ক্রসফায়ার এর পর যে হত্যাকান্ড নিয়ে বাংলাদেশীদের চিন্তার কারণ রয়েছে তা হল গুপ্তহত্যা বা গুম করে দেয়া। গুপ্ত হত্যা কি? গুপ্তহত্যা বা গুমখুনের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য থাকলেও “ফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স” বা কাউকে অদৃশ্য করে দেয়ার কৌশলটি লাতিন আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে গত শতকের সত্তর দশকে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, “ফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স” বা কাউকে অদৃশ্য করে দেয়ার ঘটনাটি তখনই ঘটে, যখন:
রাষ্ট্র বা কোন রাজনৈতিক সংগঠন অথবা তাদের কোন একজনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদপুষ্ট কোনো তৃতীয় পক্ষ যখনই কাউকে বলপূর্বক গোপনে ধরে নিয়ে যায় এবং আটকে রাখে, এবং সে বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রদান করে না, যাতে করে আটকে থাকা ব্যক্তি আইনের আশ্রয় নিতে পারে। [উইকিপিডিয়া, ফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স]
উইকিপিডিয়া আরো লিখেছে, কাউকে অদৃশ্য করে দেয়ার অব্যবহিত পরের ঘটনাটিই হল তাকে খুন করা। এক্ষেত্রে আটক ব্যক্তিকে প্রথমে নির্যাতন করা হয়, তারপর খুন করে লাশ গায়েব করে দেয়া হয়। এই হত্যার দায়দায়িত্ব কেউ স্বীকার করে না, ফলে চিরকালের জন্য “অদৃশ্য” থেকে যায়।
রহস্যজনকভাবে কিছু মানুষের নিখোঁজ হওয়া এবং নিখোজ হওয়ার কিছুদিন পর কিছু নিখোজ ব্যক্তিদেরর পচা-গলা লাশ পাওয়া যাওয়া সত্যিই একটি ভয়ানক ব্যপার কিন্তু এই ব্যপারটিই ঘটে যাচ্ছে গত এক-দেড় বছর যাবৎ ধরে। খবরের কাগজ গুলোতে প্রায়ই এই ধরনের খবর আসছে।
বলা নাই কওয়া নাই জল-জ্যান্ত মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে কোন কোন ক্ষেত্রে নিখোঁজ ব্যাক্তিদের পরিবারের কাছে ফোন করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। আবার করো ক্ষেত্রে মৃত্যুই হচ্ছে শেষ পরিনতি। আর যাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি বা
কোন মুক্তিপণ আদায়ের ফোন আসেনি ধারনা করা হচ্ছে তারাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এই পর্যন্ত মিডিয়া হতে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ি ৪৫ জন নিখোজ হয়েছেন তাদের ২৪ জনের মৃতদেহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের
পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় অনেক সময় তাদের বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পরে থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা উত্তর দেয় তারা এই ব্যপারে কিছুই জানে না। সরকার ও বিরোধী দল এই ব্যপারে একে অপরকে দোষ দিচ্ছে। সরকার বলছে এইটা বিরোধী দলের কাজ তারা যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার ঠেকাতে এই কৌশল অবলম্বন করছে আর বিরোধী দল বলছে সরকার তাদের দলের
নেতা-কর্মীদের অপহরণ করে হত্যা করছে। যাই হোক যারা নিখোঁজ হচ্ছে বা হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে তারা এদেশেরই মানুষ আমরা তাদের হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারি না, আমরা হত্যার বিচার চাই।
বাংলাদেশে একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে যাদের রয়েছে প্রচুর ক্ষমতা। তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে । এরা অপরাধী সন্দেহে ভাল মানুষকে পর্যন্ত ক্রসফায়ার করে , সাধারণ ছাত্রকে সন্ত্রাসি বানিয়ে গুলি করে পঙ্গু করে ফেলে, সন্ত্রাসিদের রাজনৈতিক গডফাদারদের বাঁচাতে হাত বেধে গুলিকরে
হত্যাকরে পরে মিডিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসি নিহত বলে প্রচার করে, শিকারোক্তি আদায়ের নামে অমানুষিক নির্যাতন করে, সাধারণ ছাত্রদের ধরে নিয়ে মিডিয়ায় জঙ্গি বলে চালিয়ে দেয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ
থাকলেও মাঝে মাঝে তারাই হয়ে যায় ট্রাফিক কন্ট্রলার। মটরসাইকেল,প্রাইভেটকার থামিয়ে চাঁদা তোলে। তাদের অত্যাচার আর বিচার বিহীন হত্যাকান্ডের সমালোচনা
সবসময় বিভিন্ন দেশী-বিদেশী মানবাধীকার সংগঠনগুলো করে থাকে। বর্তমান সরকার যখন বিরোধী দল ছিল তারাই ছিল এই বাহিনীর সবচাইতে বড় সমালোচক তারা বলেছিল
তারা ক্ষমতায় গেলে তারা এই বাহিনীকে বলুপ্ত করবে অথচ তারা যখন সরকার হলো তখন এই বাহিনীকে বিলুপ্ত করাতো দুরের কথা বরং এই বাহিনী আরও লাগামহীন হয়ে গেছে।
