এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
আব্দুল মান্নান
আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে যদি কেউ সমর্থন নাও করে, তাহলেও তাকে এই কথা স্বীকার করতেই হবে দুই দলের ছত্র ছায়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। ফলে দুই দলের নীতি ও আদর্শ বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের নীতি ও আদর্শ সম্বন্ধে একটা ধারণা লাভ করা যাবে। মূলতঃ জনগণের নীতি নৈতিকতা বা আদর্শ নিয়ে আলোচনা করা আজকের লিখার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়। বরং বৃহৎ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের নীতি ও আদর্শই হবে আজকের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু।
কোন ব্যক্তি, দল, গোত্র ইত্যাদির সাথে অন্য কোন ব্যক্তি, দল, গোত্রের বেশীর ভাগ বৈশিষ্ট্যের মিল দেখা গেলে বেচারা মুদ্রাকে আমরা টেনে আনি। কোন মুদ্রার দুই পিঠে দুই রকম ছবি দেখলেও মুদ্রাটি কিন্তু একটা অবিভাজ্য বস্তু। দুই রকম ছবি দেখে আমরা বিভ্রান্ত হলেও হতে পারি। কিন্তু মুদ্রা এবং ছবি একই ধাতু থেকে তৈরি হওয়ার কারণে দুই ছবির মধ্যে নাড়ীর মিল থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কাজেই এ লিখাতে বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রমাণ করার চেষ্টা থাকবে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির নাড়ী একটাই।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামে প্রথম দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ হিসাবে পরিচয় দেয়ার লক্ষ্যে দলটি পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ‘আওয়ামীলীগ’ নাম ধারণ করে। আওয়ামীলীগের জন্ম পাকিস্তান আমলে হলেও দ্বিতীয় দলটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের বড় ভূমিকা ছিল যা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। যার ফলে আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীরা বলে থাকেন তাঁরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বিএনপির জন্ম যেহেতু স্বাধীনতার পর সেহেতু দল হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ তাদের ছিলনা। তবে এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একজন মুক্তিযোদ্ধার দ্বারা এবং বহু মুক্তিযোদ্ধা এ দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ দিয়েছেলেন। তাছাড়াও ত্রিশ শতাংশের বেশী সমর্থক আছে যা প্রধানত আওয়ামীলীগ থেকেই আসা। সে হিসাবে এ দলের নেতৃবৃন্দরাও দাবি করে থাকেন তাঁরাও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আবার এটাও সত্য কথিত স্বাধীনতার বিপক্ষের কিছু লোক উভয় দলেও আছে।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগের আন্দোলন দীর্ঘ দিনের। তদানীন্তন পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফিরে আনার ব্যাপারে তাদের অবদান অনস্বীকার্য এবং গণতন্ত্রের মাধ্যমে তারা ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। অপর পক্ষে বিএনপির আত্মপ্রকাশ ঘটে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে এবং তা হয়েছিলে একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সে জন্যে বলা হয়ে থাকে বিএনপি হচ্ছে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটি দল। কিন্তু ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমরা এও দেখেছি কিভাবে একটি দল গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে অগণতান্ত্রিক হয় এবং অগণতান্ত্রিক খোলস পরিবর্তন করে কিভাবে গণতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়।
আওয়ামীলীগের অবিসংবাদিত নেতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ মরহুম শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে এবং চারটি সংবাদ পত্র ছাড়া অন্যগুলিকে বন্ধ করে দিয়ে গণতন্ত্রের গলা কিভাবে চেপে ধরেছিল তাও ইতিহাসে আছে। পক্ষান্তরে অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ১৯৭৬ সালে পলিটিক্যাল পার্টিজ রেগুলেশনের (PPR) আওতায় রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দিয়ে গণতন্ত্রের ধারা ফিরে এনেছিলেন তাও আমাদের জানা। ১৯৮৬ সালে সামরিক ও স্বৈর শাসক জেনারেল এরশাদকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছিল আওয়ামীলীগ। ২০০৮ সালে সামরিক শক্তির বলয়ে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নির্লজ্জ ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আওয়ামীলীগ তাতো চোখের সামনেই রয়েছে। স্বার্থ হাসিলের জন্য উভয় দলই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলিঙ্গন করেছিল সেটাও লিখা রয়েছে। উল্লেখ্য বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটি দল হলেও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসার পর আর অগণতান্ত্রিক পথে পা বাড়াইনি। কিন্তু আওয়ামীলীগ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তা করেছে বার বার।
আওয়ামীলীগ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন এবং বিএনপি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যস্ত। উভয় দলের নেতৃবৃন্দ জনগণের স্বপ্ন নিয়ে ভাবেননা। দল দুটি সাংঘাতিক ভাবে জড়িয়ে পড়েছে পারিবারতন্ত্রে। উভয় দলে বাঘা বাঘা নেতা থাকার পরেও পরিবারের প্রভাব এতটাই প্রবল যে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া অথবা উভয় পরিবারের কোন সদস্য ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দলের প্রধান হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। উভয় দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা নেই।
ডান ও বামের সুন্দর সংমিশ্রণে গঠিত হয়েছে দুই দলের নেতৃত্ব। এক সময় যাঁরা বাম ঘরানার তুখোড় নেতা ছিলেন তাঁরা এখন তাঁদের আদর্শকে মিছে-মিছি জলাঞ্জলি দিয়ে দুই নেত্রীর আঁচলের ছায়া মাড়ানোর চেষ্টা করছেন। দুই দলের প্রতিষ্ঠাতাগণ চিন্তা-চেতনায় ছিলেন ডান ঘরানার। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা এতটাই করুণ যে বামের ঠেলায় স্ব স্ব দলের মূল চেতনাকে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। বামদের সুন্দর যুক্তিও প্রণিধানযোগ্য। এত লম্বা সময় ধরে দলে থাকার পরেও তারা কিভাবে বাম থাকে। কিন্তু তাঁরা কৌশলে তাঁদের আদর্শের অনেক কিছুই ঢুকিয়ে দিচ্ছে জাতীয় বিভিন্ন নীতিমালার মধ্যে। জ্বলন্ত প্রমাণ শিক্ষানীতি ও নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১। অন্যদিকে বিএনপির আমলে ধর্মীয় মূলবোধের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধা প্রদান ছিল বামদের একই ধরনের খেলা।
আওয়ামীলীগ ঢাক-ঢোল পিটে প্রচার করে দলটি সেক্যুলারেজমের ধারক ও বাহক। পক্ষান্তরে বিএনপি সেক্যুলার দল হলেও দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্যে ঘুরে-ফিরে কথা বলে বুঝানোর চেষ্টা করে তারা ধর্মীয় মূলবোধে বিশ্বাসী। আওয়ামীলীগ সেক্যুলারেজমের আদর্শ ধারন করতে যে অক্ষম তা সংবিধান সংশোধন করতে গিয়ে তাদের নীতিগত অবস্থানের দোদুল্যমানতা তার প্রমাণ বহন করে। অপর দিকে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অথবা বাইরে থেকেও ধর্মীয় মূলবোধ রক্ষার্থে কিছুই করেনি। বিসমিল্লাহ্, আল্লাহর উপর আস্থা এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে উভয় দলের মধ্যে চমৎকার মিল রয়েছে।
এক দল বাঙ্গালী এবং অন্য দল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী বলি আর কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী আইন প্রণয়ন করবোনা বলি, জাতীয়তাবাদী হিসাবে দাবি করলে ধর্মীয় মূল্যবোধে এবং কুরআন-সুন্নাহর উপস্থাপিত চেতনার সাথে তা হবে সাংঘর্ষিক। কুরআন-সুন্নাহ্ জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে মত দেয়। কুরআনের আহবান পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য।
উভয় দলই ধর্মের নয়, ধর্মের নামে রাজনীতি করে। নির্বাচনের আগে কিছু কিছু তথাকথিত আলেমদেরকে সাথে রাখা এবং ইসলামী দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া, কোন পীরের মাজার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা, রাজনীতিকগণের দোয়ার জন্য মাথায় টুপি দেয়া ইত্যাদি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো ছাড়া আর কিছুই না। দুই দলের লোক দেখানো ধর্মপ্রীতির ব্যাপারে আরো উদাহরণ দেয়া যাবে। রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানোই হচ্ছে ধর্মের নামে রাজনীতি এবং উভয় দলই একাজে পারদর্শী।
আপাতদৃষ্টিতে বিএনপিকে ভারত বিরোধী মনে হলেও অতীতে দেশ পরিচালনার সময় ভারত তোষণ নীতি কারোর চোখকে ফাঁকি দিতে পারবেনা। আর এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের কথা না বলাই ভাল।
উরোক্ত বিষয়গুলি দিকে খেয়াল রাখলে যে কোন মানুষ সহজেই অনুমান করতে পারবে দল দুটির মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু একটাই আর তা হলো ক্ষমতার লড়াইয়ে দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধাচরণ করা।
দেশের অধিকাংশ মানুষের দুই দলের প্রতি সমর্থন থাকলেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, একথা স্বীকার করতেই হবে দুই দলের মাধ্যমে দেশে গুণগত কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। বিগত চল্লিশ বছরের কর্ম কান্ডই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যাদের নির্দিষ্ট কোন আদর্শ নেই তাদের কাছে ভাল কিছু আশা করা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই না। তাই সময় এসেছে দেশের স্বার্থে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের সন্ধানে নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক দল বেছে নেয়ার।
আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে যদি কেউ সমর্থন নাও করে, তাহলেও তাকে এই কথা স্বীকার করতেই হবে দুই দলের ছত্র ছায়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। ফলে দুই দলের নীতি ও আদর্শ বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের নীতি ও আদর্শ সম্বন্ধে একটা ধারণা লাভ করা যাবে। মূলতঃ জনগণের নীতি নৈতিকতা বা আদর্শ নিয়ে আলোচনা করা আজকের লিখার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়। বরং বৃহৎ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের নীতি ও আদর্শই হবে আজকের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু।
কোন ব্যক্তি, দল, গোত্র ইত্যাদির সাথে অন্য কোন ব্যক্তি, দল, গোত্রের বেশীর ভাগ বৈশিষ্ট্যের মিল দেখা গেলে বেচারা মুদ্রাকে আমরা টেনে আনি। কোন মুদ্রার দুই পিঠে দুই রকম ছবি দেখলেও মুদ্রাটি কিন্তু একটা অবিভাজ্য বস্তু। দুই রকম ছবি দেখে আমরা বিভ্রান্ত হলেও হতে পারি। কিন্তু মুদ্রা এবং ছবি একই ধাতু থেকে তৈরি হওয়ার কারণে দুই ছবির মধ্যে নাড়ীর মিল থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কাজেই এ লিখাতে বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রমাণ করার চেষ্টা থাকবে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির নাড়ী একটাই।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামে প্রথম দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ হিসাবে পরিচয় দেয়ার লক্ষ্যে দলটি পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ‘আওয়ামীলীগ’ নাম ধারণ করে। আওয়ামীলীগের জন্ম পাকিস্তান আমলে হলেও দ্বিতীয় দলটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের বড় ভূমিকা ছিল যা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। যার ফলে আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীরা বলে থাকেন তাঁরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বিএনপির জন্ম যেহেতু স্বাধীনতার পর সেহেতু দল হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ তাদের ছিলনা। তবে এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একজন মুক্তিযোদ্ধার দ্বারা এবং বহু মুক্তিযোদ্ধা এ দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ দিয়েছেলেন। তাছাড়াও ত্রিশ শতাংশের বেশী সমর্থক আছে যা প্রধানত আওয়ামীলীগ থেকেই আসা। সে হিসাবে এ দলের নেতৃবৃন্দরাও দাবি করে থাকেন তাঁরাও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আবার এটাও সত্য কথিত স্বাধীনতার বিপক্ষের কিছু লোক উভয় দলেও আছে।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগের আন্দোলন দীর্ঘ দিনের। তদানীন্তন পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফিরে আনার ব্যাপারে তাদের অবদান অনস্বীকার্য এবং গণতন্ত্রের মাধ্যমে তারা ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। অপর পক্ষে বিএনপির আত্মপ্রকাশ ঘটে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে এবং তা হয়েছিলে একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সে জন্যে বলা হয়ে থাকে বিএনপি হচ্ছে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটি দল। কিন্তু ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমরা এও দেখেছি কিভাবে একটি দল গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে অগণতান্ত্রিক হয় এবং অগণতান্ত্রিক খোলস পরিবর্তন করে কিভাবে গণতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়।
আওয়ামীলীগের অবিসংবাদিত নেতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ মরহুম শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে এবং চারটি সংবাদ পত্র ছাড়া অন্যগুলিকে বন্ধ করে দিয়ে গণতন্ত্রের গলা কিভাবে চেপে ধরেছিল তাও ইতিহাসে আছে। পক্ষান্তরে অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ১৯৭৬ সালে পলিটিক্যাল পার্টিজ রেগুলেশনের (PPR) আওতায় রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দিয়ে গণতন্ত্রের ধারা ফিরে এনেছিলেন তাও আমাদের জানা। ১৯৮৬ সালে সামরিক ও স্বৈর শাসক জেনারেল এরশাদকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছিল আওয়ামীলীগ। ২০০৮ সালে সামরিক শক্তির বলয়ে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নির্লজ্জ ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আওয়ামীলীগ তাতো চোখের সামনেই রয়েছে। স্বার্থ হাসিলের জন্য উভয় দলই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলিঙ্গন করেছিল সেটাও লিখা রয়েছে। উল্লেখ্য বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটি দল হলেও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসার পর আর অগণতান্ত্রিক পথে পা বাড়াইনি। কিন্তু আওয়ামীলীগ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তা করেছে বার বার।
আওয়ামীলীগ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন এবং বিএনপি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যস্ত। উভয় দলের নেতৃবৃন্দ জনগণের স্বপ্ন নিয়ে ভাবেননা। দল দুটি সাংঘাতিক ভাবে জড়িয়ে পড়েছে পারিবারতন্ত্রে। উভয় দলে বাঘা বাঘা নেতা থাকার পরেও পরিবারের প্রভাব এতটাই প্রবল যে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া অথবা উভয় পরিবারের কোন সদস্য ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দলের প্রধান হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। উভয় দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা নেই।
ডান ও বামের সুন্দর সংমিশ্রণে গঠিত হয়েছে দুই দলের নেতৃত্ব। এক সময় যাঁরা বাম ঘরানার তুখোড় নেতা ছিলেন তাঁরা এখন তাঁদের আদর্শকে মিছে-মিছি জলাঞ্জলি দিয়ে দুই নেত্রীর আঁচলের ছায়া মাড়ানোর চেষ্টা করছেন। দুই দলের প্রতিষ্ঠাতাগণ চিন্তা-চেতনায় ছিলেন ডান ঘরানার। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা এতটাই করুণ যে বামের ঠেলায় স্ব স্ব দলের মূল চেতনাকে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। বামদের সুন্দর যুক্তিও প্রণিধানযোগ্য। এত লম্বা সময় ধরে দলে থাকার পরেও তারা কিভাবে বাম থাকে। কিন্তু তাঁরা কৌশলে তাঁদের আদর্শের অনেক কিছুই ঢুকিয়ে দিচ্ছে জাতীয় বিভিন্ন নীতিমালার মধ্যে। জ্বলন্ত প্রমাণ শিক্ষানীতি ও নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১। অন্যদিকে বিএনপির আমলে ধর্মীয় মূলবোধের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধা প্রদান ছিল বামদের একই ধরনের খেলা।
আওয়ামীলীগ ঢাক-ঢোল পিটে প্রচার করে দলটি সেক্যুলারেজমের ধারক ও বাহক। পক্ষান্তরে বিএনপি সেক্যুলার দল হলেও দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্যে ঘুরে-ফিরে কথা বলে বুঝানোর চেষ্টা করে তারা ধর্মীয় মূলবোধে বিশ্বাসী। আওয়ামীলীগ সেক্যুলারেজমের আদর্শ ধারন করতে যে অক্ষম তা সংবিধান সংশোধন করতে গিয়ে তাদের নীতিগত অবস্থানের দোদুল্যমানতা তার প্রমাণ বহন করে। অপর দিকে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অথবা বাইরে থেকেও ধর্মীয় মূলবোধ রক্ষার্থে কিছুই করেনি। বিসমিল্লাহ্, আল্লাহর উপর আস্থা এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে উভয় দলের মধ্যে চমৎকার মিল রয়েছে।
এক দল বাঙ্গালী এবং অন্য দল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী বলি আর কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী আইন প্রণয়ন করবোনা বলি, জাতীয়তাবাদী হিসাবে দাবি করলে ধর্মীয় মূল্যবোধে এবং কুরআন-সুন্নাহর উপস্থাপিত চেতনার সাথে তা হবে সাংঘর্ষিক। কুরআন-সুন্নাহ্ জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে মত দেয়। কুরআনের আহবান পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য।
উভয় দলই ধর্মের নয়, ধর্মের নামে রাজনীতি করে। নির্বাচনের আগে কিছু কিছু তথাকথিত আলেমদেরকে সাথে রাখা এবং ইসলামী দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া, কোন পীরের মাজার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা, রাজনীতিকগণের দোয়ার জন্য মাথায় টুপি দেয়া ইত্যাদি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো ছাড়া আর কিছুই না। দুই দলের লোক দেখানো ধর্মপ্রীতির ব্যাপারে আরো উদাহরণ দেয়া যাবে। রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানোই হচ্ছে ধর্মের নামে রাজনীতি এবং উভয় দলই একাজে পারদর্শী।
আপাতদৃষ্টিতে বিএনপিকে ভারত বিরোধী মনে হলেও অতীতে দেশ পরিচালনার সময় ভারত তোষণ নীতি কারোর চোখকে ফাঁকি দিতে পারবেনা। আর এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের কথা না বলাই ভাল।
উরোক্ত বিষয়গুলি দিকে খেয়াল রাখলে যে কোন মানুষ সহজেই অনুমান করতে পারবে দল দুটির মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু একটাই আর তা হলো ক্ষমতার লড়াইয়ে দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধাচরণ করা।
