পৃষ্ঠাসমূহ

নৃবিজ্ঞানে ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজের অবদান



নৃবিজ্ঞানে ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজের অবদান





ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ
১৯২৬-২০০৬



সূচীপত্র ঃ

বিষয় পৃষ্ঠা

ভূমিকা ---------------------------------------------------------------------- ১
জন্ম ও শিক্ষা জীবন ----------------------------------------------------------- ১
প্রতীকবাদ ------------------------------------------------------------------- ১
সংস্কৃতির ব্যাখ্যা -------------------------------------------------------------- ২
এথনোগ্রাফি ------------------------------------------------------------------ ৩
তাত্তি¡ক কাঠামো --------------------------------------------------------------- ৩
গিয়ার্টজের গ্রন্থসমূহ ----------------------------------------------------------- ৪
উপসংহার -------------------------------------------------------------------- ৫
সহায়ক গ্রন্থ ------------------------------------------------------------------ ৬

ভূমিকা

সমসাময়িক নৃবিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ নৃবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুনভাবে তত্ত¡ দাঁড় করান। তিনি ছিলেন আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী ও ম্যক্স ওয়েবার কর্তৃক অনেক বেশী প্রভাবিত। কার্ল মার্কস সমাজকে বস্তুগত অবস্থা দ্বারা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেন। অপরদিকে ম্যক্স ওয়েবার সমাজকে গবধহরহম এর মাধ্যমে বুঝার চেষ্ঠা করেন। ম্যক্স ওয়েবার এর এই ধারা থেকেই পরবর্তীতে ঐধৎসড়হরংঃরপ ধারা বিকাশ লাভ করে। গবধহরহম কিভাবে তৈরী হয়, বিকাশ লাভ করে, পরিবর্তীত হয় এই সব বিষয়ই মূলত এ ধারায় অধিক গুরুত্ব পায়। এই ধারারই একজন গুরুত্বপূর্ণ তাত্তি¡ক হলেন ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ। তিনি দুটি বিশেষ সমাজের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যার মাধ্যমে তার তত্ত¡ দাঁড় করান। নৃবিজ্ঞানের লক্ষ্য, নৃবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও দ্বায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা প্রশ্ন, তর্ক ইত্যাদি উপস্থাপন করেন এবং একটি সংস্কৃতির মাধ্যমে অন্য একটা সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করা যায় কিনা সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি মৌলিক প্রশ্নটি তুলেছেন নৃবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, নিরপেক্ষতা, ও বাস্তবাতার বিষয়টি নিয়ে। সমাজ-সংস্কৃতি ব্যাখ্যায় নৃবিজ্ঞানের অবস্থান, কৌশল ও পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত, নৃবিজ্ঞানীর ভূমিকা কেমন হবে, ঊঃযহড়মৎধঢ়যু কিভাবে লিখতে হবে প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে এবং মরক্কোর সমাজে গবেষণার মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন তার “ঞযব ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ ড়ভ ঈঁষঃঁৎব”(১৯৭৩) গ্রন্থে।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

নৃবিজ্ঞানী ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ ১৯২৬ সালের ২৩ আগস্ট আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৩-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে) তিনি ইউ.এস. নেভিতে কাজ করেন। তারপর ১৯৫০ সালে অহঃরড়পয ঈড়ষষবমব থেকে তিনি দর্শন শাস্ত্রে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১৯৫৬ সালে গিয়ার্টজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক নৃবিজ্ঞানে তাঁর পি.এইচ.ডি সম্পন্ন করেন সামাজিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে। ১৯৬০-১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেন। তারপর ১৯৭০- ২০০০ সাল পর্যন্ত গিয়ার্টজ ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ অফাধহপবফ ঝঃঁফু এর অধ্যাপক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। প্রায় পনেরোটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন যার মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ প্রথমে ঐরষফৎবফ এববৎঃু নামে একজন নৃবিজ্ঞানীকে বিয়ে করেন কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায় এবং কধৎবহ ইষঁ নামে আরেক মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন। কধৎবহ ইষঁ ও একজন নৃবিজ্ঞানী ছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ শে অক্টোবর হৃৎপিন্ডে অস্ত্রোপাচারের সময় ক্লিাফোর্ড গিয়ার্টজ মৃত্যু বরণ করেন।
(সূত্রঃ- যঃঃঢ়://িি.িরধং.বফঁ/হবংিৎড়ড়স/ধহহড়ঁহপবসবহঃং/ারব/িমববৎঃু-১৯২৬-২০০৬যঃসষ)