সম্গ্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনের প্রশ্নে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান ড: মিজানুর যে শঙ্কা প্রকাশ
করেছন তাতে রীতিমত শিহরে উঠার আবস্থা। এক সাগর রক্ত আর শত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে যে দেশটি স্বাধীন হয়েছিল, সে দেশ আজ ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে এই আশংকা সত্যি আমাদের জন্য চরম বেদনার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খার বাস্থবায়ন করার কথা ছিল ঠিক সে সময়
তৎকালীন ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে যে দুঃশাসন কায়েম করেছিল তাকেও হার মানিয়েছে।
মানবাধিকার অর্থই হচ্ছে মানুষ তার অধিকার নিশ্চিতভাবে যে কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ভোগ করবে। অথচ বাংলাদেশ আজ তার অবস্থান বিপরীত মেরুতে নিয়ে গেছে। যে সরকার নিজের খেয়াল খুশীমত নিজ কার্য চরিতার্থ করার জন্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে নির্যাতন করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, সে সরকারের হাতে মানবাধিকার নিশ্চিত করা অসম্ভব। এখন দরকার রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করার প্রশ্নে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় গণআন্দোলনের মাধ্যমে একটি নিখাদ সুস্থ, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা, যা রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করবে।
সামরিক শাসকদের কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের আমলে এভাবে রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ছিল আমাদের সব কল্পনার বাইরে। কিন্তু এখন কল্পনাতীতভাবে এসব ঘটনা ঘটছে। ঘটনাবলীর নৃশংসতা দেখে দেশবাসী এখন বুঝতে পারছে, যারা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে তারা গণতান্ত্রিক সরকারের সমর্থক নয়। আমাদের জনগণের জন্য বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের তরুণদের জন্য একটি উপলব্ধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল যে, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কার্যত তাদের প্রবণতা ফ্যাসিতান্ত্রিক। এ দেশের তরুণ প্রজন্ম ১৯৭২-১৯৭৫’র পর্ব দেখেনি। দেখলে অবশ্য তাদের পক্ষে হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন হতো না যে দলটি চরিত্রগতভাবে আসলে ফ্যাসিবাদী। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী যখন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখনও গুণ্ডামি ও লাঠিবাজি করে এ উদ্যোগকে বানচাল করে দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়। ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে নতুন একটি বামপন্থী দল গঠনের উদ্যোগ হিসেবে মওলানা ভাসানী গণতান্ত্রিক কনভেনশন ডেকেছিলেন। সেই কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন তত্কালীন পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের সর্বজনমান্য নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন খান আবদুল গাফফার খান, প্রিন্স আবদুল করিম, আবদুস সামাদ আচাকজাই, মিয়া ইফতেখার উদ্দিন, হাজি মোহাম্মদ দানেশ, মাহমুদ আলী, মোহাম্মদ তোয়াহাসহ আরও অনেকে। সেদিনও এসব শ্রদ্ধেয় নেতাকে নির্মম লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। সুতরাং আওয়ামী ইতিহাসে রক্তাক্ত করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সে কারণে এদের আজকের আচরণ দেখে অবাক হইনি।
জাতি হিসাবে আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস দীর্ঘ দিনের কিন্তু ১৯৭১ সালের সংগ্রামের পর জাতির প্রত্যাশা ছিল তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম হয়তো বা আর করতে হবেনা। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও বাংলাদেশের মানুষকে মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যা সাম্প্রতিককালে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ শিরোনাম হিসেবে বারে বারে উঠে আসছে। বিষয়টা হঠাৎ করে এতোই প্রকটভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, বর্তমান সরকারের প্রতি নীতিগতভাবে সহানুভূতিশীল মহলও এ ব্যাপারে নীরব থাকতে পারছেন না। গুপ্ত হত্যা আতঙ্ক এখন শহরে-গ্রামে সর্বত্র সাধারণ মানুষকে এক নিদারুণ অস্বস্তি ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। অতীতের একাধিক বারের মতো বিভিন্ন কণ্ঠে আওয়াজ উঠছে, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। পুলিশের আইজি গত ১৭ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশে গুপ্ত হত্যা চলছে বলে স্বীকার করেন, তবে এর সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেন। সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার ব্যাপারগুলো পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে বলে তিনি জানান। এদিকে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার পাশাপাশি দেশকে অস্থিতিশীল করতে হত্যা, গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে এবং নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছে। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন গুম ও খুনের জন্য কিম্বা এসব নৃশংস কর্মকাণ্ড বন্ধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন। এতে করে দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বর্ধনশীল গুপ্তখুনের ব্যাপারে জনমণে আতঙ্ক ও সংশয় দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ অবস্থা বেশী দিন এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। জন-নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধের প্রয়োজনে অতি দ্রুত এগুলো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। গুম খুন প্রভৃতি চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের ভাষায় ‘এখন ক্রস ফায়ারের স্থান দখল করেছে গুপ্তহত্যা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবী করছে যে, এই গুপ্তহত্যার সাথে তারা জড়িত নয়। কিন্তু এর একটা রহস্য উদঘাটন হওয়া দরকার।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, টিআইবি এবং আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা এডভোকেট সুলতানা কামাল এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দেশের সুশীল সমাজ এখন প্রায় প্রতিদিন এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত এই ভীতিকর পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে, তা দেখার উদ্দেশ্যে সরকারের প্রতি তাকিয়ে আছেন।
গুম খুন সংক্রান্ত ব্যাপারে জনমনে উদ্বেগের কারণ এই যে, গত বিজয় দিবসের পূর্ববর্তী মাত্র তিন সপ্তাহ কাল সময়ে অন্ততঃ ২৭ জন নিখোঁজ হয়েছে। লাশ পাওয়া গেছে কয়েকজনের। সরকারী হিসেবে গত দু’বছর এগারো মাসে ১২ হাজার খুনের কথা জানা গেছে। এই হিসেবের বাইরে গুম ও খুনের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে। সচেতন মহল এ অবস্থাকে জননিরাপত্তাহীন বলে বর্ণনা করছেন। এ অবস্থা হঠাৎ করে একদিনে সৃষ্টি হয়নি। বিভিন্ন মহল এবং মিডিয়া বহু পূর্ব থেকেই এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষীয় তরফ থেকে এসব তথ্য অস্বীকার করে বার বার বলা হয়েছে যে, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন প্রকার অবনতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা থেমে থাকেনি। এ বিষয়টা উচ্চতর আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। উচ্চতর আদালতের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, কাউকে গ্রেফতার কিম্বা আটক করতে গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন গ্রেফতারের আগে নিজেদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন। গ্রেফতারের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃতের অবস্থান সম্পর্কে তার পরিবারের সদস্যদেরকে অবহিত করতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক শ্রেণীর কর্তা বা কর্মী তা অনুসরণ করছেনা বলে অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে। এতে করে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে এবং সরকার ও প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অতীতে বিএনপি সরকারের আমলে অপারেশন ক্লিন হার্টের মধ্য দিয়ে সূচিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছিল। সমালোচকদের শীর্ষে ছিলেন তদানীন্তন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী সরকার গঠনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল যে এসব ভয়াবহ কাণ্ড-কারখানা থেকে সমাজ ও জনগণ রেহাই পাবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। বরং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার কমিশনগুলোর বিশ্লেষণে প্রতিভাত হচ্ছে।
এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)