দেশের অধিকাংশ মানুষের দুই দলের প্রতি সমর্থন থাকলেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, একথা স্বীকার করতেই হবে দুই দলের মাধ্যমে দেশে গুণগত কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। বিগত চল্লিশ বছরের কর্ম কান্ডই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যাদের নির্দিষ্ট কোন আদর্শ নেই তাদের কাছে ভাল কিছু আশা করা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই না। তাই সময় এসেছে দেশের স্বার্থে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের সন্ধানে নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক দল বেছে নেয়ার।
লেবেলসমূহ:
সাম্প্রতিক বিষয়
এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার
আন্দ্রেই তার্কভ্স্কি
Andrei Tarkovsky Director / Screenwriter
1932 - 1986 Born April 4, Zavrazhe, Ivanono, Russia
তিনি সর্বকালের সেরা ১০০ জন চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে অন্যতম। সমালোচকদের কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক ইংমার বারিমান বলেছেন, "আমার কাছে তার্কভ্স্কিই সেরা পরিচালক, তিনি এমন এক পরিচালক যিনি চলচ্চিত্রের নতুন ভাষা তৈরি করেছেন। এ এমন এক ভাষা যা চলচ্চিত্রের প্রকৃতির জন্য খুব উপযোগী। এই ভাষা জীবনকে প্রতিফলন এবং স্বপ্ন হিসেবে তুলে ধরে।" তার্কভ্স্কির করা সেরা সিনেমাগুলো হচ্ছে, আন্দ্রে রুবলেভ, সোলিয়ারিস এবং স্টকার। পরিচালনার পাশাপাশি তার্কভ্স্কি চিত্রনাট্য রচনা, চলচ্চিত্রের তত্ত্ব প্রণয়ন এবং মঞ্চ পরিচালক হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রায় সবগুলো সিনেমাই সোভিয়েত ইউনিয়নে নির্মাণ করেছেন। শুধু শেষ দুটি সিনেমা দেশের বাইরে করা। শেষ দুটি সিনেমা ইতালি ও সুইডেনে নির্মাণ করেছেন। তার চলচ্চিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিকতা ও অধিবিদ্যাগত চিন্তাধারা, অতি দীর্ঘ দৃশ্যায়ন, সাধারণ সিনেমার মত নাটকীয় গঠন বা কাহিনীর অভাব এবং মনে রাখার মতো চিত্রগ্রহণ।
Ivan's Childhood (1962)*, Andrei Rublev (1966)*, Solaris (1972)*, Stalker (1979)* Worth a Look: The Mirror (1976)*, The Sacrifice (1986)* Approach with Caution: Nostalghia (1983)*
বার্নাডো বেরতোলুচ্চিঃ
Bernardo Bertolucci Director / Screenwriter
1940 - Born March 16, Parma, Emilia-Romagna, Italy
‘This is something that I dream about: to live films, to arrive at the point at which one can live for films, can think cinematographically, eat cinematographically, sleep cinematographically, as a poet, a painter, lives, eats, sleeps painting’ – বার্নাডো বেরতোলুচ্চি
ছোট বেলা থেকেই তাই ইচ্ছা ছিল বাবার মত কবি হবেন । পরবর্তিতে তিনি একজন এক্সপ্রেশনিষ্ট ফিল্মমেকার হিসাবে আবির্ভুত হন । অবশ্য তিনি কবিতাও লিখেন । তার মুভি গুলো তার সুররিয়ালিস্ট বা সিম্বলিষ্ট বা মেটারিয়ালিষ্ট আউটলুকের পরিচয় দেয় । যেমন, লাষ্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিসে গ্রে গোল্ডেন লাইটিং জেন আর পল এর রিলেশনশিপ এর সিম্বোলিক এক্সপ্রেশন । লাইটিং, এডিটিং, কালার এর ব্যবহার, ক্যামেরার মুভ প্রভৃতি প্রাত্যহিক জীবনের বাস্তবতা এই ইটালিয়ান পরিচালকের মুভির অন্যতম স্টাইল । তার মুভি যেন মাইক্রোষ্কোপের নিচে রাখা মানুষের আত্মা । সেক্স আর পলিটিক্স তার মুভির সবচেয়ে উল্লেখ্য থিম । ‘কনফ্রন্টিষ্ট’ ফেসিষ্ট আইডোলজির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ । লাষ্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস, ড্রিমার্স সহ অন্যান্য মুভিতে তিনি মানব জীবনে সেক্সুয়াল রিলেশনের সাইকোলজি ফুটিয়ে তুলেছেন । সমাজের বিভিন্নরকম যৌন সম্পর্কগুলো তিনি আইস্থেথিক্যালি ও রিয়েলিষ্টিক অ্যাটমোস্ফিয়ারে উপস্থাপন করেছেন ।
তিনি ইনসেস্টের মত বিতর্কিত বিষয়ও এসেছে তার মুভিতে । তাকে বলা যায় মাস্টার অভ ভয়ারিজম। ড্রিমার্স সিনেমায় তিনি নিজেই বলেছেন, “চলচ্চিত্রকার মানে ভয়ারিস্ট, ক্যামেরা হল তার গোপন বাইনোকুলার”। তবে এই ভয়ারিজমের আড়ালে তিনি জটিল মনস্তত্ত্বের ছাপ রেখেছেন । তার বায়োগ্রাফিক্যাল মুভি দ্যি লাষ্ট ইম্পেরর এনে দিয়েছিল নয়টি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ।
The Conformist (1969)* Recommended: The Spider's Stratagem (1970)*, The Last Emperor (1987)* Worth a Look: La Commare Secca (1962), Before the Revolution (1964), Last Tango in Paris (1973)*, 1900 (1976)*, Luna (1979), Tragedy of a Ridiculous Man (1981), The Sheltering Sky (1990), Little Buddha (1993), Stealing Beauty (1995), Besieged (1998) Approach with Caution: Partner (1968)**
অরসন ওয়েলসঃ
Orson Welles Director / Actor / Screenwriter / Producer
1915 - 1985
Born May 6, Kenosha, Wisconsin
যিনি চল্লিশের দশকে মার্কিন দর্শক ও ক্রিটিকদের ছয়টি ইন্দ্রিয়কে একসাথে আঘাত করেছিলেন। অর্ধ শতকের প্রচেষ্টায় নির্মিত সুরম্য অট্টালিকার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন শিল্পের এক নতুন প্রাসাদ। “সিটিজেন কেইন” (১৯৪১)- ইতিহাসের সবচেয়ে ইনোভেটিভ সিনেমা- এর পরিচালক হিসেবেই তিনি পরিচিত। কারণ এই সিনেমার ভাষা, সিনেমাটোগ্রাফি, থিম সবকিছুই ছিল একেবারে নতুন। এটাতেই প্রথম “ডিপ ফোকাস” দেখানো হয়েছিলো।
Citizen Kane (1941)*, The Magnificent Ambersons (1942)*, The Stranger (1946)#, The Lady from Shanghai (1948)*#, Othello (1952)*, Touch of Evil (1958)*# Recommended: The Fountain of Youth [TV] (1956), Chimes at Midnight (1966)* Worth a Look: Macbeth (1948), Mr. Arkadin (1955)#, The Trial (1963)*, The Immortal Story (1968), F for Fake (1973)*
আলফ্রেড হিচকক
(Alfred Hitchcock Director / Producer / Screenwriter
1899 – 1980
Born August 13, Leytonstone, London, England
শৈশবে দুষ্টুমির জন্য হিচককের বাবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রায়ই চিঠি দিয়ে পাঠাতেন যেন হিচকককে ১০ মিনিটের জন্য আটকে রাখা হয় । বড় হয়ে তিনি হলেন মাস্টার অব সাসপেন্স এবং রহস্যের জাদুকর । সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী ছবির এই কিংবদন্তী দর্শকদের নিয়ে পিয়ানোর মতো খেলতে ভালোবাসতেন । চলচ্চিত্র ইতিহাসে তাকেই প্রথম থ্রিলার কিংবা ভৌতিক ছবির সফল ও আধুনিক রূপকার ধরা হয় । আজও তার মুভি গুলো দর্শক, সমালোচকদের চিন্তার খোরাক জোগায় । হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়া মুভি গুলোর আবেদন আজও বিন্দুমাত্র কমেনি । তার মুভিতে ক্যামেরার মুভমেন্ট এমন যেভাবে দর্শক ভয়ারিষ্টিক চাহুনিতে উপভোগ করে থ্রিলিং সব মোমেন্ট গুলো । আমার দেখা হিচককের মুভি গুলো হল সাইকোলজিক্যাল বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সাইকো’, মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ‘রেবেকা’, ‘দ্য বার্ডস’, সাসপেন্সধর্মী গোয়েন্দা চলচ্চিত্র ‘নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট’, ‘ভার্টিগো’, ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ’, ‘রেয়ার উইন্ডো’, ‘স্ট্রেঞ্জার্স অফ এ ট্রেইন’, ‘রোপ’, ‘স্পেলবাউন্ড’, ‘নটরিয়াস’, ‘লাইফবোট’, ‘শ্যাডো অফ এ ডাউট’ । 'দ্য মোমেন্ট অব সাইকো' উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয় 'সাইকো'। উপন্যাসের লেখক মন্তব্য করেছিলেন, 'যে কোনো আমেরিকান থ্রিলারধর্মী ছবির জন্য এর প্রতিটি উত্তেজক দৃশ্য একেকটি নির্দেশনা হয়ে থাকবে। এটা ছবির জগতটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।' গোসলখানার ৪৫ সেকেন্ড ব্যাপ্তির সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দর্শকদের চিরকাল আতঙ্কিত করবে । হিচককের মুভির এন্ডিংয়ে টুইষ্ট অবশসম্ভাবী । ভীতি, ফ্যান্টাসি, হিউমার আর বুদ্ধিদীপ্ততা এই চারের কম্বিনেশনে প্লটগুলো মেইনলি মার্ডার, অপরাধ, ভায়োলেন্স উপর বেস করে নির্মিত । ফিল্ম মেকিয়ের অনেক টেকনিক্যাল বিষয় হিচকক আবিস্কৃত ।
Highly Recommended: The 39 Steps (1935)*, Rebecca (1940)*, Shadow of a Doubt (1943)*#, Notorious (1946)*#, Strangers on a Train (1951)*#, Rear Window (1954)*, Vertigo (1958)*, North by Northwest (1959)*, Psycho (1960)*, The Birds (1963)*, Marnie (1964)*
ফেদেরিকো ফেলিনি
Federico Fellini Director / Screenwriter / Actor
1920 - 1993
Born January 20, Rimini, Italy
জীবনকে কাব্যিকভাবে উপস্থাপন করার ধারা তিনিই শুরু করেছিলেন। কাব্যিক হওয়ার কারণেই ফেলিনির সিনেমায় বাস্তবতা আর স্বপ্নের মধ্যে পার্থক্য খুব কম। তার “এইট অ্যান্ড আ হাফ” সিনেমায় তো পার্থক্যটা একেবারেই লোপ পেয়েছে।
La Strada (1954)*, La Dolce vita (1960)* The White Sheik (1951), I Vitelloni (1953)*, Il Bidone (1955)*, 8½ (1963)*
Variety Lights (1950) [co-directed by Alberto Lattuada], Nights of Cabiria (1957)*, Juliet of the Spirits (1965)*, Spirits of the Dead (1968) [co-directed by Louis Malle & Roger Vadim], The Clowns (1971), Amarcord (1973)*, Orchestra Rehearsal (1979), City of Women (1981), And the Ship Sails On (1984)*, Fellini's Intervista (1987) Approach with Caution: Fellini Satyricon (1969)*, Fellini's Roma (1972)*, The Voice of the Moon (1990) Duds: Fellini's Casanova (1976)*
স্ট্যানলি কুবরিকঃ
Stanley Kubrick Director / Screenwriter / Producer
1928 - 1999
Born July 28, Manhattan, New York, New York, USA
চলচিত্রকার হিসাবে কুবরিক ‘ভিডি ওয়েল’ । চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা সৃজনশীল ও প্রভাবশালী নির্মাতা । তাকে বলা হয় চলচ্চিত্রের ঈশ্বর । কুবরিক তার সিনেমার সেটে সর্বব্যাপী, সর্বত্রচারী, সর্বগত এবং সর্বনিয়ন্তা- চূড়ান্ত পারফেকশনিস্ট । চলচ্চিত্রে যুগান্তকারী কৌশলের উদ্ভাবক । তার মুভিগুলোর অন্যতন বৈশিষ্ট্য হল খুব কাছ থেকে নেয়া ক্লোজ-আপে অভিনেতার অঙ্গভঙ্গি ও আবেগের স্পষ্ট প্রকাশ । ছবিতে তিনি জুম লেন্স আর ক্লাসিকাল মিউজিক এর সার্থক প্রয়োগ করেছেন । একই শট ১১৮ বার নিয়ে তিনি রেকর্ড করেছেন । কুবরিকের চলচ্চিত্রের অধিকাংশই বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকর্মের চিত্ররূপ । তার অধিকাংশ সিনেমাকেই নির্দিষ্ট কোন জেনারে স্পেসিফাই করা কঠিন ।
তার চলচ্চিত্রে সমাজ-সচেতনতা এবং সভ্যতার অবক্ষয় মূর্ত হয়ে উঠেছে। সিনেমার থিম মাথায় আসার পর কুবরিক গবেষণায় লেগে যেতেন । সিনেমা বানাতে প্রায় ৪-৫ বছর লাগতো ।তার সিনেমার প্রায় প্রতিটি চরিত্রই সমাজের একটা বৃহৎ অংশের প্রতিনিধিত্ব করতো । তাকে বলা যায় একজন সার্থক এক্সপ্রেশনিস্ট এবং সুররিয়ালিষ্ট । চরিত্রগুলোর সমাজ বাস্তবতাকে তিনি এস্কেপ করতেন, চরিত্রগুলোকে তিনি কাল্পনিক রুপ প্রদান করতেন নিজের মনের মত করে । আর একজন সচেতন ওপ্টিমিষ্ট হিসাবে এই আইরোনিক পেসিমিজম সৃষ্টির উদ্দেশ্য থাকতো চরিত্রগুলোকে বিদ্রুপ করা । যাতে তাদেরকে দেখে করূণা হয়, উপহাস করতে ইচ্ছে হয় । পার্ভাটিজম ও ভায়োলেন্স এর নান্দনিকায়ন তার মুভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
তার ১৩ সৃষ্টির মাঝে আমি দেখেছি 'পাথস অব গ্লোরি', 'স্পার্টাকাস', 'ললিতা', ড. স্ট্রেঞ্জলাভ অর: হাও আই লার্নড টু স্টপ ওরিয়িং অ্যান্ড লাভ দ্য বম, '২০০১: এ স্পেস ওডেসি', 'এ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ', 'ফুল মেটাল জ্যাকেট' ও 'আইস ওয়াইড শাট' । 'এ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ' এর টিনএজ হুলিগান আলেক্স ডি লার্জ আমার ভাষ্যমতে তার সৃষ্ট সেরা চরিত্র আলেক্সজেন্ডার কোহেন আলেক্স ডি লার্জ চরিত্রটি সম্পর্কে বলেছিলেন ‘seeking idle de-contextualized violence as entertainment as an escape from the emptiness of their dystopian society’ ।
The Killing (1956)*#, Paths of Glory (1957)*, Spartacus (1960)*, Dr. Strangelove (1964)*, 2001: A Space Odyssey (1968)*, Full Metal Jacket (1987)* Recommended: Killer's Kiss (1955)#, Lolita (1962)*, Barry Lyndon (1975)*, The Shining (1980)*, Eyes Wide Shut (1999)* Worth a Look: Day of the Fight (1951), A Clockwork Orange (1971)*
আকিরা কুরোসাওয়াঃ
Akira Kurosawa Director / Screenwriter / Editor / Producer
1910 - 1998
Born March 23, Omori, Tokyo, Japan
আরেক পারফেকশনিস্ট। যুদ্ধের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া একটি দেশকে বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই তার সিনেমার অনেকটা জুড়ে থাকে মানুষের দুঃখ-কষ্ট, হিংস্রতা, বিশ্বাসঘাতকতা। আত্মপীড়নও মাঝেমাঝে দেখা যায়। এই কষ্ট থেকেই বোধহয় তিনি শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডিগুলোকে সেলুলয়েডে বন্দি করেছিলেন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল শেক্সপিয়ারিয়ান চলচ্চিত্রকার।
Rashomon (1950)*, Ikiru (1952)*, The Seven Samurai (1954)*, Ran (1985)* Recommended: Drunken Angel (1948), Stray Dog (1949)*, Throne of Blood (1957)*, The Hidden Fortress (1958), High and Low (1963)*, Dodes'ka-den (1970) Worth a Look: One Wonderful Sunday (1947), The Quiet Duel (1949)**, The Idiot (1951), I Live in Fear (1955), The Lower Depths (1957), The Bad Sleep Well (1960), Yojimbo (1961)*, Sanjuro (1962), Red Beard (1965)*, Dersu Uzala (1975)*, Kagemusha (1980)*, Akira Kurosawa's Dreams (1990), Rhapsody in August (1990), Madadayo (1993)
ইংমার বার্গম্যানঃ
Ingmar Bergman Director / Screenwriter / Producer
1918 - 2007 Born July 14, Uppsala, Uppland, Sweden
সুইডেনে ধর্ম পালনের হার সবচেয়ে কম হলেও বার্গম্যান বড় হয়েছেন কড়া ধর্মীয় পরিবেশে। সবাই আত্ম-আত্মা, জীবন-মরণ, সসীম-অসীম নিয়ে প্রশ্ন করে। ছোটবেলায় তিনি বোধহয় এই প্রশ্নগুলোর খুব কড়া জবাব পেয়েছিলেন যা তার অতিরিক্ত সংবেদনশীল মনকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সিনেমা আর মঞ্চ নাটক দিয়ে আজীবন সেই মন পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন। তার “গড ট্রাইলজি”-তে এক অদ্ভুত ঈশ্বরানুভূতির সন্ধান পাওয়া যায়। বার্গম্যান কে বলতে হবে চলচ্চিত্রের দার্শনিক এবং দর্শনের চলচ্চিত্রকার।
Wild Strawberries (1957)*, Cries and Whispers (1972)* Recommended: Sawdust and Tinsel (1953)*, Smiles of a Summer Night (1955)*, The Seventh Seal (1957)*, The Virgin Spring (1959)*, Through a Glass Darkly (1962), Winter Light (1962)*, Persona (1966)*, Shame (1968), Scenes from a Marriage (1973)*, Fanny and Alexander (1982)*, Saraband (2003)^
ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা
Francis Ford Coppola Director / Screenwriter / Producer
1939 -
Born April 7, Detroit, Michigan, USA Key Production Country: USA
যুদ্ধ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই দর্শন আর সমাজবিজ্ঞানের কাছে হাত পাততে হবে, কিন্তু উত্তরটা উপলব্ধি করতে হলে দেখতে হবে কপোলার “অ্যাপোক্যালিপ্স নাউ”। এখন পর্যন্ত নির্মীত সেরা যুদ্ধবিরোধী সিনেমা। দেবতা-অসুর, অক্ষশক্তি-মিত্রশক্তি যাই বলি না কেন- যুদ্ধ মানে খেলাচ্ছলে নিজের অপরূপ সৃষ্টিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া। এই খেলা আমরা দেখেছি গডফাদারে। আর খেলা শেষের ভাঙা খেলাঘর দেখানো হয়েছে অ্যাপোক্যালিপ্স নাউ-এর শেষ ৩০ মিনিটে।
The Godfather (1972)*, The Godfather Part II (1974)*, The Conversation (1974)*, Apocalypse Now (1979)* Recommended: Rumble Fish (1983) Worth a Look: The Rain People (1969), One from the Heart (1982), Peggy Sue Got Married (1986), Tucker: The Man and His Dream (1988), The Godfather Part III (1990)*, Bram Stoker's Dracula (1992) Approach with Caution: Dementia 13 (1963), You're a Big Boy Now (1966), The Outsiders (1983), The Cotton Club (1984), Gardens of Stone (1987), New York Stories (1989) [co-directed by Martin Scorsese & Woody Allen], The Rainmaker (1997) Duds: Jack (1996)
জঁ লুক গোদার
Jean-Luc Godard Director / Screenwriter / Actor / Editor / Producer
1930 - Born December 3, Paris, France
নিয়ম ভাঙার কারিগর। সিনেমার জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রথাবিরোধী- নির্মাণ কৌশল এবং রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি- দুদিক দিয়েই। হলিউডের গতানুগতিক ঘ্যাচাং-ঘ্যাচাং অ্যাকশন-কমেডিকে ব্যাঙ্গ করে গেছেন আজীবন। তৎকালীন ফ্রান্সের তথাকথিত মূল্যবোধকে ময়লা ভেবে ঝেড়ে ফেলেছেন। সতীর্থদের সাথে মিলে জন্ম দিয়েছেন সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র আন্দোলনের- নুভেল ভাগ বা ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ বা ফরাসি নবতরঙ্গ।
Breathless (1959)*, Une Femme est une femme (1961)*, Contempt (1963)*, Bande à part (1964)*, A Married Woman (1964), Pierrot le fou (1965)*, Masculin Feminin (1966)*
চার্লি চ্যাপলিন
Charles Chaplin Director / Screenwriter / Producer / Actor / Editor / Composer
1889 - 1977 Born April 16,
Walworth, London, England Key Production Country: USA
হাসিমুখে যিনি চপেটাঘাত করতে পারতেন। পৃথিবী থেকে চলচ্চিত্র শিল্প বিলুপ্ত হয়ে গেলেও নাকি যার শিল্পকর্ম টিকে থাকবে। মুখমণ্ডলে যিনি ভয়ংকর সমাজ-সচেতনতা ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।
The Circus (1928)*, Modern Times (1936)*, The Great Dictator (1940)*, Monsieur Verdoux (1947)*
বিলি ওয়াইল্ডার
Billy Wilder Director / Screenwriter / Producer
1906 - 2002 Born June 22, Sucha beskidzka, Poland
শক্তিশালী সিনেমাটোগ্রাফির বদলে যিনি শক্তিশালী চিত্রনাট্য ও পরিপূর্ণ কাহিনীকে গুরুত্ব দিতেন। রাজনীতির ও সমাজের বদলে তিনি ছিলেন মানব সচেতন। গতানুগতিক বিনোদনের মধ্যেও তিনি শিল্পের জন্ম দিয়েছিলেন। তার “সাম লাইক ইট হট” অনেকের মতে সর্বকালের সেরা কমেডি সিনেমা।
Five Graves to Cairo (1943), Double Indemnity (1944)*^, The Lost Weekend (1945)^, Sunset Blvd. (1950)*^, Ace in the Hole (1951)*^
মার্টিন স্করসেজিঃ
Martin Scorsese Director / Producer / Screenwriter
1942 - Born November 17, Queens, New York, USA
"You talking to me? You talking' to me? You talkin' to me? Then who the hell else are you talking... you talking to me? Well I'm the only one here. Who the fuck do you think you're talking to? Oh yeah? OK."
রবার্ট ডি নিরো ডাইলোক টা খুব ফেভারিট । ট্যাক্সি ড্রাইভারের একটা জনপ্রিয় ডাইলোক । ট্যাক্সি ড্রাইভার, রেজিং বুল, গুডফেলাস, এজ অফ ইনোসেন্স, দ্যা ডিপার্টেড, ক্যাসিনো এই মুভির লিষ্ট যার সৃষ্টি তিনি মার্টিন স্করসেজি । তার মুভিতে বিপথগামী কিছু চরিত্রের ক্রেইজিনেস, টেনশন আর কনফ্লিক্ট মুর্ত হয়েছে যেখানে তারা মুক্তির পথের খোঁজে ছুটে বেড়ায় । তার সিনেমার বাস্তবে ছুটে বেড়ানো প্রচণ্ডভাবে অস্তিত্বশীল সাধারণ চরিত্রগুলো অসাধারন হয়ে উঠে । সহিংস এবং বেদনাদায়ক পথকেই শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন । মুভির শেষে দেখা যায় চরিত্রগুলো যেই অসীমে ছিল সেই অসীমেই রয়ে গেছে । ট্যাক্সি ড্রাইভারের ট্রাভিস বিকেল আমার দেখা অন্যতম অবসেশনাল চরিত্র । রবার্ট ডি নিরো স্করসেজির আটটি মুভিতে অভিনয় করেছেন । ইগোইজম, বাস্তব-সংগতি, ইমোশন আর স্যালভেশন এই চারের সম্মিলনে গড়ে উঠে তার ফিল্ম গুলো ।
Mean Streets (1973)*, Taxi Driver (1976)*, New York, New York (1977)*, Raging Bull (1980)*, The King of Comedy (1983)*, The Last Temptation of Christ (1988)*, Good Fellas (1990)*, Cape Fear (1991), The Age of Innocence (1993)*, Casino (1995)*, Kundun (1997)
ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম মুর্নাউ
F.W. Murnau Director / Producer / Screenwriter
1888 - 1931
Born December 28, Bielefeld, North-Rhine-Westphalia, Germany
যার উচ্চাভিলাষ সকল পর্বতের চূড়া ছাড়িয়ে গেছে। অকাল মৃত্যু না হলে তিনি যে কত কি করে দেখাতেন সেটা ভাবতে গিয়ে একালের সিনেমোদীদের দম বন্ধ হয়ে আসে। ড্রাকুলা নিয়ে করা প্রথম সিনেমা তার, নাম নসফেরাতু (১৯২২)- জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের সর্বোৎকৃষ্ট উপহারগুলোর একটি। শুধু ছবি দিয়ে কথা বলতে চাইলে আমাদের বারবারই তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
Nosferatu (1922)*, The Last Laugh (1924)*, Faust (1926)*, Sunrise (1927)*, City Girl (1929)*, Tabu (1931)* Worth a Look: Phantom (1922), Tartuffe (1926)
ফ্রিৎস লাং
Fritz Lang Director / Screenwriter / Producer
1890 - 1976
Born December 5, Vienna, Austria
মাস্টার অভ ডার্কনেস। তার “মেট্রোপলিস” (১৯২৭) নির্বাক যুগের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। এত ব্যয় করেছিলেন কেবল মানব সভ্যতার ডার্কনেস তুলে ধরার জন্য। প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সভ্যতার রূপ তিনি সেকালেই উপলব্ধি করেছিলেন; মেট্রোপলিসের শিল্প কারখানার আন্ডারগ্রাউন্ড যেন সভ্যতার অন্ধকার ভিত্তিভূমিকেই নির্দেশ করে। ইনিই হলিউডী ফিল্ম নয়ারের জনক। সিনেমাটগ্রাফিক স্টাইলের মাধ্যমে মানুষের অন্ধকার দিক তিনিই প্রথম তুলে ধরেছিলেন, “এম” (১৯৩১) সিনেমাতে।
M (1931)*, Fury (1936), You Only Live Once (1937)*, The Woman in the Window (1944)*#, Scarlet Street (1945)*#, Secret Beyond the Door (1948)#, The House by the River (1950)#, Clash by Night (1952)#, The Big Heat (1953)*#, While the City Sleeps (1956)*#
ফ্রঁসোয়া ত্রুফো
François Truffaut Director / Screenwriter / Producer / Actor
1932 - 1984 Born February 6, Paris, France
নুভেল ভাগের আরেক স্বপ্নদ্রষ্টা। তার সিনেমা যেন তার জীবনেরই প্রতিধ্বনি। এরকমটা একটা জীবন না পেলে “দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোস” এর মত সিনেমা বানাতে পারতেন কি-না কে জানে। উল্লেখ্য ত্রুফো জীবন শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে। সিনেমার বিখ্যাত “ওটার তত্ত্ব” তাদেরই (তৎকালীন ফরাসি ক্রিটিক গোষ্ঠী) দেয়া।
The 400 Blows (1959)*, Shoot the Piano Player (1960)*, Jules et Jim (1961)*, The Soft Skin (1964), Stolen Kisses (1968), Day for Night (1973)*
ডেভিড লিন
David Lean Director / Screenwriter / Editor
1908 - 1991 Born March 25, Croydon, Surrey, England
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া এবং ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই এর নির্মাতা হিসেবে ডেভিড লিনের সাথে অনেকেই পরিচিত। এপিক সিনেমা বানাতে তার জুড়ি নেই। মানব জীবনের মহিমা রূপায়নে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
Great Expectations (1946),* Oliver Twist (1948) Recommended: In Which We Serve (1942) [co-directed by Noel Coward], Brief Encounter (1945)*, Blithe Spirit (1945), Madeleine (1949), Passionate Friends (1949), Hobson's Choice (1954), Summertime (1955), Lawrence of Arabia (1962)*
স্টিভেন স্পিলবার্গ
Steven Spielberg Director / Producer / Screenwriter
1946 - Born December 18, Cincinnati, Ohio, USA
স্পিলবার্গ সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনিং চলচ্চিত্র শিল্পী। বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য এবং সমালোচক মহলে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা কজনার ভাগ্যে জোটে? তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী চলচ্চিত্রকারও- সিনেমা বানিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন। ৭০-৮০-৯০ এই তিন দশকের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি তিনটাই তার করা: জস, ইটি এবং জুরাসিক পার্ক। ইটির শিল্পমূল্য এবং শিন্ডলার্স লিস্টের মানবতাবোধই তাকে সবচেয়ে বেশি মহিমান্বিত করেছে।
Duel (1971)*, Raiders of the Lost Ark (1981)*, The Color Purple (1985), Schindler's List (1993)*, Saving Private Ryan (1998)* Recommended: Jaws (1975)*, Close Encounters of the Third Kind (1977)*, E.T. The Extra Terrestrial (1982)*, Catch Me if You Can (2002) Worth a Look: The Sugarland Express (1974), Indiana Jones and the Temple of Doom (1984), Indiana Jones and the Last Crusade (1989), Jurassic Park (1993), The Lost World: Jurassic Park (1997), Amistad (1997), A.I. Artificial Intelligence (2001)*^, Minority Report (2002)^, War of the Worlds (2005), Munich (2005)^ Approach with Caution: 1941 (1979), Empire of the Sun (1987), Hook (1991), The Terminal (2004), Indiana Jones and the Kingdom of the Crystal Skull (2008) Duds: Always (1989)
ভিত্তোরিও দে সিকা
Vittorio De Sica Director / Screenwriter / Actor
1902 - 1974 Born July 7, Sora, Latium, Italy
মানুষের আত্মাকে যিনি ভিডিও করতে পারতেন। আত্মা নিয়ে অনেকে গবেষণা করলেও আত্মার সন্ধান খুব কম চলচ্চিত্রকারই পেয়েছে- দে সিকা সেই কয়েকজনের মধ্যে সেরা। নগ্ন বাস্তবতা দিয়েও যে শিল্প সৃষ্টি করা যায়, “বাইসাইকেল থিফ” (১৯৪৮) এ আমরা সেটাই দেখেছি। টু উইমেন (১৯৬০) এর ধর্ষণ দৃশ্যের আর্তনাদ ডি সিকার কারণেই আমাদের কাছে মানবতার আর্তনাদ হিসেবে ধরা দিয়েছে। উল্লেখ্য ডি সিকা ইতালিয়ান নিওরিয়েলিজম আন্দোলনের পথিকৃৎ।
The Children Are Watching Us (1944), Bicycle Thieves (1948)*, Umberto D. (1952)* Recommended: Shoeshine (1946)*, Two Women (1960) Worth a Look: Miracle in Milan (1951)*, The Gold of Naples (1954), The Condemned of Altona (1962), The Garden of the Finzi-Continis (1971) Duds: Indiscretion of an American Wife (1953)
সত্যজিৎ রায়
Satyajit Ray Director / Screenwriter / Composer / Producer
1921 - 1992 Born May 2, Calcutta, West Bengal, India
যার সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবে না। রাসা-ভক্ত সত্যজিৎ ক্লোজ-আপ এর মাধ্যমে মানুষের মুখমণ্ডলে মানবতা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। তার সিনেমার অদ্ভুত তারল্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের সকল সিনেমোদীর কাছে আপন করে তুলেছে। তার “অপু ত্রয়ী” সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্ল্যাসিকের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সত্যজিৎ পুরো একটি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড নির্মাণ করেছেন। পরিচালনা, চিত্রনাট্য, আবহ সঙ্গীত, চিত্রগ্রহণ, পোস্টার তৈরী, শিল্প নির্দেশনা সব দিকেই ছিলেন সমান পারঙ্গম।
Aparajito (1956)*, The Music Room (1958)*, The World of Apu (1959)*, Charulata (1964)* Recommended: Pather Panchali (1955)*, Kanchenjungha (1962), The Big City (1963), Days and Nights in the Forest (1969)*, Distant Thunder (1973), Pikoor Diary [TV] (1981) Worth a Look: Devi (1960), Two Daughters (1961), Siddhartha and the City (1970), The Home and the World (1984)**, The Branches of the Tree (1990)
উডি অ্যালেন
Woody Allen Director / Screenwriter / Actor
1935 - Born December 1, Brooklyn, New York, USA
প্রেম এবং কামের চলচ্চিত্রকার। তার অ্যানি হলেই বোধহয় আমরা প্রথমবারের মত সেক্স-কমেডি দেখেছি। মানব-মানবীরা যতদিন প্রেম করবে ততদিনই উডি অ্যালেনের সিনেমা জীবন্ত থাকবে।
Annie Hall (1977)*, Manhattan (1979)*, Hannah and Her Sisters (1986)*, Crimes and Misdemeanors (1989)*, Bullets Over Broadway (1994) Recommended: Bananas (1971), Sleeper (1973), Love and Death (1975), Stardust Memories (1980), Zelig (1983)*, Broadway Danny Rose (1984)*, Radio Days (1987)*, Husbands and Wives (1992), Mighty Aphrodite (1995), Everyone Says I Love You (1996), Deconstructing Harry (1997), Sweet and Lowdown (1999), Small Time Crooks (2000), The Curse of the Jade Scorpion (2001), Match Point (2005)^
রোমান পোলানস্কি
Roman Polanski Director / Screenwriter / Producer / Actor
1933 - Born August 18, Paris, France
Key Production Countries: UK, France, USA, Poland
মানুষের নিঃসঙ্গতা তীব্র আবেদন নিয়ে ধরা দিয়েছে যার সিনেমাতে। মানুষকে তিনি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এমন সব জায়গায় নিয়ে গেছেন যেখানে প্রেম-দ্রোহ-শিল্পের জন্ম হয়।
Rosemary's Baby (1968)*, Chinatown (1974)* Recommended: Knife in the Water (1962), Repulsion (1965)*, Cul-de-sac (1966)*, Tess (1979), Death and the Maiden (1994), The Pianist (2002)^, Oliver Twist (2005) Worth a Look: Two Men and a Wardrobe (1958), Mammals (1962), Macbeth (1971), Frantic (1988), The Ninth Gate (1999), The Ghost Writer (2010)^ Approach with Caution: What? (1973), The Tenant (1976)*, Bitter Moon (1992) Duds: The Fearless Vampire Killers (1967)
ফ্রাংক কাপরা
Frank Capra Director / Producer
1897 - 1991 Born May 18, Bisaquino, Sicily, Italy
হলিউডের স্বর্ণযুগের মানুষ। স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে যে কজন পরিচালক শিল্পমুল্য ধরে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে কাপরা সেরা। তার রোমান্টিক এবং সামাজিক কমেডিগুলোতে আবহ সঙ্গীতের যথার্থ প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় যা সেকালের হলিউডে ছিল না বললেই চলে। তার “ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট” (১৯৩৪) আমার অল টাইম ফেভারিট। কাপরার ক্যামেরায় কেবল সুখী মানুষেরাই স্থান পেয়েছে- যারা ক্ষেত্রবিশেষে দুঃখ অনুভব করলেও একসময় পরিপূর্ণ সুখের সন্ধান পায়। “ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ” (১৯৪৬) সেদিকটাই তুলে ধরে।
Mr. Deeds Goes to Town (1936), Mr. Smith Goes to Washington (1939)*, It's a Wonderful Life (1946)* Recommended: The Bitter Tea of General Yen (1933)*, It Happened One Night (1934)*, Meet John Doe (1941)
সের্জিও লেওনে
Sergio Leone Director / Screenwriter
1929 - 1989 Born January 3, Rome, Italy
মানুষের অতি সূক্ষ্ণ সব অনুভূতিকে অতি সূক্ষ্ণ উপায়ে তুলে ধরার একটা উপায় তিনি আবিষ্কার করেছিলেন- সেটা হল বিগ ক্লোজ আপ। তার সিনেমার অনেক দৃশ্যে কেবল এক জোড়া চোখ দেখা যায়, পুরো স্ক্রিন জুড়ে। মার্কিন সভ্যতার বিবর্তন নিয়ে তার আগ্রহের কারণেই আমরা ডলার্স ট্রাইলজির মত অসাধারণ ওয়েস্টার্ন পেয়েছি। ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন দ্য ওয়েস্টের মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির পতন প্রত্যক্ষ করেছি। আর ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন অ্যামেরিকাতে দেখেছি- নব্য সহিংসতাকে কেন্দ্র করে মানুষ জেগে উঠছে। লেওনে আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেন- তার চরিত্রগুলো যত হিংস্রই হোক- সবাই হোমো স্যাপিয়েন্স।
For a Few Dollars More (1965), The Good, the Bad and the Ugly (1966)*, Once Upon a Time in the West (1968)*, Once Upon a Time in America (1984)* Recommended: A Fistful of Dollars (1964) Worth a Look: Fistful of Dynamite (1971)
বেরনার্দো বেরতোলুচ্চি
Bernardo Bertolucci Director / Screenwriter
1940 - Born March 16, Parma, Emilia-Romagna, Italy
বলা যায় মাস্টার অভ ভয়ারিজম। ভয়ারিজম মানে ঈক্ষণকাম, অর্থাৎ লুকিয়ে লুকিয়ে অন্যের রতিকর্ম উপভোগ করা। সমাজের সবচাইতে গোপন যৌন সম্পর্কগুলো তিনি নির্লজ্জের মত সবার সামনে তুলে ধরেন। ড্রিমার্স সিনেমায় তিনি নিজেই বলেছেন, “চলচ্চিত্রকার মানে ভয়ারিস্ট, ক্যামেরা হল তার গোপন বাইনোকুলার”। তিনি ইনসেস্ট তথা অজাচারের মত বিতর্কিত বিষয়েরও বস্ত্রহরণ করেছেন। তবে এই ভয়ারিজমের আড়ালে তিনি জটিল মনস্তত্ত্বের ছাপ রেখে দেন, একটু লক্ষ্য করলেই যা বোঝা যায়। এজন্য অনেক বিতর্কের পরও তিনি সম্মানিত, কারণ তিনি শিল্পী।
The Conformist (1969)* Recommended: The Spider's Stratagem (1970)*, The Last Emperor (1987)* Worth a Look: La Commare Secca (1962), Before the Revolution (1964), Last Tango in Paris (1973)*, 1900 (1976)*, Luna (1979), Tragedy of a Ridiculous Man (1981), The Sheltering Sky (1990), Little Buddha (1993), Stealing Beauty (1995), Besieged (1998) Approach with Caution: Partner (1968)**
রিডলি স্কট
Ridley Scott Director / Producer
1937 - Born November 30, South Shields, Tyne and Wear, England
শুধু “ব্লেড রানার” করে মারা গেলেও যাকে আমরা আজীবন মনে রাখতাম। কুবরিকের “২০০১: আ স্পেস অডিসি” যে ভিজ্যুয়াল স্টাইলের জন্ম দিয়েছিল সেটার পুনরুত্থান ঘটেছে ব্লেড রানারে যা পরবর্তীতে অনেক পরিচালককে প্রভাবিত করেছে। ব্লেড রানারে এত বেশি থিমের সার্থক সমন্বয় ঘটেছে যে আজ থেকে লক্ষ-কোটি বছর পরও এটার প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না। তবে ইদানিং রিডলি স্কট আমাদের বেশ হতাশ করছেন।
Blade Runner (1982)* Recommended: The Duellists (1977), Alien (1979)*, Thelma & Louise (1991)*, Gladiator (2000)^ Worth a Look: Someone to Watch Over Me (1987), Matchstick Men (2003), American Gangster (2007) Approach with Caution: Legend (1985), Black Hawk Down (2001)^, Kingdom of Heaven (2005), Body of Lies (2008) Duds: 1492: Conquest of Paradise (1992), Hannibal (2001)
জর্জ কিউকর
George Cukor Director
1899 - 1983 Born July 7, New York, New York, USA
সুনীল বলেছিলেন, হলিউডের আমাদেরকে দেয়া সেরা উপহার হচ্ছে মিউজিক্যাল সিনেমাগুলো। কিউকরের “মাই ফার্স্ট লেডি” দেখার পর সে কথার মর্ম বুঝেছি।
Holiday (1938)*, The Women (1939), The Philadelphia Story (1940)*, Adam's Rib (1949), A Star is Born (1954)*, Bhowani Junction (1956), My Fair Lady (1964)*
ভের্নার হের্ৎসগ
Werner Herzog Director / Screenwriter / Producer
1942 - Born September 5, Munich, Germany