প্রতীকবাদ

অনেক নৃবিজ্ঞানী সংস্কৃতিকে একটা প্রতীকী ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করেন। যাদের মধ্যে সমসাময়িক কালের ডেভিড স্লাইডার, ভিক্টর টার্নার, মেরি ডগলাস প্রমূখ অন্যতম। এখানে অর্থের উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। সংস্কৃতির ব্যাখ্যা দেয়ার আগে তিনি ১৯৬০ এর দশকের পূর্বের সংজ্ঞা গুলোর সমালোচনা করেন এবং বলেন ঐসব সংজ্ঞা গুলো প্রকৃত পক্ষে অর্থহীন যা স্থির এবং অপরিবর্তনীয় এবং এগুলো কোন একটা সংস্কৃতির বাস্ত-বতাকে তুলে আনতে পারেনা। কেননা সেই সব সংজ্ঞা গুলো ছিল একপেশে যে গুলোতে ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ ছিল না। তাছাড়া এক ধরনের ওহঃবষষবপঃঁধষ যবমবসড়হু তৈরী করে রাখে, যেখানে চিন্তার কোন সুযোগ থাকে না। প্রতীকবাদ এ প্রথাবাদী ধারণা থেকে বিপরীত অর্থ অন্বেষণে প্রতীকীবাদীরা স্থানিক ও লোকজ বিশ্লেষণকে ‘সংস্কৃতি’ বির্নিমাণে ব্যবহার করেন।

গিয়ার্টজ বলেছেন, গবেষণাধীন সমাজের দৃষ্টিতে বা তাদের মতো করেই তাদের সংস্কৃতিকে অনুধাবন করতে হবে। নতুবা ব্যাখ্যামূলক নৃবিজ্ঞান এর চারিত্রহানী ঘটবে। প্রতীক সম্পর্কে গিয়ার্টজ বলেছেন, “ঝুসনড়ষং, সড়ফবষ, ঢ়যুংরপধষ, ঢ়ংুপযড়ষড়মরপধষ ধহফ ংড়পরধষ বাবহঃং ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ বহধনষরহম ধ ংড়পরবঃু’ং সবসনবৎ ঃড় ঁহফবৎংঃধহফ ৎবধষরঃু ধহফ ফবধষ রিঃয রঃ.” (সূত্রঃ নৃবিজ্ঞান প্যারাডাইম রূপান্তরের ধারা, পৃঃ- ১৪৪)

সংস্কৃতির ব্যাখ্যা

সংস্কৃতিকে একটা প্রতীকী ব্যবস্থা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করলে ও নৃবিজ্ঞানীরা বর্তমানে গবধহরহম অনুসন্ধানের গুরুত্বারোপ করেন। ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ, ম্যাক্স ওয়েবারের সাথে একমত হয়ে বলেন, ঈঁষঃঁৎব হচ্ছে ওহঃবৎঢ়ৎধঃরাব তাই এটা কোন খধি খুঁজে না। ঈঁষঃঁৎব হবে রহ ংবধৎপয ড়ভ সবধহরহম আর তাই এটা হবে অপঃড়ৎ এবং চঁনষরপ ড়ৎরবহঃবফ . চৎরাধঃব কোন কিছুই ঈঁষঃঁৎব হবে না। আগে যারা ঈঁষঃঁৎব কে সংজ্ঞায়িত করেন তারা মানুষের বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কীত করে সংজ্ঞায়িত করেন যেটি ছিল চৎরাধঃব. তিনি বলেন, ঈঁষঃঁৎব পধহ নব ঃযৎড়ঁময রফবধঃরড়হধষ হড়ঃ রফবড়ষড়মরপধষ, ঃযরং রং ঁহঢ়যুংরপধষ নঁঃ রঃং হড়ঃ যরফফবহ. ঞযরং পধহ নব রফবহঃরঃরপধষ রহ ংুসনড়ষং’ ধহফ ঢ়ঁনষরপ. ঈঁষঃঁৎব ংঁনলবপঃরাব ও হতে পারে আবার ঙনলবপঃরাব হতে পারে।

