাইলেই কি হবে, নেতারা তো চান! [..]
মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী কি ভেবে দেখেছেন, হরতাল হলে দেশের একদিনে ক্ষতি কত হবে? কত মানুষের ভোগান্তি হবে? অবশ্য এসব আপনাদের ভাববার কথা নয়, কারণ আপনারা জনগন দিয়ে রাজনীতি করেন জনগণের জন্য নয়। তাই জনগনের কি ক্ষতি হলো তা ভাববার মতো সময় আপনার কোথায়?