জার্মান নিউ ওয়েভের প্রতিনিধি। যিনি মানুষের মনে অ্যাডভেঞ্চার জাগিয়ে তুলেন। যিনি স্রোতহীন নদীর স্লো শট দেখিয়েও আমাদের মনকে আন্দোলিত রতে পারেন। তার “আগির্রে, ডের ৎসর্ন গটেস” (১৯৭২) আমার দেখা সেরা ট্র্যজেডি এবং অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। তার ছবিতে অসম্ভব স্বপ্নকে তাড়া করে বেড়ানো নায়ক চরিত্র এবং খুব সাধারণ কোন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনন্য গুণের পরিচয় পাওয়া যায়।
Signs of Life (1968), Land of Silence and Darkness (1971), Fata Morgana (1971), Aguirre: The Wrath of God (1972)*, The Great Ecstasy of Woodcarver Steiner (1974), The Enigma of Kaspar Hauser (1974)*, Stroszek (1977), Nosferatu the Vampyre (1979), Lessons of Darkness (1992)*, Little Dieter Needs to Fly (1997)**, Grizzly Man (2005)^
ডেভিড লিঞ্চ
David Lynch Director / Screenwriter / Producer
1946 - Born January 20, Missoula, Montana, USA
অবচেতনের পরাবাস্তব শিল্পী। আধুনিক চলচ্চিত্রে প্রথম যুগের শৈল্পিক মাধুর্য্য ফিরিয়ে এনেছেন তিনি, তবে এক্সপ্রেশনিজম বা ইমপ্রেশনিজমের বদলে সাররিয়েলিজমের মাধ্যমে। তার সিনেমাতেও বাস্তব-অবাস্তবের সীমারেখা ঝাপসা। ট্রান্সেন্ডেন্টাল মেডিটেশন থেকে তিনি শিল্পের অনুপ্রেরণা পান। তাকে বলা যায় এ যুগের পাগলা ডিরেক্টর। মানুষের “ভীতি” এবং “সম্মান” তার সিনেমার প্রধান বিষয়বস্তু।
Blue Velvet (1986)*, The Straight Story (1999), Mulholland Dr. (2001)*^ Recommended: The Elephant Man (1980)* Worth a Look: The Grandmother (1970), Dune (1984), Inland Empire (2006)^ Approach with Caution: Eraserhead (1976)*, Wild at Heart (1990)* Duds: Twin Peaks: Fire Walk with Me (1992), Lost Highway (1996)*
উইলিয়াম ওয়াইলার
William Wyler Director / Producer
1902 - 1981
Born July 1, Mulhouse, Haut-Rhin, Alsace, France
তার একটা সিনেমাই আমি দেখেছি: রোমান হলিডে- আমার জীবনে দেখা সেরা রোমান্টিক কমেডি। পুরো সিনেমা জুড়ে এতসব মনকাড়া দৃশ্যের পর হৃদয় বিদারক সমাপ্তিটাই আমাকে রোমান হলিডের সাথে যুক্ত করে রেখেছে। এই মোহ থেকে কোনদিন মুক্তি পাব না, মুক্তি পেতে চাইও না।
Dodsworth (1936), The Best Years of Our Lives (1946)*, Detective Story (1951)# Recommended: Dead End (1937), Jezebel (1938), Wuthering Heights (1939), The Letter (1940)#, The Little Foxes (1941), Roman Holiday (1953)*, The Desperate Hours (1955)# Worth a Look: The Good Fairy (1935), These Three (1936), The Westerner (1940), Mrs. Miniver (1942), The Heiress (1949)*, Carrie (1952), Friendly Persuasion (1956), Ben-Hur (1959)*, The Collector (1965), How to Steal a Millon (1966)
আব্বাস কিয়ারোস্তামি
Abbas Kiarostami Director / Screenwriter / Editor / Producer / Cinematographer
1940 - Born June 22, Teheran, Iran
যিনি কোন নিয়ম ভাঙারও ধার ধারেননি। সব ফেলে দিয়ে একেবারে নতুন ভাষা তৈরী করেছেন। সিনেমাকে এক নতুন রূপ দিয়েছেন। কিয়ারোস্তামির সিনেমা হল নতুন যুগের সিনেমা, পরিচালক এবং দর্শকের সিনেমা। তার সিনেমায় আধ্যাত্মিকতা ও দর্শনের প্রভাব লক্ষ্যনীয়। ফেলিনির কাব্যিকতাকে পূর্ণতা দেয়ার মাধ্যমে তিনি এক দিক দিয়ে ইরানী কবিতা আন্দোলনকেই পূর্ণ করেছেন। তিনি হলেন চলচ্চিত্রের কবি এবং কবিতার চলচ্চিত্রকার। সেদিক থেকে তার সিনেমার আয়ুই বোধহয় সবচেয়ে বেশি।
A Taste of Cherry (1997)*, The Wind Will Carry Us (1999)* Recommended: Where is the Friend's Home? (1987)*, Homework (1989), Close-Up (1989)*, And Life Goes On... (1992)*, Through the Olive Trees (1994)*, Ten (2002)^, Certified Copy (2009)
মিলশ ফরমান
Milos Forman Director / Screenwriter
1932 - Born February 18, Cáslav, Czechoslavakia
সমাজরূপী পাগলা গারদ থেকে কেবল একজনই পালাতে পেরেছিল- ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট অন্তরে গেঁথে নেয়ার মত সিনেমা। একজন পূর্বে, আরেকজন পশ্চিমে যায়- কিন্তু পূর্ব-পশ্চিম সবদিকেই দাড়িয়ে থাকে সমাজ। পালিয়ে যায় একজন, সমাজ ছেড়ে দূরে কোথাও। মোৎজার্টের জীবনী নিয়ে করা তার “আমাদেউস” সিনেমাটা চমৎকার।
Loves of a Blonde (1965)*, Taking Off (1971), One Flew Over the Cuckoo's Nest (1975)* Recommended: The Firemen's Ball (1967)*, The People vs. Larry Flynt (1996) Worth a Look: Black Peter (1964), Hair (1979), Ragtime (1981), Amadeus (1984)*, Man on the Moon (1999)
কুয়েন্টিন টারান্টিনো
সহিংসতাকে যিনি নৈসর্গ্যিক রূপ দিয়েছেন। টারান্টিনো হয়ত একদিন হঠাৎ বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবী থেকে কোনদিন সহিংসতা যাবে না। কিন্তু শিল্পী হয়ে এই সহিংসতার সাথে সহবাস করার উপায় কি? নিজেই সে উপায় বের করেছেন। সহিংসতা যখন যাবেই না, তখন বরং এটা নিয়ে রং-তামাশা করে সুখে থাকি। সেই থেকে তার সিনেমা বানানো শুরু। তাকে বলা যায় আর্টিস্ট অভ এক্সট্রিম ভালোলেন্স।
ভায়োলেন্সকে এক্সপ্রেসিভ আর্ট হিসাবে স্পষ্ট রুপায়ন করেছেন যা অবয়বগত ভাবেই মাধুর্যমণ্ডিত । তার অফবিটের এবং সাটিয়ারিক্যাল মুভিগুলোতে ক্রোনলজিক্যাল অর্ডারের কিছু ঘটনা স্তরবিচ্ছেদ ঘটিয়ে উপস্থাপন করার টেকনিক তিনি আপ্লাই করেন । পাল্প ফিকশন, রিজর্ভার ডগ্স, ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড্স, ফ্রম ডাস্ক টিল ডউন, জ্যাকি ব্রাউন মুভি গুলো তার স্বকীয়তায় ভাস্বর
ম্যাগপাই এমন একটা পাখি যে কিনা তার খাবার সংগ্রহ কিংবা আবাশ নির্মানে অত্যন্ত সাহসীকতার পরিচয় দেয় । এখান থেকে কিছু খড়কুটো তো আরেক জায়গা থেকে কোন উজ্জ্বল বস্তু অথবা কোন পতঙ্গের শুটকিট সবই সে প্রয়োজনে ব্যবহার করে । টরেন্টিনো কে কালচারাল ম্যাগপাই বলা যায় । । তার মুভির আরেকটি বিশেষত্ব হল পপ মিউজিকের ইউজ এবং লংসিকোয়েন্স ও অবশ্যই এক্সেপশনাল, বুদ্ধিদীপ্ত ও সার্প ডাইলগ।
ডেভিড ক্রোনেনবার্গ
David Cronenberg Director / Screenwriter / Producer
1943 - Born March 15, Toronto, Ontario, Canada
যার থ্রিলার অনেক দিক দিয়ে হিচককের চেয়ে আলাদা। তার মতে, হিচকক তার দর্শকদেরকে পুতুল মনে করতো আর তিনি তার দর্শকদের মানুষ মনে করেন। তার থ্রিলারে যে নগ্ন সহিংসতা দেখা যায় সেটার মানবিক গভীরতা হিচককের সাইকটিক সিনেমাগুলোর সাথে তুলনীয়। ক্রোনেনবার্গের আরেক বড় পরিচয় বডি হররের জনক হিসেবে। গুলির আঘাতে বিধ্বস্ত মুখমণ্ডল, ছুরি দিয়ে রসিয়ে রসিয়ে গলা কাটা- এগুলো তিনি ক্লোজ-আপ এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
A History of Violence (2005)*^, Eastern Promises (2007)^ Recommended: Videodrome (1983)*, The Fly (1986)*, Dead Ringers (1988)* Worth a Look: Shivers (1975), Rabid (1977), The Brood (1979), Scanners (1981), The Dead Zone (1983), Naked Lunch (1991), M. Butterfly (1993), eXistenZ (1999), Spider (2002)^
ক্লিন্ট ইস্টউড
Clint Eastwood Director / Actor / Producer / Composer
1930 - Born May 31, San Francisco, California, USA
অন্য কোন অভিনেতা পরিচালক হিসেবে এত নাম করতে পারেনি। তার মূল পরিচয় ষাটের দশকের ওয়েস্টার্ন হিরো নাকি এ যুগের অন্যতম সফল পরিচালক সেটা নিয়েই আমাদের দ্বিধায় পড়তে হয়। তার সফলতার পরিচয় বহন করছে দুই দুইবার অস্কার জয়- আনফরগিভেন (১৯৯৩) এবং মিলিয়ন ডলার বেবির (২০০৫) জন্য। তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে খুব বেশী বিশ্বাস করেন। ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতি থেকেই বোধহয় এই চেতনা এসেছে। কাঁদতে চাইলে ইস্টউডের সিনেমা দেখার বিকল্প নেই।
The Outlaw Josey Wales (1976)*, Unforgiven (1992)* Recommended: Play Misty for Me (1971), High Plains Drifter (1973), Breezy (1973), Honkytonk Man (1982), Bird (1988), The Bridges of Madison County (1995)*, Absolute Power (1996), Million Dollar Baby (2004)*^, Letters from Iwo Jima (2006)^, Gran Torino (2008)
সিডনি লুমেট
Sidney Lumet Director / Screenwriter / Producer
1924 - 2011 Born June 25, Philadelphia, Pennsylvania, USA
প্রথম সিনেমা দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন। “টুয়েলভ অ্যাংগ্রি মেন” (১৯৫৭) সিনেমাটা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ভাল লাগার মতো। সিনেমায় সবগুলো চরিত্র সমান গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তুলতে ওস্তাদ তিনি। তার সবগুলো চরিত্রই নিজের হয়ে কথা বলে।
ব্রায়ান ডি পালমা
Brian De Palma Director / Screenwriter
1940 - Born September 11, Newark, New Jersey, USA
জনপ্রিয় ধারার সিনেমাই বেশি করেছেন। “স্কারফেস” (১৯৮৩) ভোলার মত না। রিমেইক সিনেমাও এত নাম করতে পারে, স্কারফেস না দেখলে বিশ্বাস হতে চায় না। আল পাচিনোর এই রূপ অন্য কোথাও দেখিনি। তবে ইদানিং স্কট সাহেবের মত পালমাও বেশ হতাশ করছেন।
Blow Out (1981)*, The Untouchables (1987) Recommended: Carrie (1976)*, Scarface (1983)* Worth a Look: Sisters (1973), Phantom of the Paradise (1974), Dressed to Kill (1980), Casualties of War (1989), Raising Cain (1992), Carlito's Way (1993), Mission: Impossible (1996) Approach with Caution: Greetings (1968), Hi, Mom! (1970), Obsession (1976), The Fury (1978), The Black Dahlia (2005), Redacted (2007) Duds: Body Double (1984), Snake Eyes (1998), Mission to Mars (2000), Femme Fatale (2002)^
জর্জ লুকাস
George Lucas Director / Screenwriter
1944 - Born May 14, Modesto, California, USA
স্টার ওয়ার্সই তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের লেখক। এন্টারটেইনার হিসেবে স্পিলবার্গের পরই লুকাসের অবস্থান। স্টার ওয়ার্সের প্রথম দিককার সিনেমাগুলোর শিল্পমূল্য লক্ষ্য করার মত- বিশেষত সেগুলোতে ডিপ ফোকাসের ব্যবহার।
American Graffiti (1973)*, Star Wars (1977)*, Star Wars Episode I: The Phantom Menace (1999) Worth a Look: THX 1138 (1971), Star Wars: Episode III - Revenge of the Sith (2005) Approach with Caution: Freiheit (1966), Star Wars: Episode II - Attack of the Clones (2002)
জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরন
James Cameron Director / Screenwriter / Producer
1954 - Born August 16, Kapuskasing, Ontario, Canada
মূলত অ্যাকশন ধর্মী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি বিখ্যাত। এ ধরনের ছবিগুলোতে তাঁর উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। একই সাথে সেগুলোর ব্যবসায়িক সফলতাও লক্ষণীয়। তার চলচ্চিত্র নির্মাণের মুখ্য বিষয়বস্তু হল মানুষের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক। ক্যামেরন টাইটানিক ছবিটি রচনা, পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন। ১১টি ক্ষেত্রে অস্কার জয়ের পাশাপাশি এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী বিপুল আয় করেছিল। মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্র। এর মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া ক্যামেরন টার্মিনেটর ফ্রানচাইজ নির্মাণ করেছেন। নিজেই দি টার্মিনেটর ও টার্মিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে ছবি দুটির পরিচালক ও লেখক ছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনা না করলে সিনেমা নির্মাণ করে তিনি এখন পর্যন্ত আয় করেছেন প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।টাইটানিক-এর বিপুল সফলতার পর ক্যামেরন মূলত প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণে মনোযোগ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ত্রিমাত্রিক ক্যামেরন/পেইস ফিউশন ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন এভাটার সিনেমাটি। তাঁর কারিগরি দক্ষতা এবং স্বেচ্চায় ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতার জন্য তিনি অণুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
The Terminator (1984)*, Aliens (1986)*, Terminator 2: Judgment Day (1991)
* Worth a Look: The Abyss (1989) Approach with Caution: True Lies (1994), Titanic (1997), Avatar (2009)
স্টিভেন স্পিলবার্গ
স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র জীবন প্রায় চার দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ধরন নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা তিনি। এই চলচ্চিত্র তিনটি হল যথাক্রমে জস, ইটি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল এবং জুরাসিক পার্ক। চলচ্চিত্র জীবনের প্রথম দিকে তিনি যেসব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক এবং অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোকে হলিউডের আধুনিক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের আর্কটাইপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সময়ে তিনি মানবিক আবেগের দিক দিয়ে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বিষয়সমূহকে তাঁর চলচ্চিত্রের ধরন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দাসপ্রথা, যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস।
Robert Bresson Director / Screenwriter
1901 - 1999 Born September 25,
Bromont-Lamothe, Puy-de-Dôme, Auvergne, France
ফ্রান্সের ভিন্নধারার রূপকার হচ্ছেন তিনি। যাকে চেনা যায় ‘এ ম্যান এসকেপ্টেড’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে। যুদ্ধের যে ভিন্ন প্রকাশ থাকতে পারে যুদ্ধ না দেখিয়েও এই ছবিটা তার প্রমাণ।
Les Dames du Bois de Boulogne (1945)*, Diary of a Country Priest (1950)*, A Man Escaped (1956)*, Pickpocket (1959)*, Au hasard Balthazar (1966)*, Mouchette (1966)*, L'Argent (1983)* Recommended: Les Anges du peche (1943), Trial of Joan of Arc (1962), Une Femme douce (1969), Four Nights of a Dreamer (1972), Lancelot du Lac (1974)*, The Devil Probably (1977)
তথ্যসূত্র
আন্দ্রেই তার্কভ্স্কি
Andrei Tarkovsky Director / Screenwriter
1932 - 1986 Born April 4, Zavrazhe, Ivanono, Russia
তিনি সর্বকালের সেরা ১০০ জন চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে অন্যতম। সমালোচকদের কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক ইংমার বারিমান বলেছেন, "আমার কাছে তার্কভ্স্কিই সেরা পরিচালক, তিনি এমন এক পরিচালক যিনি চলচ্চিত্রের নতুন ভাষা তৈরি করেছেন। এ এমন এক ভাষা যা চলচ্চিত্রের প্রকৃতির জন্য খুব উপযোগী। এই ভাষা জীবনকে প্রতিফলন এবং স্বপ্ন হিসেবে তুলে ধরে।" তার্কভ্স্কির করা সেরা সিনেমাগুলো হচ্ছে, আন্দ্রে রুবলেভ, সোলিয়ারিস এবং স্টকার। পরিচালনার পাশাপাশি তার্কভ্স্কি চিত্রনাট্য রচনা, চলচ্চিত্রের তত্ত্ব প্রণয়ন এবং মঞ্চ পরিচালক হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রায় সবগুলো সিনেমাই সোভিয়েত ইউনিয়নে নির্মাণ করেছেন। শুধু শেষ দুটি সিনেমা দেশের বাইরে করা। শেষ দুটি সিনেমা ইতালি ও সুইডেনে নির্মাণ করেছেন। তার চলচ্চিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিকতা ও অধিবিদ্যাগত চিন্তাধারা, অতি দীর্ঘ দৃশ্যায়ন, সাধারণ সিনেমার মত নাটকীয় গঠন বা কাহিনীর অভাব এবং মনে রাখার মতো চিত্রগ্রহণ।
Ivan's Childhood (1962)*, Andrei Rublev (1966)*, Solaris (1972)*, Stalker (1979)* Worth a Look: The Mirror (1976)*, The Sacrifice (1986)* Approach with Caution: Nostalghia (1983)*
বার্নাডো বেরতোলুচ্চিঃ
Bernardo Bertolucci Director / Screenwriter
1940 - Born March 16, Parma, Emilia-Romagna, Italy
‘This is something that I dream about: to live films, to arrive at the point at which one can live for films, can think cinematographically, eat cinematographically, sleep cinematographically, as a poet, a painter, lives, eats, sleeps painting’ – বার্নাডো বেরতোলুচ্চি