কৎড়বনবৎ বলেন, “ঈঁষঃঁৎব রং ংড়সবঃযরহম ংঁঢ়বৎ ড়ৎমধহরপ”- কিন্তু এববৎঃু বলেন যদি ঝঁঢ়বৎ ড়ৎমধহরপ হয় তাহলে ঈঁষঃঁৎব এর সৃষ্টি কোথায়? আর তাই এই সংজ্ঞাটি সঠিক নয়।

এড়ড়ফবহড়ঁময বলেন, “ঈঁষঃঁৎব রং ষড়পধঃবফ রহ সরহফ ধহফ যবধৎঃ”- এববৎঃু বলেন, এই সংজ্ঞাটি আরো বেশী সমস্যা তৈরী করে। যদি কারো মনের কথা শোনা হয় তাহলে সেটা হবে ঝুঃষব ড়ভ নবযধারড়ঁৎ এর ব্যাখ্যা।

জ.এ. জধংরহম- “ঈঁষঃঁৎব রং পড়হংরংঃ ড়ভ ড়ৎমধহরুবফ শহড়ষিবফমব” আর এক্ষেত্রে ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ বলেন, ঈঁষঃঁৎব যদি ঙৎমধহরুবফ শহড়ষিবফমব হয় তাহলে সেটা হবে ঊীঃৎবসব ভড়ৎসধষরংঃ.

ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ বলেন, এসব সংজ্ঞা গুলো ছিল অনেকটা ড়নংপঁৎব. এগুলো বাস্তব ভিত্তিক না কেননা এগুলো ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরাব না। তাঁর মতে, সংস্কৃতি হচ্ছে একই সাথে ঝুসনড়ষরপ ও ওহঃবৎঢ়ৎবঃরাব. আর তাই একই সাথে ঝঁনলবপঃরাব ধহফ ঙনলবপঃরাব আর তাই এটা হচ্ছে একটা অর্থবহ পন্থা। এভাবে তিনি পূর্বের সংজ্ঞা গুলোর বিনির্মান করে বলেন, “ঈঁষঃঁৎব রং ধ ংুংঃবস ড়ভ সবধহরহম ধহফ ৎবষধঃরড়হং ধৎব ঃৎধভভরপশরহম রহ ংুসনড়ষং.” (সূত্রঃ নৃবৈজ্ঞানীক প্যারাডাইম রূপান্তরের ধারা, পৃঃ ১৩৭) এভাবে তিনি গবধহরহম কে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বারোপ করেন এবং গভীর ভঅবনার উপলব্ধি অন্বেষণের মাধ্যমে সমাজের চলমান বাস্তবতাকে বুঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

্িক্লফোর্ড গিয়ার্টজ বলেন, গবধহরহম কে ব্যক্তির মনোজগতের মধ্যে উপলব্ধির কোন কারণ নেই। সমষ্টিক এবং ব্যষ্টিক পরিসরে পরিস্ফুটন ঘটনার মধ্যে যেমন আচার অনুষ্ঠান ও জাদুবিদ্যা প্রয়োগ ইত্যাদিতে গবধহরহম লুকায়িত থাকে। উদাহরন স্বরূপ- বালিনীজ সমাজে ঈড়ড়শভরমযঃ এর সাথে সম্পৃক্ত, বাজী ধরা ঘটনার মধ্য দিয়ে দলীয় মনোভাব প্রকাশ পায়। একটা দলের জয় পরাজয় ঝুসনড়ষ হিসেবে কাজ করে, যা একটা দলের উচ্চ মর্যাদা আর অন্য দলের খন্ডিত মর্যাদার লক্ষণ হিসাবেই বিবেচিত হয়। এখানে ব্যক্তি বিশেষের কৃতিত্ব গৌণ।