ছোট বেলা থেকেই তাই ইচ্ছা ছিল বাবার মত কবি হবেন । পরবর্তিতে তিনি একজন এক্সপ্রেশনিষ্ট ফিল্মমেকার হিসাবে আবির্ভুত হন । অবশ্য তিনি কবিতাও লিখেন । তার মুভি গুলো তার সুররিয়ালিস্ট বা সিম্বলিষ্ট বা মেটারিয়ালিষ্ট আউটলুকের পরিচয় দেয় । যেমন, লাষ্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিসে গ্রে গোল্ডেন লাইটিং জেন আর পল এর রিলেশনশিপ এর সিম্বোলিক এক্সপ্রেশন । লাইটিং, এডিটিং, কালার এর ব্যবহার, ক্যামেরার মুভ প্রভৃতি প্রাত্যহিক জীবনের বাস্তবতা এই ইটালিয়ান পরিচালকের মুভির অন্যতম স্টাইল । তার মুভি যেন মাইক্রোষ্কোপের নিচে রাখা মানুষের আত্মা । সেক্স আর পলিটিক্স তার মুভির সবচেয়ে উল্লেখ্য থিম । ‘কনফ্রন্টিষ্ট’ ফেসিষ্ট আইডোলজির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ । লাষ্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস, ড্রিমার্স সহ অন্যান্য মুভিতে তিনি মানব জীবনে সেক্সুয়াল রিলেশনের সাইকোলজি ফুটিয়ে তুলেছেন । সমাজের বিভিন্নরকম যৌন সম্পর্কগুলো তিনি আইস্থেথিক্যালি ও রিয়েলিষ্টিক অ্যাটমোস্ফিয়ারে উপস্থাপন করেছেন ।
তিনি ইনসেস্টের মত বিতর্কিত বিষয়ও এসেছে তার মুভিতে । তাকে বলা যায় মাস্টার অভ ভয়ারিজম। ড্রিমার্স সিনেমায় তিনি নিজেই বলেছেন, “চলচ্চিত্রকার মানে ভয়ারিস্ট, ক্যামেরা হল তার গোপন বাইনোকুলার”। তবে এই ভয়ারিজমের আড়ালে তিনি জটিল মনস্তত্ত্বের ছাপ রেখেছেন । তার বায়োগ্রাফিক্যাল মুভি দ্যি লাষ্ট ইম্পেরর এনে দিয়েছিল নয়টি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ।
The Conformist (1969)* Recommended: The Spider's Stratagem (1970)*, The Last Emperor (1987)* Worth a Look: La Commare Secca (1962), Before the Revolution (1964), Last Tango in Paris (1973)*, 1900 (1976)*, Luna (1979), Tragedy of a Ridiculous Man (1981), The Sheltering Sky (1990), Little Buddha (1993), Stealing Beauty (1995), Besieged (1998) Approach with Caution: Partner (1968)**
অরসন ওয়েলসঃ
Orson Welles Director / Actor / Screenwriter / Producer
1915 - 1985
Born May 6, Kenosha, Wisconsin
যিনি চল্লিশের দশকে মার্কিন দর্শক ও ক্রিটিকদের ছয়টি ইন্দ্রিয়কে একসাথে আঘাত করেছিলেন। অর্ধ শতকের প্রচেষ্টায় নির্মিত সুরম্য অট্টালিকার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন শিল্পের এক নতুন প্রাসাদ। “সিটিজেন কেইন” (১৯৪১)- ইতিহাসের সবচেয়ে ইনোভেটিভ সিনেমা- এর পরিচালক হিসেবেই তিনি পরিচিত। কারণ এই সিনেমার ভাষা, সিনেমাটোগ্রাফি, থিম সবকিছুই ছিল একেবারে নতুন। এটাতেই প্রথম “ডিপ ফোকাস” দেখানো হয়েছিলো।
Citizen Kane (1941)*, The Magnificent Ambersons (1942)*, The Stranger (1946)#, The Lady from Shanghai (1948)*#, Othello (1952)*, Touch of Evil (1958)*# Recommended: The Fountain of Youth [TV] (1956), Chimes at Midnight (1966)* Worth a Look: Macbeth (1948), Mr. Arkadin (1955)#, The Trial (1963)*, The Immortal Story (1968), F for Fake (1973)*
আলফ্রেড হিচকক
(Alfred Hitchcock Director / Producer / Screenwriter
1899 – 1980
Born August 13, Leytonstone, London, England
শৈশবে দুষ্টুমির জন্য হিচককের বাবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রায়ই চিঠি দিয়ে পাঠাতেন যেন হিচকককে ১০ মিনিটের জন্য আটকে রাখা হয় । বড় হয়ে তিনি হলেন মাস্টার অব সাসপেন্স এবং রহস্যের জাদুকর । সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী ছবির এই কিংবদন্তী দর্শকদের নিয়ে পিয়ানোর মতো খেলতে ভালোবাসতেন । চলচ্চিত্র ইতিহাসে তাকেই প্রথম থ্রিলার কিংবা ভৌতিক ছবির সফল ও আধুনিক রূপকার ধরা হয় । আজও তার মুভি গুলো দর্শক, সমালোচকদের চিন্তার খোরাক জোগায় । হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়া মুভি গুলোর আবেদন আজও বিন্দুমাত্র কমেনি । তার মুভিতে ক্যামেরার মুভমেন্ট এমন যেভাবে দর্শক ভয়ারিষ্টিক চাহুনিতে উপভোগ করে থ্রিলিং সব মোমেন্ট গুলো । আমার দেখা হিচককের মুভি গুলো হল সাইকোলজিক্যাল বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সাইকো’, মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ‘রেবেকা’, ‘দ্য বার্ডস’, সাসপেন্সধর্মী গোয়েন্দা চলচ্চিত্র ‘নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট’, ‘ভার্টিগো’, ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ’, ‘রেয়ার উইন্ডো’, ‘স্ট্রেঞ্জার্স অফ এ ট্রেইন’, ‘রোপ’, ‘স্পেলবাউন্ড’, ‘নটরিয়াস’, ‘লাইফবোট’, ‘শ্যাডো অফ এ ডাউট’ । 'দ্য মোমেন্ট অব সাইকো' উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয় 'সাইকো'। উপন্যাসের লেখক মন্তব্য করেছিলেন, 'যে কোনো আমেরিকান থ্রিলারধর্মী ছবির জন্য এর প্রতিটি উত্তেজক দৃশ্য একেকটি নির্দেশনা হয়ে থাকবে। এটা ছবির জগতটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।' গোসলখানার ৪৫ সেকেন্ড ব্যাপ্তির সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দর্শকদের চিরকাল আতঙ্কিত করবে । হিচককের মুভির এন্ডিংয়ে টুইষ্ট অবশসম্ভাবী । ভীতি, ফ্যান্টাসি, হিউমার আর বুদ্ধিদীপ্ততা এই চারের কম্বিনেশনে প্লটগুলো মেইনলি মার্ডার, অপরাধ, ভায়োলেন্স উপর বেস করে নির্মিত । ফিল্ম মেকিয়ের অনেক টেকনিক্যাল বিষয় হিচকক আবিস্কৃত ।
Highly Recommended: The 39 Steps (1935)*, Rebecca (1940)*, Shadow of a Doubt (1943)*#, Notorious (1946)*#, Strangers on a Train (1951)*#, Rear Window (1954)*, Vertigo (1958)*, North by Northwest (1959)*, Psycho (1960)*, The Birds (1963)*, Marnie (1964)*
ফেদেরিকো ফেলিনি
Federico Fellini Director / Screenwriter / Actor
1920 - 1993
Born January 20, Rimini, Italy
জীবনকে কাব্যিকভাবে উপস্থাপন করার ধারা তিনিই শুরু করেছিলেন। কাব্যিক হওয়ার কারণেই ফেলিনির সিনেমায় বাস্তবতা আর স্বপ্নের মধ্যে পার্থক্য খুব কম। তার “এইট অ্যান্ড আ হাফ” সিনেমায় তো পার্থক্যটা একেবারেই লোপ পেয়েছে।
La Strada (1954)*, La Dolce vita (1960)* The White Sheik (1951), I Vitelloni (1953)*, Il Bidone (1955)*, 8½ (1963)*
Variety Lights (1950) [co-directed by Alberto Lattuada], Nights of Cabiria (1957)*, Juliet of the Spirits (1965)*, Spirits of the Dead (1968) [co-directed by Louis Malle & Roger Vadim], The Clowns (1971), Amarcord (1973)*, Orchestra Rehearsal (1979), City of Women (1981), And the Ship Sails On (1984)*, Fellini's Intervista (1987) Approach with Caution: Fellini Satyricon (1969)*, Fellini's Roma (1972)*, The Voice of the Moon (1990) Duds: Fellini's Casanova (1976)*
স্ট্যানলি কুবরিকঃ
Stanley Kubrick Director / Screenwriter / Producer
1928 - 1999
Born July 28, Manhattan, New York, New York, USA
চলচিত্রকার হিসাবে কুবরিক ‘ভিডি ওয়েল’ । চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা সৃজনশীল ও প্রভাবশালী নির্মাতা । তাকে বলা হয় চলচ্চিত্রের ঈশ্বর । কুবরিক তার সিনেমার সেটে সর্বব্যাপী, সর্বত্রচারী, সর্বগত এবং সর্বনিয়ন্তা- চূড়ান্ত পারফেকশনিস্ট । চলচ্চিত্রে যুগান্তকারী কৌশলের উদ্ভাবক । তার মুভিগুলোর অন্যতন বৈশিষ্ট্য হল খুব কাছ থেকে নেয়া ক্লোজ-আপে অভিনেতার অঙ্গভঙ্গি ও আবেগের স্পষ্ট প্রকাশ । ছবিতে তিনি জুম লেন্স আর ক্লাসিকাল মিউজিক এর সার্থক প্রয়োগ করেছেন । একই শট ১১৮ বার নিয়ে তিনি রেকর্ড করেছেন । কুবরিকের চলচ্চিত্রের অধিকাংশই বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকর্মের চিত্ররূপ । তার অধিকাংশ সিনেমাকেই নির্দিষ্ট কোন জেনারে স্পেসিফাই করা কঠিন ।
তার চলচ্চিত্রে সমাজ-সচেতনতা এবং সভ্যতার অবক্ষয় মূর্ত হয়ে উঠেছে। সিনেমার থিম মাথায় আসার পর কুবরিক গবেষণায় লেগে যেতেন । সিনেমা বানাতে প্রায় ৪-৫ বছর লাগতো ।তার সিনেমার প্রায় প্রতিটি চরিত্রই সমাজের একটা বৃহৎ অংশের প্রতিনিধিত্ব করতো । তাকে বলা যায় একজন সার্থক এক্সপ্রেশনিস্ট এবং সুররিয়ালিষ্ট । চরিত্রগুলোর সমাজ বাস্তবতাকে তিনি এস্কেপ করতেন, চরিত্রগুলোকে তিনি কাল্পনিক রুপ প্রদান করতেন নিজের মনের মত করে । আর একজন সচেতন ওপ্টিমিষ্ট হিসাবে এই আইরোনিক পেসিমিজম সৃষ্টির উদ্দেশ্য থাকতো চরিত্রগুলোকে বিদ্রুপ করা । যাতে তাদেরকে দেখে করূণা হয়, উপহাস করতে ইচ্ছে হয় । পার্ভাটিজম ও ভায়োলেন্স এর নান্দনিকায়ন তার মুভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
তার ১৩ সৃষ্টির মাঝে আমি দেখেছি 'পাথস অব গ্লোরি', 'স্পার্টাকাস', 'ললিতা', ড. স্ট্রেঞ্জলাভ অর: হাও আই লার্নড টু স্টপ ওরিয়িং অ্যান্ড লাভ দ্য বম, '২০০১: এ স্পেস ওডেসি', 'এ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ', 'ফুল মেটাল জ্যাকেট' ও 'আইস ওয়াইড শাট' । 'এ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ' এর টিনএজ হুলিগান আলেক্স ডি লার্জ আমার ভাষ্যমতে তার সৃষ্ট সেরা চরিত্র আলেক্সজেন্ডার কোহেন আলেক্স ডি লার্জ চরিত্রটি সম্পর্কে বলেছিলেন ‘seeking idle de-contextualized violence as entertainment as an escape from the emptiness of their dystopian society’ ।
The Killing (1956)*#, Paths of Glory (1957)*, Spartacus (1960)*, Dr. Strangelove (1964)*, 2001: A Space Odyssey (1968)*, Full Metal Jacket (1987)* Recommended: Killer's Kiss (1955)#, Lolita (1962)*, Barry Lyndon (1975)*, The Shining (1980)*, Eyes Wide Shut (1999)* Worth a Look: Day of the Fight (1951), A Clockwork Orange (1971)*
আকিরা কুরোসাওয়াঃ
Akira Kurosawa Director / Screenwriter / Editor / Producer
1910 - 1998
Born March 23, Omori, Tokyo, Japan
আরেক পারফেকশনিস্ট। যুদ্ধের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া একটি দেশকে বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই তার সিনেমার অনেকটা জুড়ে থাকে মানুষের দুঃখ-কষ্ট, হিংস্রতা, বিশ্বাসঘাতকতা। আত্মপীড়নও মাঝেমাঝে দেখা যায়। এই কষ্ট থেকেই বোধহয় তিনি শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডিগুলোকে সেলুলয়েডে বন্দি করেছিলেন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল শেক্সপিয়ারিয়ান চলচ্চিত্রকার।
Rashomon (1950)*, Ikiru (1952)*, The Seven Samurai (1954)*, Ran (1985)* Recommended: Drunken Angel (1948), Stray Dog (1949)*, Throne of Blood (1957)*, The Hidden Fortress (1958), High and Low (1963)*, Dodes'ka-den (1970) Worth a Look: One Wonderful Sunday (1947), The Quiet Duel (1949)**, The Idiot (1951), I Live in Fear (1955), The Lower Depths (1957), The Bad Sleep Well (1960), Yojimbo (1961)*, Sanjuro (1962), Red Beard (1965)*, Dersu Uzala (1975)*, Kagemusha (1980)*, Akira Kurosawa's Dreams (1990), Rhapsody in August (1990), Madadayo (1993)
ইংমার বার্গম্যানঃ
Ingmar Bergman Director / Screenwriter / Producer
1918 - 2007 Born July 14, Uppsala, Uppland, Sweden
সুইডেনে ধর্ম পালনের হার সবচেয়ে কম হলেও বার্গম্যান বড় হয়েছেন কড়া ধর্মীয় পরিবেশে। সবাই আত্ম-আত্মা, জীবন-মরণ, সসীম-অসীম নিয়ে প্রশ্ন করে। ছোটবেলায় তিনি বোধহয় এই প্রশ্নগুলোর খুব কড়া জবাব পেয়েছিলেন যা তার অতিরিক্ত সংবেদনশীল মনকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সিনেমা আর মঞ্চ নাটক দিয়ে আজীবন সেই মন পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন। তার “গড ট্রাইলজি”-তে এক অদ্ভুত ঈশ্বরানুভূতির সন্ধান পাওয়া যায়। বার্গম্যান কে বলতে হবে চলচ্চিত্রের দার্শনিক এবং দর্শনের চলচ্চিত্রকার।
Wild Strawberries (1957)*, Cries and Whispers (1972)* Recommended: Sawdust and Tinsel (1953)*, Smiles of a Summer Night (1955)*, The Seventh Seal (1957)*, The Virgin Spring (1959)*, Through a Glass Darkly (1962), Winter Light (1962)*, Persona (1966)*, Shame (1968), Scenes from a Marriage (1973)*, Fanny and Alexander (1982)*, Saraband (2003)^
ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা
Francis Ford Coppola Director / Screenwriter / Producer
1939 -
Born April 7, Detroit, Michigan, USA Key Production Country: USA
যুদ্ধ কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই দর্শন আর সমাজবিজ্ঞানের কাছে হাত পাততে হবে, কিন্তু উত্তরটা উপলব্ধি করতে হলে দেখতে হবে কপোলার “অ্যাপোক্যালিপ্স নাউ”। এখন পর্যন্ত নির্মীত সেরা যুদ্ধবিরোধী সিনেমা। দেবতা-অসুর, অক্ষশক্তি-মিত্রশক্তি যাই বলি না কেন- যুদ্ধ মানে খেলাচ্ছলে নিজের অপরূপ সৃষ্টিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া। এই খেলা আমরা দেখেছি গডফাদারে। আর খেলা শেষের ভাঙা খেলাঘর দেখানো হয়েছে অ্যাপোক্যালিপ্স নাউ-এর শেষ ৩০ মিনিটে।
The Godfather (1972)*, The Godfather Part II (1974)*, The Conversation (1974)*, Apocalypse Now (1979)* Recommended: Rumble Fish (1983) Worth a Look: The Rain People (1969), One from the Heart (1982), Peggy Sue Got Married (1986), Tucker: The Man and His Dream (1988), The Godfather Part III (1990)*, Bram Stoker's Dracula (1992) Approach with Caution: Dementia 13 (1963), You're a Big Boy Now (1966), The Outsiders (1983), The Cotton Club (1984), Gardens of Stone (1987), New York Stories (1989) [co-directed by Martin Scorsese & Woody Allen], The Rainmaker (1997) Duds: Jack (1996)
জঁ লুক গোদার
Jean-Luc Godard Director / Screenwriter / Actor / Editor / Producer
1930 - Born December 3, Paris, France
নিয়ম ভাঙার কারিগর। সিনেমার জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রথাবিরোধী- নির্মাণ কৌশল এবং রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি- দুদিক দিয়েই। হলিউডের গতানুগতিক ঘ্যাচাং-ঘ্যাচাং অ্যাকশন-কমেডিকে ব্যাঙ্গ করে গেছেন আজীবন। তৎকালীন ফ্রান্সের তথাকথিত মূল্যবোধকে ময়লা ভেবে ঝেড়ে ফেলেছেন। সতীর্থদের সাথে মিলে জন্ম দিয়েছেন সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র আন্দোলনের- নুভেল ভাগ বা ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ বা ফরাসি নবতরঙ্গ।
Breathless (1959)*, Une Femme est une femme (1961)*, Contempt (1963)*, Bande à part (1964)*, A Married Woman (1964), Pierrot le fou (1965)*, Masculin Feminin (1966)*
চার্লি চ্যাপলিন
Charles Chaplin Director / Screenwriter / Producer / Actor / Editor / Composer
1889 - 1977 Born April 16,
Walworth, London, England Key Production Country: USA
হাসিমুখে যিনি চপেটাঘাত করতে পারতেন। পৃথিবী থেকে চলচ্চিত্র শিল্প বিলুপ্ত হয়ে গেলেও নাকি যার শিল্পকর্ম টিকে থাকবে। মুখমণ্ডলে যিনি ভয়ংকর সমাজ-সচেতনতা ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।
The Circus (1928)*, Modern Times (1936)*, The Great Dictator (1940)*, Monsieur Verdoux (1947)*
বিলি ওয়াইল্ডার
Billy Wilder Director / Screenwriter / Producer
1906 - 2002 Born June 22, Sucha beskidzka, Poland
শক্তিশালী সিনেমাটোগ্রাফির বদলে যিনি শক্তিশালী চিত্রনাট্য ও পরিপূর্ণ কাহিনীকে গুরুত্ব দিতেন। রাজনীতির ও সমাজের বদলে তিনি ছিলেন মানব সচেতন। গতানুগতিক বিনোদনের মধ্যেও তিনি শিল্পের জন্ম দিয়েছিলেন। তার “সাম লাইক ইট হট” অনেকের মতে সর্বকালের সেরা কমেডি সিনেমা।
Five Graves to Cairo (1943), Double Indemnity (1944)*^, The Lost Weekend (1945)^, Sunset Blvd. (1950)*^, Ace in the Hole (1951)*^
মার্টিন স্করসেজিঃ
Martin Scorsese Director / Producer / Screenwriter
1942 - Born November 17, Queens, New York, USA
"You talking to me? You talking' to me? You talkin' to me? Then who the hell else are you talking... you talking to me? Well I'm the only one here. Who the fuck do you think you're talking to? Oh yeah? OK."
রবার্ট ডি নিরো ডাইলোক টা খুব ফেভারিট । ট্যাক্সি ড্রাইভারের একটা জনপ্রিয় ডাইলোক । ট্যাক্সি ড্রাইভার, রেজিং বুল, গুডফেলাস, এজ অফ ইনোসেন্স, দ্যা ডিপার্টেড, ক্যাসিনো এই মুভির লিষ্ট যার সৃষ্টি তিনি মার্টিন স্করসেজি । তার মুভিতে বিপথগামী কিছু চরিত্রের ক্রেইজিনেস, টেনশন আর কনফ্লিক্ট মুর্ত হয়েছে যেখানে তারা মুক্তির পথের খোঁজে ছুটে বেড়ায় । তার সিনেমার বাস্তবে ছুটে বেড়ানো প্রচণ্ডভাবে অস্তিত্বশীল সাধারণ চরিত্রগুলো অসাধারন হয়ে উঠে । সহিংস এবং বেদনাদায়ক পথকেই শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন । মুভির শেষে দেখা যায় চরিত্রগুলো যেই অসীমে ছিল সেই অসীমেই রয়ে গেছে । ট্যাক্সি ড্রাইভারের ট্রাভিস বিকেল আমার দেখা অন্যতম অবসেশনাল চরিত্র । রবার্ট ডি নিরো স্করসেজির আটটি মুভিতে অভিনয় করেছেন । ইগোইজম, বাস্তব-সংগতি, ইমোশন আর স্যালভেশন এই চারের সম্মিলনে গড়ে উঠে তার ফিল্ম গুলো ।
Mean Streets (1973)*, Taxi Driver (1976)*, New York, New York (1977)*, Raging Bull (1980)*, The King of Comedy (1983)*, The Last Temptation of Christ (1988)*, Good Fellas (1990)*, Cape Fear (1991), The Age of Innocence (1993)*, Casino (1995)*, Kundun (1997)
ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম মুর্নাউ
F.W. Murnau Director / Producer / Screenwriter
1888 - 1931
Born December 28, Bielefeld, North-Rhine-Westphalia, Germany
যার উচ্চাভিলাষ সকল পর্বতের চূড়া ছাড়িয়ে গেছে। অকাল মৃত্যু না হলে তিনি যে কত কি করে দেখাতেন সেটা ভাবতে গিয়ে একালের সিনেমোদীদের দম বন্ধ হয়ে আসে। ড্রাকুলা নিয়ে করা প্রথম সিনেমা তার, নাম নসফেরাতু (১৯২২)- জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের সর্বোৎকৃষ্ট উপহারগুলোর একটি। শুধু ছবি দিয়ে কথা বলতে চাইলে আমাদের বারবারই তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
Nosferatu (1922)*, The Last Laugh (1924)*, Faust (1926)*, Sunrise (1927)*, City Girl (1929)*, Tabu (1931)* Worth a Look: Phantom (1922), Tartuffe (1926)
ফ্রিৎস লাং
Fritz Lang Director / Screenwriter / Producer
1890 - 1976
Born December 5, Vienna, Austria
মাস্টার অভ ডার্কনেস। তার “মেট্রোপলিস” (১৯২৭) নির্বাক যুগের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। এত ব্যয় করেছিলেন কেবল মানব সভ্যতার ডার্কনেস তুলে ধরার জন্য। প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সভ্যতার রূপ তিনি সেকালেই উপলব্ধি করেছিলেন; মেট্রোপলিসের শিল্প কারখানার আন্ডারগ্রাউন্ড যেন সভ্যতার অন্ধকার ভিত্তিভূমিকেই নির্দেশ করে। ইনিই হলিউডী ফিল্ম নয়ারের জনক। সিনেমাটগ্রাফিক স্টাইলের মাধ্যমে মানুষের অন্ধকার দিক তিনিই প্রথম তুলে ধরেছিলেন, “এম” (১৯৩১) সিনেমাতে।
M (1931)*, Fury (1936), You Only Live Once (1937)*, The Woman in the Window (1944)*#, Scarlet Street (1945)*#, Secret Beyond the Door (1948)#, The House by the River (1950)#, Clash by Night (1952)#, The Big Heat (1953)*#, While the City Sleeps (1956)*#
ফ্রঁসোয়া ত্রুফো
François Truffaut Director / Screenwriter / Producer / Actor
1932 - 1984 Born February 6, Paris, France
নুভেল ভাগের আরেক স্বপ্নদ্রষ্টা। তার সিনেমা যেন তার জীবনেরই প্রতিধ্বনি। এরকমটা একটা জীবন না পেলে “দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোস” এর মত সিনেমা বানাতে পারতেন কি-না কে জানে। উল্লেখ্য ত্রুফো জীবন শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে। সিনেমার বিখ্যাত “ওটার তত্ত্ব” তাদেরই (তৎকালীন ফরাসি ক্রিটিক গোষ্ঠী) দেয়া।
The 400 Blows (1959)*, Shoot the Piano Player (1960)*, Jules et Jim (1961)*, The Soft Skin (1964), Stolen Kisses (1968), Day for Night (1973)*
ডেভিড লিন
David Lean Director / Screenwriter / Editor
1908 - 1991 Born March 25, Croydon, Surrey, England
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া এবং ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই এর নির্মাতা হিসেবে ডেভিড লিনের সাথে অনেকেই পরিচিত। এপিক সিনেমা বানাতে তার জুড়ি নেই। মানব জীবনের মহিমা রূপায়নে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
Great Expectations (1946),* Oliver Twist (1948) Recommended: In Which We Serve (1942) [co-directed by Noel Coward], Brief Encounter (1945)*, Blithe Spirit (1945), Madeleine (1949), Passionate Friends (1949), Hobson's Choice (1954), Summertime (1955), Lawrence of Arabia (1962)*
স্টিভেন স্পিলবার্গ
Steven Spielberg Director / Producer / Screenwriter
1946 - Born December 18, Cincinnati, Ohio, USA
স্পিলবার্গ সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনিং চলচ্চিত্র শিল্পী। বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য এবং সমালোচক মহলে প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা কজনার ভাগ্যে জোটে? তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী চলচ্চিত্রকারও- সিনেমা বানিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন। ৭০-৮০-৯০ এই তিন দশকের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি তিনটাই তার করা: জস, ইটি এবং জুরাসিক পার্ক। ইটির শিল্পমূল্য এবং শিন্ডলার্স লিস্টের মানবতাবোধই তাকে সবচেয়ে বেশি মহিমান্বিত করেছে।
Duel (1971)*, Raiders of the Lost Ark (1981)*, The Color Purple (1985), Schindler's List (1993)*, Saving Private Ryan (1998)* Recommended: Jaws (1975)*, Close Encounters of the Third Kind (1977)*, E.T. The Extra Terrestrial (1982)*, Catch Me if You Can (2002) Worth a Look: The Sugarland Express (1974), Indiana Jones and the Temple of Doom (1984), Indiana Jones and the Last Crusade (1989), Jurassic Park (1993), The Lost World: Jurassic Park (1997), Amistad (1997), A.I. Artificial Intelligence (2001)*^, Minority Report (2002)^, War of the Worlds (2005), Munich (2005)^ Approach with Caution: 1941 (1979), Empire of the Sun (1987), Hook (1991), The Terminal (2004), Indiana Jones and the Kingdom of the Crystal Skull (2008) Duds: Always (1989)
ভিত্তোরিও দে সিকা
Vittorio De Sica Director / Screenwriter / Actor
1902 - 1974 Born July 7, Sora, Latium, Italy
মানুষের আত্মাকে যিনি ভিডিও করতে পারতেন। আত্মা নিয়ে অনেকে গবেষণা করলেও আত্মার সন্ধান খুব কম চলচ্চিত্রকারই পেয়েছে- দে সিকা সেই কয়েকজনের মধ্যে সেরা। নগ্ন বাস্তবতা দিয়েও যে শিল্প সৃষ্টি করা যায়, “বাইসাইকেল থিফ” (১৯৪৮) এ আমরা সেটাই দেখেছি। টু উইমেন (১৯৬০) এর ধর্ষণ দৃশ্যের আর্তনাদ ডি সিকার কারণেই আমাদের কাছে মানবতার আর্তনাদ হিসেবে ধরা দিয়েছে। উল্লেখ্য ডি সিকা ইতালিয়ান নিওরিয়েলিজম আন্দোলনের পথিকৃৎ।
The Children Are Watching Us (1944), Bicycle Thieves (1948)*, Umberto D. (1952)* Recommended: Shoeshine (1946)*, Two Women (1960) Worth a Look: Miracle in Milan (1951)*, The Gold of Naples (1954), The Condemned of Altona (1962), The Garden of the Finzi-Continis (1971) Duds: Indiscretion of an American Wife (1953)
সত্যজিৎ রায়
Satyajit Ray Director / Screenwriter / Composer / Producer
1921 - 1992 Born May 2, Calcutta, West Bengal, India
যার সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবে না। রাসা-ভক্ত সত্যজিৎ ক্লোজ-আপ এর মাধ্যমে মানুষের মুখমণ্ডলে মানবতা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। তার সিনেমার অদ্ভুত তারল্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের সকল সিনেমোদীর কাছে আপন করে তুলেছে। তার “অপু ত্রয়ী” সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্ল্যাসিকের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সত্যজিৎ পুরো একটি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড নির্মাণ করেছেন। পরিচালনা, চিত্রনাট্য, আবহ সঙ্গীত, চিত্রগ্রহণ, পোস্টার তৈরী, শিল্প নির্দেশনা সব দিকেই ছিলেন সমান পারঙ্গম।
Aparajito (1956)*, The Music Room (1958)*, The World of Apu (1959)*, Charulata (1964)* Recommended: Pather Panchali (1955)*, Kanchenjungha (1962), The Big City (1963), Days and Nights in the Forest (1969)*, Distant Thunder (1973), Pikoor Diary [TV] (1981) Worth a Look: Devi (1960), Two Daughters (1961), Siddhartha and the City (1970), The Home and the World (1984)**, The Branches of the Tree (1990)
উডি অ্যালেন
Woody Allen Director / Screenwriter / Actor
1935 - Born December 1, Brooklyn, New York, USA
প্রেম এবং কামের চলচ্চিত্রকার। তার অ্যানি হলেই বোধহয় আমরা প্রথমবারের মত সেক্স-কমেডি দেখেছি। মানব-মানবীরা যতদিন প্রেম করবে ততদিনই উডি অ্যালেনের সিনেমা জীবন্ত থাকবে।
Annie Hall (1977)*, Manhattan (1979)*, Hannah and Her Sisters (1986)*, Crimes and Misdemeanors (1989)*, Bullets Over Broadway (1994) Recommended: Bananas (1971), Sleeper (1973), Love and Death (1975), Stardust Memories (1980), Zelig (1983)*, Broadway Danny Rose (1984)*, Radio Days (1987)*, Husbands and Wives (1992), Mighty Aphrodite (1995), Everyone Says I Love You (1996), Deconstructing Harry (1997), Sweet and Lowdown (1999), Small Time Crooks (2000), The Curse of the Jade Scorpion (2001), Match Point (2005)^
রোমান পোলানস্কি
Roman Polanski Director / Screenwriter / Producer / Actor
1933 - Born August 18, Paris, France
Key Production Countries: UK, France, USA, Poland
মানুষের নিঃসঙ্গতা তীব্র আবেদন নিয়ে ধরা দিয়েছে যার সিনেমাতে। মানুষকে তিনি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এমন সব জায়গায় নিয়ে গেছেন যেখানে প্রেম-দ্রোহ-শিল্পের জন্ম হয়।
Rosemary's Baby (1968)*, Chinatown (1974)* Recommended: Knife in the Water (1962), Repulsion (1965)*, Cul-de-sac (1966)*, Tess (1979), Death and the Maiden (1994), The Pianist (2002)^, Oliver Twist (2005) Worth a Look: Two Men and a Wardrobe (1958), Mammals (1962), Macbeth (1971), Frantic (1988), The Ninth Gate (1999), The Ghost Writer (2010)^ Approach with Caution: What? (1973), The Tenant (1976)*, Bitter Moon (1992) Duds: The Fearless Vampire Killers (1967)
ফ্রাংক কাপরা
Frank Capra Director / Producer
1897 - 1991 Born May 18, Bisaquino, Sicily, Italy
হলিউডের স্বর্ণযুগের মানুষ। স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে যে কজন পরিচালক শিল্পমুল্য ধরে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে কাপরা সেরা। তার রোমান্টিক এবং সামাজিক কমেডিগুলোতে আবহ সঙ্গীতের যথার্থ প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় যা সেকালের হলিউডে ছিল না বললেই চলে। তার “ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট” (১৯৩৪) আমার অল টাইম ফেভারিট। কাপরার ক্যামেরায় কেবল সুখী মানুষেরাই স্থান পেয়েছে- যারা ক্ষেত্রবিশেষে দুঃখ অনুভব করলেও একসময় পরিপূর্ণ সুখের সন্ধান পায়। “ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ” (১৯৪৬) সেদিকটাই তুলে ধরে।
Mr. Deeds Goes to Town (1936), Mr. Smith Goes to Washington (1939)*, It's a Wonderful Life (1946)* Recommended: The Bitter Tea of General Yen (1933)*, It Happened One Night (1934)*, Meet John Doe (1941)
সের্জিও লেওনে
Sergio Leone Director / Screenwriter
1929 - 1989 Born January 3, Rome, Italy
মানুষের অতি সূক্ষ্ণ সব অনুভূতিকে অতি সূক্ষ্ণ উপায়ে তুলে ধরার একটা উপায় তিনি আবিষ্কার করেছিলেন- সেটা হল বিগ ক্লোজ আপ। তার সিনেমার অনেক দৃশ্যে কেবল এক জোড়া চোখ দেখা যায়, পুরো স্ক্রিন জুড়ে। মার্কিন সভ্যতার বিবর্তন নিয়ে তার আগ্রহের কারণেই আমরা ডলার্স ট্রাইলজির মত অসাধারণ ওয়েস্টার্ন পেয়েছি। ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন দ্য ওয়েস্টের মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির পতন প্রত্যক্ষ করেছি। আর ওয়ান্স আপোন আ টাইম ইন অ্যামেরিকাতে দেখেছি- নব্য সহিংসতাকে কেন্দ্র করে মানুষ জেগে উঠছে। লেওনে আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেন- তার চরিত্রগুলো যত হিংস্রই হোক- সবাই হোমো স্যাপিয়েন্স।
For a Few Dollars More (1965), The Good, the Bad and the Ugly (1966)*, Once Upon a Time in the West (1968)*, Once Upon a Time in America (1984)* Recommended: A Fistful of Dollars (1964) Worth a Look: Fistful of Dynamite (1971)
বেরনার্দো বেরতোলুচ্চি
Bernardo Bertolucci Director / Screenwriter
1940 - Born March 16, Parma, Emilia-Romagna, Italy
বলা যায় মাস্টার অভ ভয়ারিজম। ভয়ারিজম মানে ঈক্ষণকাম, অর্থাৎ লুকিয়ে লুকিয়ে অন্যের রতিকর্ম উপভোগ করা। সমাজের সবচাইতে গোপন যৌন সম্পর্কগুলো তিনি নির্লজ্জের মত সবার সামনে তুলে ধরেন। ড্রিমার্স সিনেমায় তিনি নিজেই বলেছেন, “চলচ্চিত্রকার মানে ভয়ারিস্ট, ক্যামেরা হল তার গোপন বাইনোকুলার”। তিনি ইনসেস্ট তথা অজাচারের মত বিতর্কিত বিষয়েরও বস্ত্রহরণ করেছেন। তবে এই ভয়ারিজমের আড়ালে তিনি জটিল মনস্তত্ত্বের ছাপ রেখে দেন, একটু লক্ষ্য করলেই যা বোঝা যায়। এজন্য অনেক বিতর্কের পরও তিনি সম্মানিত, কারণ তিনি শিল্পী।
The Conformist (1969)* Recommended: The Spider's Stratagem (1970)*, The Last Emperor (1987)* Worth a Look: La Commare Secca (1962), Before the Revolution (1964), Last Tango in Paris (1973)*, 1900 (1976)*, Luna (1979), Tragedy of a Ridiculous Man (1981), The Sheltering Sky (1990), Little Buddha (1993), Stealing Beauty (1995), Besieged (1998) Approach with Caution: Partner (1968)**
রিডলি স্কট
Ridley Scott Director / Producer
1937 - Born November 30, South Shields, Tyne and Wear, England
শুধু “ব্লেড রানার” করে মারা গেলেও যাকে আমরা আজীবন মনে রাখতাম। কুবরিকের “২০০১: আ স্পেস অডিসি” যে ভিজ্যুয়াল স্টাইলের জন্ম দিয়েছিল সেটার পুনরুত্থান ঘটেছে ব্লেড রানারে যা পরবর্তীতে অনেক পরিচালককে প্রভাবিত করেছে। ব্লেড রানারে এত বেশি থিমের সার্থক সমন্বয় ঘটেছে যে আজ থেকে লক্ষ-কোটি বছর পরও এটার প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না। তবে ইদানিং রিডলি স্কট আমাদের বেশ হতাশ করছেন।
Blade Runner (1982)* Recommended: The Duellists (1977), Alien (1979)*, Thelma & Louise (1991)*, Gladiator (2000)^ Worth a Look: Someone to Watch Over Me (1987), Matchstick Men (2003), American Gangster (2007) Approach with Caution: Legend (1985), Black Hawk Down (2001)^, Kingdom of Heaven (2005), Body of Lies (2008) Duds: 1492: Conquest of Paradise (1992), Hannibal (2001)
জর্জ কিউকর
George Cukor Director
1899 - 1983 Born July 7, New York, New York, USA
সুনীল বলেছিলেন, হলিউডের আমাদেরকে দেয়া সেরা উপহার হচ্ছে মিউজিক্যাল সিনেমাগুলো। কিউকরের “মাই ফার্স্ট লেডি” দেখার পর সে কথার মর্ম বুঝেছি।
Holiday (1938)*, The Women (1939), The Philadelphia Story (1940)*, Adam's Rib (1949), A Star is Born (1954)*, Bhowani Junction (1956), My Fair Lady (1964)*
ভের্নার হের্ৎসগ
Werner Herzog Director / Screenwriter / Producer
1942 - Born September 5, Munich, Germany
জার্মান নিউ ওয়েভের প্রতিনিধি। যিনি মানুষের মনে অ্যাডভেঞ্চার জাগিয়ে তুলেন। যিনি স্রোতহীন নদীর স্লো শট দেখিয়েও আমাদের মনকে আন্দোলিত রতে পারেন। তার “আগির্রে, ডের ৎসর্ন গটেস” (১৯৭২) আমার দেখা সেরা ট্র্যজেডি এবং অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। তার ছবিতে অসম্ভব স্বপ্নকে তাড়া করে বেড়ানো নায়ক চরিত্র এবং খুব সাধারণ কোন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনন্য গুণের পরিচয় পাওয়া যায়।
Signs of Life (1968), Land of Silence and Darkness (1971), Fata Morgana (1971), Aguirre: The Wrath of God (1972)*, The Great Ecstasy of Woodcarver Steiner (1974), The Enigma of Kaspar Hauser (1974)*, Stroszek (1977), Nosferatu the Vampyre (1979), Lessons of Darkness (1992)*, Little Dieter Needs to Fly (1997)**, Grizzly Man (2005)^
ডেভিড লিঞ্চ
David Lynch Director / Screenwriter / Producer
1946 - Born January 20, Missoula, Montana, USA
অবচেতনের পরাবাস্তব শিল্পী। আধুনিক চলচ্চিত্রে প্রথম যুগের শৈল্পিক মাধুর্য্য ফিরিয়ে এনেছেন তিনি, তবে এক্সপ্রেশনিজম বা ইমপ্রেশনিজমের বদলে সাররিয়েলিজমের মাধ্যমে। তার সিনেমাতেও বাস্তব-অবাস্তবের সীমারেখা ঝাপসা। ট্রান্সেন্ডেন্টাল মেডিটেশন থেকে তিনি শিল্পের অনুপ্রেরণা পান। তাকে বলা যায় এ যুগের পাগলা ডিরেক্টর। মানুষের “ভীতি” এবং “সম্মান” তার সিনেমার প্রধান বিষয়বস্তু।
Blue Velvet (1986)*, The Straight Story (1999), Mulholland Dr. (2001)*^ Recommended: The Elephant Man (1980)* Worth a Look: The Grandmother (1970), Dune (1984), Inland Empire (2006)^ Approach with Caution: Eraserhead (1976)*, Wild at Heart (1990)* Duds: Twin Peaks: Fire Walk with Me (1992), Lost Highway (1996)*
উইলিয়াম ওয়াইলার
William Wyler Director / Producer
1902 - 1981
Born July 1, Mulhouse, Haut-Rhin, Alsace, France
তার একটা সিনেমাই আমি দেখেছি: রোমান হলিডে- আমার জীবনে দেখা সেরা রোমান্টিক কমেডি। পুরো সিনেমা জুড়ে এতসব মনকাড়া দৃশ্যের পর হৃদয় বিদারক সমাপ্তিটাই আমাকে রোমান হলিডের সাথে যুক্ত করে রেখেছে। এই মোহ থেকে কোনদিন মুক্তি পাব না, মুক্তি পেতে চাইও না।
Dodsworth (1936), The Best Years of Our Lives (1946)*, Detective Story (1951)# Recommended: Dead End (1937), Jezebel (1938), Wuthering Heights (1939), The Letter (1940)#, The Little Foxes (1941), Roman Holiday (1953)*, The Desperate Hours (1955)# Worth a Look: The Good Fairy (1935), These Three (1936), The Westerner (1940), Mrs. Miniver (1942), The Heiress (1949)*, Carrie (1952), Friendly Persuasion (1956), Ben-Hur (1959)*, The Collector (1965), How to Steal a Millon (1966)