্িক্লফোর্ড গিয়ার্টজ, স্লাইডার প্রমূখরা একটা সমাজের প্রতীক সমূহের অন্বেষণের ক্ষেত্রে ঝযধৎবফ ঝুসনড়ষং এগুলোকে বেছে নিয়েছেন। জীবনকে পরিচালিত করতে গিয়ে সমাজের মানুষেরা যে অর্থবহ কর্ম দিয়ে সমষ্টিগতভাবে সমস্যা সমাধান করে তারই মধ্যে আছে গবধহরহম । সমাজের প্রতীকগুলো সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্থ। প্রত্যেক প্রতীক একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রকে নির্দেশ করে, যাদের সমস্টিক অবস্থানই হলো সংস্কৃতি। যেকোন প্রতীক ব্যবস্থার অধ্যয়নে সর্বনিম্ন স্তরে থাকে খবাবষ ড়ভ অপঃড়ৎ, মধ্যে থাকে ঈঁষঃঁৎধষ ঝুংঃবস ও সর্ব উপরে থাকে ঝুসনড়ষরপ ঝুংঃবস.

ঊঃযহড়মৎধঢ়যু (এথনোগ্রাফি)

গিয়ার্টজ নৃবিজ্ঞানের জিজ্ঞাসা সম্পর্কে যা বলেন তা মোটামোটি নিম্নরূপ:

ক) সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করা
খ) নৈতিকতার প্রসঙ্গ
গ) কোন সমাজ ও সংস্কৃতিকে বুঝার ক্ষেত্রে কি ধরনের বৈশিষ্ঠসমূহ বিরাজমান
ঘ) সমাজ ও সংস্কৃতিকে কতটুকু বোঝা সম্ভব অর্থাৎ মাত্রাটা কি?

তিনি বলেন আসলে ঙঃযবৎহবংং একটা থেকেই যায়, এক্ষেত্রে জরুরী বিষয় হল কোন সমাজের সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে চিত্রায়িত করা। নৃবিজ্ঞানী কোন কিছুর চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করতে পারে। গিয়ার্টজ এর ভাষায় বর্ণনা যেহেতু সম্ভব, তার চেষ্টাই বারংবার হওয়া উচিত। এবং বারংবার ভিন্নতা সৃষ্টি হলেও সেই চেষ্টা করা উচিত। তার মতে এথনোগ্রাফি হলো নিবিড় বর্ণনা বা বিশদ বর্ননা। বিশদ বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় বিশেষ কোন সমাজের ঘটনাকে ও সেই সাথে মূলত: সংস্কৃতিতে একেবারে তুলে ধরার জন্যে। এ কাজটি করতে হবে ঘধঃরাব ঢ়ড়রহঃ ড়ভ ারবি থেকে। গিয়ার্টজ এ প্রসঙ্গে প্রধানত ম্যালিনোস্কির “ঞযব অৎমড়হধঁঃং ড়ভ ঃযব ডবংঃবৎহ চধপরভরপ” গ্রন্থের উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত ম্যালিনোস্কি নৃতাত্তি¡ক কর্মে ট্রব্রিয়ান্ডবাসীদের জীবনচরিত ব্যাখ্যায় ক্ষেত্র বিশেষে মূল্যবোধ আরোপ করেছেন। সমাজকে বস্তুনিরপেক্ষভাবে বিচার করার ক্ষেত্রে বোয়াস বস্তুনিরপেক্ষভাবে কোন সমাজকে উচুঁ বা নিচু মানদন্ডে শ্রেণীকরণের বিরোধী ছিলেন। নৃবিজ্ঞানে এ দুটি দৃষ্টিকোণকে এটিক এবং এমিক বলে অভিহিত করা হয়। এক্ষেত্রে গিয়ার্টজ এমিক দৃষ্টিকোণের অধিকারী ছিলেন। ম্যালিনোস্কি তার ডায়েরীতে ইউরোপীয়দের সাপেক্ষে ঐ সমাজকে আদিম, বর্বর, ও অসভ্য পর্যন্ত বলেছেন। গিয়ার্টজ মনে করেন কোন সমাজে গিয়ে নৃবিজ্ঞানী সব বুঝে ফেলবেন এমন চিন্তা না করে বরং সেই সমাজের সংস্কৃতিকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা উচিত। নৃবিজ্ঞান হবে ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরাব অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মু’ অর্থাৎ ব্যাখ্যামূলক নৃবিজ্ঞান। আর সব ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ এর ইধংব হবে ঝুসনড়ষ। গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা খধি খুঁজবো না খুঁজবো গবধহরহম. আর তাই এক্ষেত্রে ঊঃযহড়মৎধঢ়যু হবে ভষড়ি ড়ভ ঝড়পরধষ ফরংপড়ঁৎংব, রঃ’ং ফবঢ়বহফ ড়হ:

১) ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ
২) ঝড়পরধষ উরংপড়ঁৎংব
৩) ঝঢ়বধশরহম ড়ভ বাবহঃ
৪) গরপৎড়ংপড়ঢ়রপ ধহধষুংরং.

ঞযবড়ৎবঃরপধষ ঋড়ৎসঁষধঃরড়হ (তাত্তি¡ক কাঠামো)

ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ বলেন, আগেরকার তাত্তি¡ক কাঠামোর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল, যেগুলো ছিল কাঠামোবদ্ধ আর তাই যেখানে সবধরনের ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ ছিল না। আর এ কারণে গিয়ার্টজ তাত্তি¡ক কাঠামোর পক্ষপাতি নন। তাঁর মতে, তত্তে¡র কাজ হলো কোন বিষয়কে আকৃতি দেয়া এবং তথ্যের বৈধতা দান করা কিন্তু এর বৈধতার কোন দরকার নেই, কেননা আমরা সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করবো ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ এর মাধ্যমে। এর এ ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ টা আসবে অপঃড়ৎ দিক থেকে যেটা ধীরে ধীরে ঞযরপশ থেকে ঞযরহ এ রূপান্তরিত হবে। এখানে তত্তে¡র কোন দরকার নেই। কারণ ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ নিজেই ঠধষরফধঃবফ । গবেষণা হচ্ছে কোন কিছুর অর্থ খুঁজে বের করা আর অর্থটা আমরা পাই ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ থেকে ।

গিয়ার্টজ মনে করেন, ঈড়হপবঢ়ঃ দরকার হয় বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে যেখানে ঈষড়ংবফ মৎড়ঁহফ ব্যবহার করা হয় না কিন্তু ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ এর ক্ষেত্রে ঈড়হপবঢ়ঃ ব্যবহার করলে ঈষড়ংবৎ মৎড়ঁহফ থেকে দূরে সরে যাবে। এখানে ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ যত বেশী হবে সংস্কৃতি তত স্পষ্ট হবে। আর এখানে কঠিন কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় না। তিনি বলেন-

ক্স তত্ত¡ হচ্ছে চিরন্তন ও সত্য। কিন্তু সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। তাই এক্ষেত্রে তত্ত¡ দেয়া সম্ভব নয়। গিয়ার্জের মতে, গবেষণা এর ক্ষেত্রে থাকবে শুধু খড়মরপধষ ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ.
ক্স ঞযবড়ৎু ঝঁনলবপঃরাব হবে না। আর কোন গবেষণা পুরোপুরি ঙনলবপঃরাব হবে না। কারণ আমরা এখানে গবধহরহম খুঁজি, সংস্কৃতি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে।
ক্স আমাদের সংস্কৃতির ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ টা হচ্ছে গল্প বলার মতো আর এটাকে ওহঃবষবপঃঁধষ ধৎঃ এর মতো ব্যাখ্যা করা হয়, তাই এখানে তত্ত¡ যোগ করলে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
ক্স এছাড়া তত্ত¡ সবসময় আমাদের চৎবফরপঃরড়হ দেয় আর চৎবফরপঃরড়হ হয়ে থাকে ঝুসঢ়ঃড়স থেকে কিন্তু সংস্কৃতিতে থাকে প্রতীক তাই এখানে তত্ত¡ দেয়া যাবে না।
ক্স সংস্কৃতি ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ কখনোই সিদ্ধান্ত দেয় না বরং একটা প্রশ্ন তৈরী করে। আর তাই সংস্কৃতি তত্ত¡ বড়জোর প্রশ্ন তৈরী করতে পেরেছে কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। কারণ সংস্কৃতি সবসময় পরিবর্তনশীল।
ক্স তত্ত¡ আমাদেরকে শিক্ষা দেয় কিন্তু সংস্কৃতি ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ এর শিক্ষক হচ্ছে ওহভড়ৎসবৎ তাই এখানে তত্তে¡র কোন দরকার নেই। এখানে ঘধঃরাব ঢ়ড়রহঃ ড়ভ ারব,ি ঊসরপ ারবি হচ্ছে শিক্ষক।
ক্স তত্ত¡ মূলত আগের গুলো অস্বীকার করে নতুন তথ্য উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠিত হয় কিন্তু সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কোন কিছু অস্বীকার না করে নতুন কিছু যোগ করে থাকে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অংশের ব্যাখ্যা থাকে না, ফলে আগের গুলোর সাথে নতুন গুলো যোগ হয়ে আরো শোচনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়।