আব্বাস কিয়ারোস্তামি
Abbas Kiarostami Director / Screenwriter / Editor / Producer / Cinematographer
1940 - Born June 22, Teheran, Iran
যিনি কোন নিয়ম ভাঙারও ধার ধারেননি। সব ফেলে দিয়ে একেবারে নতুন ভাষা তৈরী করেছেন। সিনেমাকে এক নতুন রূপ দিয়েছেন। কিয়ারোস্তামির সিনেমা হল নতুন যুগের সিনেমা, পরিচালক এবং দর্শকের সিনেমা। তার সিনেমায় আধ্যাত্মিকতা ও দর্শনের প্রভাব লক্ষ্যনীয়। ফেলিনির কাব্যিকতাকে পূর্ণতা দেয়ার মাধ্যমে তিনি এক দিক দিয়ে ইরানী কবিতা আন্দোলনকেই পূর্ণ করেছেন। তিনি হলেন চলচ্চিত্রের কবি এবং কবিতার চলচ্চিত্রকার। সেদিক থেকে তার সিনেমার আয়ুই বোধহয় সবচেয়ে বেশি।
A Taste of Cherry (1997)*, The Wind Will Carry Us (1999)* Recommended: Where is the Friend's Home? (1987)*, Homework (1989), Close-Up (1989)*, And Life Goes On... (1992)*, Through the Olive Trees (1994)*, Ten (2002)^, Certified Copy (2009)
মিলশ ফরমান
Milos Forman Director / Screenwriter
1932 - Born February 18, Cáslav, Czechoslavakia
সমাজরূপী পাগলা গারদ থেকে কেবল একজনই পালাতে পেরেছিল- ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট অন্তরে গেঁথে নেয়ার মত সিনেমা। একজন পূর্বে, আরেকজন পশ্চিমে যায়- কিন্তু পূর্ব-পশ্চিম সবদিকেই দাড়িয়ে থাকে সমাজ। পালিয়ে যায় একজন, সমাজ ছেড়ে দূরে কোথাও। মোৎজার্টের জীবনী নিয়ে করা তার “আমাদেউস” সিনেমাটা চমৎকার।
Loves of a Blonde (1965)*, Taking Off (1971), One Flew Over the Cuckoo's Nest (1975)* Recommended: The Firemen's Ball (1967)*, The People vs. Larry Flynt (1996) Worth a Look: Black Peter (1964), Hair (1979), Ragtime (1981), Amadeus (1984)*, Man on the Moon (1999)
কুয়েন্টিন টারান্টিনো
সহিংসতাকে যিনি নৈসর্গ্যিক রূপ দিয়েছেন। টারান্টিনো হয়ত একদিন হঠাৎ বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবী থেকে কোনদিন সহিংসতা যাবে না। কিন্তু শিল্পী হয়ে এই সহিংসতার সাথে সহবাস করার উপায় কি? নিজেই সে উপায় বের করেছেন। সহিংসতা যখন যাবেই না, তখন বরং এটা নিয়ে রং-তামাশা করে সুখে থাকি। সেই থেকে তার সিনেমা বানানো শুরু। তাকে বলা যায় আর্টিস্ট অভ এক্সট্রিম ভালোলেন্স।
ভায়োলেন্সকে এক্সপ্রেসিভ আর্ট হিসাবে স্পষ্ট রুপায়ন করেছেন যা অবয়বগত ভাবেই মাধুর্যমণ্ডিত । তার অফবিটের এবং সাটিয়ারিক্যাল মুভিগুলোতে ক্রোনলজিক্যাল অর্ডারের কিছু ঘটনা স্তরবিচ্ছেদ ঘটিয়ে উপস্থাপন করার টেকনিক তিনি আপ্লাই করেন । পাল্প ফিকশন, রিজর্ভার ডগ্স, ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড্স, ফ্রম ডাস্ক টিল ডউন, জ্যাকি ব্রাউন মুভি গুলো তার স্বকীয়তায় ভাস্বর
ম্যাগপাই এমন একটা পাখি যে কিনা তার খাবার সংগ্রহ কিংবা আবাশ নির্মানে অত্যন্ত সাহসীকতার পরিচয় দেয় । এখান থেকে কিছু খড়কুটো তো আরেক জায়গা থেকে কোন উজ্জ্বল বস্তু অথবা কোন পতঙ্গের শুটকিট সবই সে প্রয়োজনে ব্যবহার করে । টরেন্টিনো কে কালচারাল ম্যাগপাই বলা যায় । । তার মুভির আরেকটি বিশেষত্ব হল পপ মিউজিকের ইউজ এবং লংসিকোয়েন্স ও অবশ্যই এক্সেপশনাল, বুদ্ধিদীপ্ত ও সার্প ডাইলগ।
ডেভিড ক্রোনেনবার্গ
David Cronenberg Director / Screenwriter / Producer
1943 - Born March 15, Toronto, Ontario, Canada
যার থ্রিলার অনেক দিক দিয়ে হিচককের চেয়ে আলাদা। তার মতে, হিচকক তার দর্শকদেরকে পুতুল মনে করতো আর তিনি তার দর্শকদের মানুষ মনে করেন। তার থ্রিলারে যে নগ্ন সহিংসতা দেখা যায় সেটার মানবিক গভীরতা হিচককের সাইকটিক সিনেমাগুলোর সাথে তুলনীয়। ক্রোনেনবার্গের আরেক বড় পরিচয় বডি হররের জনক হিসেবে। গুলির আঘাতে বিধ্বস্ত মুখমণ্ডল, ছুরি দিয়ে রসিয়ে রসিয়ে গলা কাটা- এগুলো তিনি ক্লোজ-আপ এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
A History of Violence (2005)*^, Eastern Promises (2007)^ Recommended: Videodrome (1983)*, The Fly (1986)*, Dead Ringers (1988)* Worth a Look: Shivers (1975), Rabid (1977), The Brood (1979), Scanners (1981), The Dead Zone (1983), Naked Lunch (1991), M. Butterfly (1993), eXistenZ (1999), Spider (2002)^
ক্লিন্ট ইস্টউড
Clint Eastwood Director / Actor / Producer / Composer
1930 - Born May 31, San Francisco, California, USA
অন্য কোন অভিনেতা পরিচালক হিসেবে এত নাম করতে পারেনি। তার মূল পরিচয় ষাটের দশকের ওয়েস্টার্ন হিরো নাকি এ যুগের অন্যতম সফল পরিচালক সেটা নিয়েই আমাদের দ্বিধায় পড়তে হয়। তার সফলতার পরিচয় বহন করছে দুই দুইবার অস্কার জয়- আনফরগিভেন (১৯৯৩) এবং মিলিয়ন ডলার বেবির (২০০৫) জন্য। তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে খুব বেশী বিশ্বাস করেন। ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতি থেকেই বোধহয় এই চেতনা এসেছে। কাঁদতে চাইলে ইস্টউডের সিনেমা দেখার বিকল্প নেই।
The Outlaw Josey Wales (1976)*, Unforgiven (1992)* Recommended: Play Misty for Me (1971), High Plains Drifter (1973), Breezy (1973), Honkytonk Man (1982), Bird (1988), The Bridges of Madison County (1995)*, Absolute Power (1996), Million Dollar Baby (2004)*^, Letters from Iwo Jima (2006)^, Gran Torino (2008)
সিডনি লুমেট
Sidney Lumet Director / Screenwriter / Producer
1924 - 2011 Born June 25, Philadelphia, Pennsylvania, USA
প্রথম সিনেমা দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন। “টুয়েলভ অ্যাংগ্রি মেন” (১৯৫৭) সিনেমাটা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ভাল লাগার মতো। সিনেমায় সবগুলো চরিত্র সমান গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তুলতে ওস্তাদ তিনি। তার সবগুলো চরিত্রই নিজের হয়ে কথা বলে।
ব্রায়ান ডি পালমা
Brian De Palma Director / Screenwriter
1940 - Born September 11, Newark, New Jersey, USA
জনপ্রিয় ধারার সিনেমাই বেশি করেছেন। “স্কারফেস” (১৯৮৩) ভোলার মত না। রিমেইক সিনেমাও এত নাম করতে পারে, স্কারফেস না দেখলে বিশ্বাস হতে চায় না। আল পাচিনোর এই রূপ অন্য কোথাও দেখিনি। তবে ইদানিং স্কট সাহেবের মত পালমাও বেশ হতাশ করছেন।
Blow Out (1981)*, The Untouchables (1987) Recommended: Carrie (1976)*, Scarface (1983)* Worth a Look: Sisters (1973), Phantom of the Paradise (1974), Dressed to Kill (1980), Casualties of War (1989), Raising Cain (1992), Carlito's Way (1993), Mission: Impossible (1996) Approach with Caution: Greetings (1968), Hi, Mom! (1970), Obsession (1976), The Fury (1978), The Black Dahlia (2005), Redacted (2007) Duds: Body Double (1984), Snake Eyes (1998), Mission to Mars (2000), Femme Fatale (2002)^
জর্জ লুকাস
George Lucas Director / Screenwriter
1944 - Born May 14, Modesto, California, USA
স্টার ওয়ার্সই তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের লেখক। এন্টারটেইনার হিসেবে স্পিলবার্গের পরই লুকাসের অবস্থান। স্টার ওয়ার্সের প্রথম দিককার সিনেমাগুলোর শিল্পমূল্য লক্ষ্য করার মত- বিশেষত সেগুলোতে ডিপ ফোকাসের ব্যবহার।
American Graffiti (1973)*, Star Wars (1977)*, Star Wars Episode I: The Phantom Menace (1999) Worth a Look: THX 1138 (1971), Star Wars: Episode III - Revenge of the Sith (2005) Approach with Caution: Freiheit (1966), Star Wars: Episode II - Attack of the Clones (2002)
জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরন
James Cameron Director / Screenwriter / Producer
1954 - Born August 16, Kapuskasing, Ontario, Canada
মূলত অ্যাকশন ধর্মী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি বিখ্যাত। এ ধরনের ছবিগুলোতে তাঁর উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। একই সাথে সেগুলোর ব্যবসায়িক সফলতাও লক্ষণীয়। তার চলচ্চিত্র নির্মাণের মুখ্য বিষয়বস্তু হল মানুষের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক। ক্যামেরন টাইটানিক ছবিটি রচনা, পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন। ১১টি ক্ষেত্রে অস্কার জয়ের পাশাপাশি এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী বিপুল আয় করেছিল। মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্র। এর মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া ক্যামেরন টার্মিনেটর ফ্রানচাইজ নির্মাণ করেছেন। নিজেই দি টার্মিনেটর ও টার্মিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে ছবি দুটির পরিচালক ও লেখক ছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনা না করলে সিনেমা নির্মাণ করে তিনি এখন পর্যন্ত আয় করেছেন প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।টাইটানিক-এর বিপুল সফলতার পর ক্যামেরন মূলত প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণে মনোযোগ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ত্রিমাত্রিক ক্যামেরন/পেইস ফিউশন ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন এভাটার সিনেমাটি। তাঁর কারিগরি দক্ষতা এবং স্বেচ্চায় ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতার জন্য তিনি অণুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
The Terminator (1984)*, Aliens (1986)*, Terminator 2: Judgment Day (1991)
* Worth a Look: The Abyss (1989) Approach with Caution: True Lies (1994), Titanic (1997), Avatar (2009)
স্টিভেন স্পিলবার্গ
স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র জীবন প্রায় চার দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ধরন নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা তিনি। এই চলচ্চিত্র তিনটি হল যথাক্রমে জস, ইটি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল এবং জুরাসিক পার্ক। চলচ্চিত্র জীবনের প্রথম দিকে তিনি যেসব বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক এবং অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোকে হলিউডের আধুনিক ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের আর্কটাইপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সময়ে তিনি মানবিক আবেগের দিক দিয়ে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বিষয়সমূহকে তাঁর চলচ্চিত্রের ধরন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দাসপ্রথা, যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস।
Robert Bresson Director / Screenwriter
1901 - 1999 Born September 25,
Bromont-Lamothe, Puy-de-Dôme, Auvergne, France
ফ্রান্সের ভিন্নধারার রূপকার হচ্ছেন তিনি। যাকে চেনা যায় ‘এ ম্যান এসকেপ্টেড’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে। যুদ্ধের যে ভিন্ন প্রকাশ থাকতে পারে যুদ্ধ না দেখিয়েও এই ছবিটা তার প্রমাণ।
Les Dames du Bois de Boulogne (1945)*, Diary of a Country Priest (1950)*, A Man Escaped (1956)*, Pickpocket (1959)*, Au hasard Balthazar (1966)*, Mouchette (1966)*, L'Argent (1983)* Recommended: Les Anges du peche (1943), Trial of Joan of Arc (1962), Une Femme douce (1969), Four Nights of a Dreamer (1972), Lancelot du Lac (1974)*, The Devil Probably (1977)
তথ্যসূত্র
লেবেলসমূহ:
চলচ্চিত্র
এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
আমার প্রয়োজনীয় লিংক সমূহ:
*** Global Voices বাংলা ভার্সন
*** সকল সংবাদপত্রের শিরোনাম
*** প্রতিদিনের টিভি নিউজ
*** ইউনিকোড এডিটর
*** ফটোসপ এবং ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল
*** অনলাইন টিভি
*** অনলাইন অভিধান
*** আমার কাগজপত্রের আখড়া
*** প্রথম আলোতে আমি
*** সফ্ট ফ্যাক্টরী
*** বিদেশী মুভি
*** টরেন্ট লিংক
*** হিন্দি ও অন্যান্য
*** ফ্রান্সে চলাচল
*** বাংলা সিনেমা (এইচ ডি)
*** অনুবাদক
*** ফরাসী ভাষার ইংরেজি ফনেটিক
*** প্রিমিয়াম একাউন্ট লিংক
*** Word to PDF/PDF to Word/ALL Converter
*** Global Voices বাংলা ভার্সন
*** সকল সংবাদপত্রের শিরোনাম
*** প্রতিদিনের টিভি নিউজ
*** ইউনিকোড এডিটর
*** ফটোসপ এবং ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল
*** অনলাইন টিভি
*** অনলাইন অভিধান
*** আমার কাগজপত্রের আখড়া
*** প্রথম আলোতে আমি
*** সফ্ট ফ্যাক্টরী
*** বিদেশী মুভি
*** টরেন্ট লিংক
*** হিন্দি ও অন্যান্য
*** ফ্রান্সে চলাচল
*** বাংলা সিনেমা (এইচ ডি)
*** অনুবাদক
*** ফরাসী ভাষার ইংরেজি ফনেটিক
*** প্রিমিয়াম একাউন্ট লিংক
*** Word to PDF/PDF to Word/ALL Converter
লেবেলসমূহ:
ওয়েব সাইট লিংক
এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
ভোরে, অনেক ভোরে যখন পড়ার জন্য সবাই জেগে উঠতো, তখনও আমি ঘুমিয়ে থাকতাম। আর এর কারণ ছিল আমাকে আমার মা ভোরে ডেকে দিতেন না। আমি খুব বিরক্ত হতাম এই ভেবে যে আমার প্রতিদ্বন্দি অন্যরা আমার চেয়ে বেশী পড়ে ফেলেছে ভেবে। তখন সবে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছি। আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে ডেকে না দেয়ার কারণ কি? তিনি বলেন, বাবা এত ভোরে ঘুম না নষ্ঠ করে দিনে একটু বেশী পড়লেই হয়! আমি উত্তরে সন্তুষ্ঠ হতাম না।
আমি তরকারিতে ঝাল পচন্দ করতাম। যখন ভার্সিটি বন্ধ হলে বাসায় আসতাম, তখন আমাদের বাসার সবকিছুতে ঝাল দেয়া হত। দেখতাম সবাই খাচ্ছে খুব সর্তকতার সাথে। কারণ মা বাবা এবং ছোটো বোনের বেশী ঝাল খাওয়ার অভ্যাস ছিল না। আমি ঝাল কমবেশীর তফাৎ বুঝতাম না।
আমার মায়ের কাপড় ধোয়ার বাতিক ছিল। অন্ততঃ তখন আমি মনে করতাম যখন তিনি আমার সামান্য ময়লা কাপড়ও ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে ধোয়ে দিতেন। আমি খুব অবাক হতাম যখন তিনি রং বলে বলে আমার কাপড়-চোপড়ের কথা জিজ্ঞেস করতেন।আমার নিজেরই মনে থাকতো না কিন্তু উনার কিভাবে স্মরণ থাকতো ভেবে পেতাম না।
আসলে নাড়ীর সাথে যার সম্পর্ক সে তো সব জানবেই, সে তো ভাল বাসবেই! কিন্তু ভালবাসাটা আমরা অনেক দেরীতে বুঝতে পারি। এতটা দেরীতে যে, একটা অদ্ভূত দূরত্ব চলে আসে ভালবাসার প্রতিদান বুঝানোর জন্য।
আমার মত যারা চাপা সবাবের তারা কি করেন বা কিভাবে নিজের ভালবাসা তার মায়ের প্রতি প্রকাশ করেন জানি না, তবে আমি কোনো ভাবেই পারি না। শুধু চেষ্ঠা করি মাকে আমি কেন্দ্রিক কিছু টেনশন থেকে দূরে রাখতে। যেমন, আমি বাহিরে থাকলে বাসায় ফেরার সময় কখনই আমার মাকে বলতাম না আমি বাসায় আসছি। কারণ আমি জানতাম আমি বাসায় না ফেরা পর্যন্ত তিনি দুঃচিন্তায় থাকবেন।
কিন্তু আজ প্রবাসে বসে তা ও করতে পারছি না। আজও মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে রইলাম!
আমি তরকারিতে ঝাল পচন্দ করতাম। যখন ভার্সিটি বন্ধ হলে বাসায় আসতাম, তখন আমাদের বাসার সবকিছুতে ঝাল দেয়া হত। দেখতাম সবাই খাচ্ছে খুব সর্তকতার সাথে। কারণ মা বাবা এবং ছোটো বোনের বেশী ঝাল খাওয়ার অভ্যাস ছিল না। আমি ঝাল কমবেশীর তফাৎ বুঝতাম না।
আমার মায়ের কাপড় ধোয়ার বাতিক ছিল। অন্ততঃ তখন আমি মনে করতাম যখন তিনি আমার সামান্য ময়লা কাপড়ও ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে ধোয়ে দিতেন। আমি খুব অবাক হতাম যখন তিনি রং বলে বলে আমার কাপড়-চোপড়ের কথা জিজ্ঞেস করতেন।আমার নিজেরই মনে থাকতো না কিন্তু উনার কিভাবে স্মরণ থাকতো ভেবে পেতাম না।
আসলে নাড়ীর সাথে যার সম্পর্ক সে তো সব জানবেই, সে তো ভাল বাসবেই! কিন্তু ভালবাসাটা আমরা অনেক দেরীতে বুঝতে পারি। এতটা দেরীতে যে, একটা অদ্ভূত দূরত্ব চলে আসে ভালবাসার প্রতিদান বুঝানোর জন্য।
আমার মত যারা চাপা সবাবের তারা কি করেন বা কিভাবে নিজের ভালবাসা তার মায়ের প্রতি প্রকাশ করেন জানি না, তবে আমি কোনো ভাবেই পারি না। শুধু চেষ্ঠা করি মাকে আমি কেন্দ্রিক কিছু টেনশন থেকে দূরে রাখতে। যেমন, আমি বাহিরে থাকলে বাসায় ফেরার সময় কখনই আমার মাকে বলতাম না আমি বাসায় আসছি। কারণ আমি জানতাম আমি বাসায় না ফেরা পর্যন্ত তিনি দুঃচিন্তায় থাকবেন।
কিন্তু আজ প্রবাসে বসে তা ও করতে পারছি না। আজও মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে রইলাম!
লেবেলসমূহ:
কতকথা
এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
র্যাব এর ক্রসফায়ারে লিমন পা হারালো। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তার কিছুদিন পর লিমন সন্ত্রাসী নয় এমন একটা ঘোষণা র্যাব প্রধান এবং পুলিশের কর্তা ব্যাক্তিরা দিলেন। কিন্তু তার কিছু দিন পরই গণেশ উল্টে গেলো! শুরু হলো লিমনকে সন্ত্রাসী বানানোর প্রক্রিয়া। এইচএসসি পরীক্ষার্থী লিমন পা হারিয়ে সন্ত্রাসীর তালিকায় চলে এলো রাতারাতি। আর এই বিষয়টা নিয়ে মেতে উঠলো সবাই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ সবাই একটি বিষয় নিয়েই ভাবছে। তাহলে কি নিরপরাধ লিমন র্যাব এর কাছ থেকে রেহাই পাবে না? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, একটা মিথ্যাকে ডাকতে হয় শত মিথ্যার অবরণে। এখন র্যাব এরও হয়েছে একই অবস্থা। লিমনকে গুলি করে শত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের অন্যায়কে ডাকতে হচ্ছে। রাষ্ঠ্র চাইলে যেকোনো সন্ত্রাসী কাজকে জায়েজ করতে পারে আবার ভাল কাজকে সন্ত্রাসী কাজ হিসেবে প্রতিস্থাপন করতে পারে। মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার কতটা নির্লজ্জ হতে পারে লিমন তার উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ!
র্যাবের গুলিতে পা হারানো নিরীহ লিমনের জন্য সবাই ব্যথিত। আমরা সবাই চিন্তিত রাষ্ঠ্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে। সারা দেশবাসী হতভম্ব সরকারী নৈরাচার দেখে।
কিন্তু র্যাব এর কাজকে বৈধতা দেয়ার এই উদ্যোগ নতুন নয়। র্যাব তৈরি করাই হয়েছে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার জন্য। আমাদের দেশে মানবাধিকারের কতটুকু চর্চা হয় তা লিমনের বিষয়টি বিবেচনায় আনলেই বোঝা যায়। যেখানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নিজে ফোন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বললেন যে, লিমন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যেনো হাসপাতাল তাকে ছেড়ে না দেয়, সেখানে পুলিশ এসে লিমনকে কিভাবে অসুস্থ অবস্থা কারাগারে নিয়ে যায়?
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে লিমন যদি সন্ত্রাসী হতো, যদি র্যাবের দাবী মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোরশেদের সহযোগীই হতো কিংবা যদি সে মোরশেদই হতো তাহলে কি র্যাবের ক্রসফায়ার বৈধ হয়ে যেত? এই প্রশ্নটার মীমাংসা করা জরুরী কারণ মানুষ হত্যাকারী র্যাব কর্তৃক লিমনের পা হারানোর সাথে এর সম্পর্ক আছে। হত্যাকারীর একবার হত্যার নেশা পেয়ে গেলে সে হত্যা করতেই থাকে। র্যাব শুরু থেকেই তো মানুষ মারছে, পূর্ব বাংলা সর্বহরা পার্টি কিংবা অন্যান্য জনযুদ্ধের লাইনের নেতা-কর্মীদের মেরেছে, আমরা কিছু বলিনি। আজকে যে প্রথম আলো পত্রিকা লিমনের হয়ে দাঁড়িয়েছে সেও কিন্ত তখন র্যাবের সহোযোগী হিসেবে কাজ করেছে। একটার পর একটা চরমপন্থী সনাক্তকরণ অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছেপেছে আর র্যাব তাদেরকে সাবাড় করেছে। আমরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছি- যাক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচা গেছে! র্যাব গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ছিচকে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন লেবেল লাগিয়ে, কালা-ধলা-মুরগী ইত্যাদি নানান শব্দ জুড়ে দিয়ে দমনের রাজনীতি করেছে, আমরা খুশি হয়েছি কারণ আমাদের কাছে “সন্ত্রাসীর আবার মানবাধিকার কি?”
আমরা কি কখনও প্রশ্ন তুলেছি- আচ্ছা র্যাব যে এদেরকে সন্ত্রাসী বলে ক্রসফায়ার করে দিচ্ছে, এরা কি আসলেই সন্ত্রাসী?
নাকি কারো শ্রেনী ঘৃণা কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার? আমরা তো ধরেই নিয়েছি র্যাব মানে ফেরেস্তা বাহিনী, ফেরেস্তারা কখনো ভুল করতে পারে না! ব্যাক্তিগত-রাজনৈতিক-শ্রেণীগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হতে পারে না। তাই আমরা কখনো প্রশ্ন তুলেনি, আচ্ছা এভাবে কি সন্ত্রাস নির্মূল করা যায়? বিষবৃক্ষের গোড়া অক্ষুণ্ন রেখে বার বার ডালপালা ছাটলে যে বিষবৃক্ষ মরে না, বরং নতুন নতুন শাখা প্রশাখা গজায় সে কথা আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম।
কিন্তু আমরা কেন এমনটা ধরে নিলাম? কেন আমাদের মনে একটুও দ্বিধা কাজ করলো না? কেন আমরা একটু সন্দেহও পোষণ করলাম না? তবে কি আমরা যে কোন মূল্যে স্বস্তি পেতে চেয়েছিলাম? আমরা কি ধরে নিয়েছিলাম “যে কোন কিছুর মূল্য”টা সব সময়ই অন্য কেউ দেবে? আমাদেরকে কখনই দিতে হবে না?
আমি অনেককে দেখেছি র্যাবের অপরিহার্যতা নিয়ে কথা বলতে, আমি নিশ্চিত এখনও অনেককে পাওয়া যাবে, যারা মনে করেন “সন্ত্রাসীদেরকে ধরে ধরে মেরে ফেলাই সন্ত্রাস নির্মুলের শ্রেষ্ঠ ও কার্যকর উপায়” সেই সাথে তারা এও বলবে, যে র্যাব হাজার হাজার “সন্ত্রসী” নির্মুল করেছে তাদের একটু আধটু ভুল তো হতেই পারে সেটা নিয়ে এতো হইচই করার কি আছে! তারা কখনও প্রশ্ন তুলবে না মানুষ হত্যাকারী র্য্যাব কেন বরাবার দূর্বলের ঘরেই হানা দেয়, কেন কোন গডফাদার বা রথী মহারথিকে ক্রসফায়ার করা হয় না?
এই যে শেয়ার বাজারের সূচনীয় অবস্থা, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলো, ৬০ জনের কারসাজির কথা জানা যাচ্ছে, কই এদেরকে তো কখনও ক্রসফায়ার করা হবে না! হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট কারীদের এমনকি বিচারের আগে নাম না প্রকাশ করার কথা বলা হচ্ছে অথচ লাখ টাকার চাদাবাজদের ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার করে দিয়ে সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মুলের অভিনয় করা হচ্ছে! কি মজার ব্যাপার! আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক মারলে তো গার্মেন্টস মালিককে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়না, দশট্রাক অস্ত্রমামলার ব্রিগেডিয়ার-কর্ণেল আসামীদেরও তো ক্রসফায়ার হতে দেখলাম না, দেশের তেলগ্যাস সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার নায়কদের তো ক্রসফায়ার হয় না! যদি সত্যিকার অর্থে সমাজ থেকে সন্ত্রাস-দূর্নীতি-লুটপাট নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই র্যাব দিয়ে ক্রসফায়ার করানো হতো তাহলে তো শুরুতে বড় বড় গডফাদারদেরকে ক্রসফায়ার করাটাই স্বাভাবিক ছিল না? তা না করে, দেশের মধ্যে অস্ত্র কিংবা মাদক আমদানির মূল হোতাদের কে না ধরে, সীমান্তেই মাদক-অস্ত্র আসা বন্ধ না করে, ছোটখাটো অস্ত্রবাজ/মাদক ব্যাবসায়ীদের ক্রসফায়ার করা হলো, এতে সন্ত্রাস কতটা নির্মূল হলো?
নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্যকোনো উদ্দেশ্য?
আমরা বিষয়টাকে এভাবে দেখতে পারিঃ
১. অবাধ্য ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ছিচকে সন্ত্রাসীদেরকে কিছুটা ঠাণ্ডা করা
২. গ্রেফতার করে বিচার করলে নাটের গুরুদের নাম-পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ার যে ঝুঁকি থাকে, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের আসল চেহারা প্রকাশ হতে পারে, নাটের গুরুদেরকে সেই ঝুকি থেকে মুক্ত করা
৩. শাসক শ্রেণীর সন্ত্রাস দমনের নামে জনগনের কাছ থেকে বাহবা নেয়া
এক সময়ের বিপ্লবী রাজনীতির বাম সংগঠন তথা শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের সর্বহারা পার্টির নেতাকর্মীদের নির্মূল করার জন্য যে ক্রসফায়ার চালু করা হলো সে ক্রসফায়ার কি নিজেই “শ্রেণী শত্রু” খতমের লাইন না?
যার মাধ্যমে এলিট মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত সমাজে শান্তির সাথে বসবাস ও লুটপাট চালাতে পারে?
কোন সমাজে-রাষ্ট্রে সন্ত্রাস দুর্নীতি আকাশ থেকে পড়ে না, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে এর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। মানুষ মায়ের পেট থেকে সন্ত্রাসী হয়ে জন্ম নেয় না, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ব্যবস্থাই তাকে সন্ত্রাসীতে পরিণত হতে বাধ্য করে। যে ব্যাবস্থা নাগরিকের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-কর্মসংস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা ইত্যাদির কোন দায়দায়িত্ব নেয় না, যে ব্যবস্থায় গুটি কয়েক মানুষ বেশির ভাগ মানুষের শ্রম শোষণ করে আরামে আয়েশে থাকে, যে ব্যবস্থায় আইন-কানুন-পুলিশ-প্রশাসন গুটি কয়েকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে, যে ব্যবস্থায় পুঁজি যার মুল্লুক তার, সে ব্যবস্থা সন্ত্রাস দুর্নীতির জন্ম দেবেই। এই ব্যবস্থা বা সিস্টেমের প্রোডাক্ট/বাই প্রোডাক্ট “সন্ত্রাস-দুর্নীতি”।
এমনিতে ব্যবস্থার নাটের গুরুদের জন্য কোন সমস্যা না যতদিন না সেটা তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সেটার জন্য তো একটা রেডিমেড ব্যবস্থা থাকা লাগে: র্যাবের ক্রসফায়ার হলো সেই রকমই একটা ব্যবস্থা। সন্ত্রাস-দূর্নীতিতে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে গোটা সিস্টেমটাকে যেন টালমাটাল করে না দেয় তার জন্য সিস্টেমরই একটা রক্ষা কবচ এই ক্রসফায়ার সিস্টেম। আমরা যতদিন এই সত্যটা বুঝে সত্যিকার অর্থে র্যাব ও তার ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে রুখে না দাড়াবো, ততদিনই “যে কোন মূল্যে” তথাকথিত সন্ত্রাসী দমন চলবে। এর আগে এই “যেকোন মূল্য” সর্বহারা মোফাক্খারুল-টুটুলরা দিয়েছে, এখন দিচ্ছে নিরীহ দিনমজুর লিমনরা, কিন্তু একদিন সাহিত্যিক-লেখক-ভিন্নমতাবলম্বীরা, সুশীল সমাজের ধারকরা, নিরাপদে থাকা কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীসহ গোটা দেশের মানুষকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। এই ক্রসফায়ারে বিনা বিচারে হত্যার যে রীতি প্রচলিত হয়েছে তার মূল্য দিতে হবে সবাইকে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ক্রসফায়ার সিস্টেমের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “প্রকৃতি অতি যত্ন নিয়ে একটি মানব সন্তানকে জন্ম দেয়। অনেকটা সময় নিয়ে এই প্রকৃয়া চলে। হঠাৎ করে বিনা বিচারে কাউকে মেরে ফেলা কোনো সিস্টেম হতে পারে না।“ আজ আমাদের লিমনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ। এখনই যদি সচেতন না হই তাহলে বিনা বিচারে হত্যার এই প্রকৃয়া “ক্রসফায়ার” এর জন্য একদিন চরম মূল্য দিতে হবে জাতিকে।
র্যাবের গুলিতে পা হারানো নিরীহ লিমনের জন্য সবাই ব্যথিত। আমরা সবাই চিন্তিত রাষ্ঠ্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে। সারা দেশবাসী হতভম্ব সরকারী নৈরাচার দেখে।
কিন্তু র্যাব এর কাজকে বৈধতা দেয়ার এই উদ্যোগ নতুন নয়। র্যাব তৈরি করাই হয়েছে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার জন্য। আমাদের দেশে মানবাধিকারের কতটুকু চর্চা হয় তা লিমনের বিষয়টি বিবেচনায় আনলেই বোঝা যায়। যেখানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নিজে ফোন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বললেন যে, লিমন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যেনো হাসপাতাল তাকে ছেড়ে না দেয়, সেখানে পুলিশ এসে লিমনকে কিভাবে অসুস্থ অবস্থা কারাগারে নিয়ে যায়?
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে লিমন যদি সন্ত্রাসী হতো, যদি র্যাবের দাবী মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোরশেদের সহযোগীই হতো কিংবা যদি সে মোরশেদই হতো তাহলে কি র্যাবের ক্রসফায়ার বৈধ হয়ে যেত? এই প্রশ্নটার মীমাংসা করা জরুরী কারণ মানুষ হত্যাকারী র্যাব কর্তৃক লিমনের পা হারানোর সাথে এর সম্পর্ক আছে। হত্যাকারীর একবার হত্যার নেশা পেয়ে গেলে সে হত্যা করতেই থাকে। র্যাব শুরু থেকেই তো মানুষ মারছে, পূর্ব বাংলা সর্বহরা পার্টি কিংবা অন্যান্য জনযুদ্ধের লাইনের নেতা-কর্মীদের মেরেছে, আমরা কিছু বলিনি। আজকে যে প্রথম আলো পত্রিকা লিমনের হয়ে দাঁড়িয়েছে সেও কিন্ত তখন র্যাবের সহোযোগী হিসেবে কাজ করেছে। একটার পর একটা চরমপন্থী সনাক্তকরণ অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছেপেছে আর র্যাব তাদেরকে সাবাড় করেছে। আমরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছি- যাক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচা গেছে! র্যাব গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ছিচকে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন লেবেল লাগিয়ে, কালা-ধলা-মুরগী ইত্যাদি নানান শব্দ জুড়ে দিয়ে দমনের রাজনীতি করেছে, আমরা খুশি হয়েছি কারণ আমাদের কাছে “সন্ত্রাসীর আবার মানবাধিকার কি?”
আমরা কি কখনও প্রশ্ন তুলেছি- আচ্ছা র্যাব যে এদেরকে সন্ত্রাসী বলে ক্রসফায়ার করে দিচ্ছে, এরা কি আসলেই সন্ত্রাসী?
নাকি কারো শ্রেনী ঘৃণা কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার? আমরা তো ধরেই নিয়েছি র্যাব মানে ফেরেস্তা বাহিনী, ফেরেস্তারা কখনো ভুল করতে পারে না! ব্যাক্তিগত-রাজনৈতিক-শ্রেণীগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হতে পারে না। তাই আমরা কখনো প্রশ্ন তুলেনি, আচ্ছা এভাবে কি সন্ত্রাস নির্মূল করা যায়? বিষবৃক্ষের গোড়া অক্ষুণ্ন রেখে বার বার ডালপালা ছাটলে যে বিষবৃক্ষ মরে না, বরং নতুন নতুন শাখা প্রশাখা গজায় সে কথা আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম।
কিন্তু আমরা কেন এমনটা ধরে নিলাম? কেন আমাদের মনে একটুও দ্বিধা কাজ করলো না? কেন আমরা একটু সন্দেহও পোষণ করলাম না? তবে কি আমরা যে কোন মূল্যে স্বস্তি পেতে চেয়েছিলাম? আমরা কি ধরে নিয়েছিলাম “যে কোন কিছুর মূল্য”টা সব সময়ই অন্য কেউ দেবে? আমাদেরকে কখনই দিতে হবে না?
আমি অনেককে দেখেছি র্যাবের অপরিহার্যতা নিয়ে কথা বলতে, আমি নিশ্চিত এখনও অনেককে পাওয়া যাবে, যারা মনে করেন “সন্ত্রাসীদেরকে ধরে ধরে মেরে ফেলাই সন্ত্রাস নির্মুলের শ্রেষ্ঠ ও কার্যকর উপায়” সেই সাথে তারা এও বলবে, যে র্যাব হাজার হাজার “সন্ত্রসী” নির্মুল করেছে তাদের একটু আধটু ভুল তো হতেই পারে সেটা নিয়ে এতো হইচই করার কি আছে! তারা কখনও প্রশ্ন তুলবে না মানুষ হত্যাকারী র্য্যাব কেন বরাবার দূর্বলের ঘরেই হানা দেয়, কেন কোন গডফাদার বা রথী মহারথিকে ক্রসফায়ার করা হয় না?
এই যে শেয়ার বাজারের সূচনীয় অবস্থা, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলো, ৬০ জনের কারসাজির কথা জানা যাচ্ছে, কই এদেরকে তো কখনও ক্রসফায়ার করা হবে না! হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট কারীদের এমনকি বিচারের আগে নাম না প্রকাশ করার কথা বলা হচ্ছে অথচ লাখ টাকার চাদাবাজদের ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার করে দিয়ে সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মুলের অভিনয় করা হচ্ছে! কি মজার ব্যাপার! আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক মারলে তো গার্মেন্টস মালিককে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়না, দশট্রাক অস্ত্রমামলার ব্রিগেডিয়ার-কর্ণেল আসামীদেরও তো ক্রসফায়ার হতে দেখলাম না, দেশের তেলগ্যাস সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার নায়কদের তো ক্রসফায়ার হয় না! যদি সত্যিকার অর্থে সমাজ থেকে সন্ত্রাস-দূর্নীতি-লুটপাট নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই র্যাব দিয়ে ক্রসফায়ার করানো হতো তাহলে তো শুরুতে বড় বড় গডফাদারদেরকে ক্রসফায়ার করাটাই স্বাভাবিক ছিল না? তা না করে, দেশের মধ্যে অস্ত্র কিংবা মাদক আমদানির মূল হোতাদের কে না ধরে, সীমান্তেই মাদক-অস্ত্র আসা বন্ধ না করে, ছোটখাটো অস্ত্রবাজ/মাদক ব্যাবসায়ীদের ক্রসফায়ার করা হলো, এতে সন্ত্রাস কতটা নির্মূল হলো?
নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্যকোনো উদ্দেশ্য?
আমরা বিষয়টাকে এভাবে দেখতে পারিঃ
১. অবাধ্য ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ছিচকে সন্ত্রাসীদেরকে কিছুটা ঠাণ্ডা করা
২. গ্রেফতার করে বিচার করলে নাটের গুরুদের নাম-পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ার যে ঝুঁকি থাকে, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের আসল চেহারা প্রকাশ হতে পারে, নাটের গুরুদেরকে সেই ঝুকি থেকে মুক্ত করা
৩. শাসক শ্রেণীর সন্ত্রাস দমনের নামে জনগনের কাছ থেকে বাহবা নেয়া
এক সময়ের বিপ্লবী রাজনীতির বাম সংগঠন তথা শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের সর্বহারা পার্টির নেতাকর্মীদের নির্মূল করার জন্য যে ক্রসফায়ার চালু করা হলো সে ক্রসফায়ার কি নিজেই “শ্রেণী শত্রু” খতমের লাইন না?
যার মাধ্যমে এলিট মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত সমাজে শান্তির সাথে বসবাস ও লুটপাট চালাতে পারে?
কোন সমাজে-রাষ্ট্রে সন্ত্রাস দুর্নীতি আকাশ থেকে পড়ে না, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে এর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। মানুষ মায়ের পেট থেকে সন্ত্রাসী হয়ে জন্ম নেয় না, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ব্যবস্থাই তাকে সন্ত্রাসীতে পরিণত হতে বাধ্য করে। যে ব্যাবস্থা নাগরিকের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-কর্মসংস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা ইত্যাদির কোন দায়দায়িত্ব নেয় না, যে ব্যবস্থায় গুটি কয়েক মানুষ বেশির ভাগ মানুষের শ্রম শোষণ করে আরামে আয়েশে থাকে, যে ব্যবস্থায় আইন-কানুন-পুলিশ-প্রশাসন গুটি কয়েকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে, যে ব্যবস্থায় পুঁজি যার মুল্লুক তার, সে ব্যবস্থা সন্ত্রাস দুর্নীতির জন্ম দেবেই। এই ব্যবস্থা বা সিস্টেমের প্রোডাক্ট/বাই প্রোডাক্ট “সন্ত্রাস-দুর্নীতি”।
এমনিতে ব্যবস্থার নাটের গুরুদের জন্য কোন সমস্যা না যতদিন না সেটা তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সেটার জন্য তো একটা রেডিমেড ব্যবস্থা থাকা লাগে: র্যাবের ক্রসফায়ার হলো সেই রকমই একটা ব্যবস্থা। সন্ত্রাস-দূর্নীতিতে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে গোটা সিস্টেমটাকে যেন টালমাটাল করে না দেয় তার জন্য সিস্টেমরই একটা রক্ষা কবচ এই ক্রসফায়ার সিস্টেম। আমরা যতদিন এই সত্যটা বুঝে সত্যিকার অর্থে র্যাব ও তার ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে রুখে না দাড়াবো, ততদিনই “যে কোন মূল্যে” তথাকথিত সন্ত্রাসী দমন চলবে। এর আগে এই “যেকোন মূল্য” সর্বহারা মোফাক্খারুল-টুটুলরা দিয়েছে, এখন দিচ্ছে নিরীহ দিনমজুর লিমনরা, কিন্তু একদিন সাহিত্যিক-লেখক-ভিন্নমতাবলম্বীরা, সুশীল সমাজের ধারকরা, নিরাপদে থাকা কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীসহ গোটা দেশের মানুষকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। এই ক্রসফায়ারে বিনা বিচারে হত্যার যে রীতি প্রচলিত হয়েছে তার মূল্য দিতে হবে সবাইকে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ক্রসফায়ার সিস্টেমের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “প্রকৃতি অতি যত্ন নিয়ে একটি মানব সন্তানকে জন্ম দেয়। অনেকটা সময় নিয়ে এই প্রকৃয়া চলে। হঠাৎ করে বিনা বিচারে কাউকে মেরে ফেলা কোনো সিস্টেম হতে পারে না।“ আজ আমাদের লিমনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ। এখনই যদি সচেতন না হই তাহলে বিনা বিচারে হত্যার এই প্রকৃয়া “ক্রসফায়ার” এর জন্য একদিন চরম মূল্য দিতে হবে জাতিকে।
লেবেলসমূহ:
সাম্প্রতিক বিষয়