আর তাই ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ বলেন, ঞযবড়ৎবঃরপধষ ভড়ৎসঁষধঃরড়হ হলে এটা বর্তমান সমস্যাকে আরো বড়াবে। আর যে কারণে তিনি ডবনধৎরধহ ঃৎবহফ অনুসরন করে বলেন সংস্কৃতি হবে সবসময় ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরাব ঞযরপশ থেকে ঞযরহ এ পরিণত হবে।

ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজের অন্যতম গ্রন্থসমূহ হচ্ছে-
ক্স ঞযব জবষরমরড়হ ড়ভ ঔধাধ (১৯৬০), টহরাবৎংরঃু ঙভ ঈযরপধমড় চৎবংং ১৯৭৬ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-২২৬-২৮৫১০-৩
ক্স চবফফষবৎং ধহফ চৎরহপবং: ঝড়পরধষ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ধহফ ঊপড়হড়সরপ ঈযধহমব রহ ঞড়ি ওহফড়হবংরধহ ঞড়হিং (১৯৬৩), টহরাবৎংরঃু ঙভ ঈযরপধমড় চৎবংং ১৯৬৮ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-২২৬-২৮৫১৪-৬
ক্স অমৎরপঁষঃঁৎধষ ওহাড়ষঁঃরড়হ: ঃযব ঢ়ৎড়পবংং ড়ভ বপড়ষড়মরপধষ পযধহমব রহ ওহফড়হবংরধ (১৯৬৪)
ক্স ওংষধস ঙনংবৎাবফ, জবষরমরড়ঁং উবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ গড়ৎড়পপড় ধহফ ওহফড়হবংরধ (১৯৬৮), টহরাবৎংরঃু ঙভ ঈযরপধমড় চৎবংং ১৯৭১ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-২২৬-২৮৫১১-১
ক্স ঞযব ওহঃবৎঢ়ৎবঃধঃরড়হ ড়ভ ঈঁষঃঁৎবং (১৯৭৩), ইধংরপ ইড়ড়শং ২০০০ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৪৬৫-০৯৭১৯-৭
ক্স করহংযরঢ় রহ ইধষর (১৯৭৫) পড়ধঁঃযড়ৎ: ঐরষফৎবফ এববৎঃু, টহরাবৎংরঃু ঙভ ঈযরপধমড় চৎবংং ১৯৭৮ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-২২৬-২৮৫১৬-২
ক্স ঘবমধৎধ: ঞযব ঞযবধঃৎব ঝঃধঃব রহ ঘরহবঃববহঃয ঈবহঃঁৎু ইধষর (১৯৮০), চৎরহপবঃড়হ টহরাবৎংরঃু চৎবংং ২০০১ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৬৯১-০০৭৭৮-০
ক্স খড়পধষ কহড়ষিবফমব: ঋঁৎঃযবৎ ঊংংধুং রহ ওহঃবৎঢ়ৎবঃরাব অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মু (১৯৮৩), ইধংরপ ইড়ড়শং ২০০০ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৪৬৫-০৪১৬২-০
ক্স "অহঃর-অহঃর-জবষধঃরারংস" (১৯৮৪), অসবৎরপধহ অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরংঃ, াড়ষ. ৮৬, হড়. ২, ঢ়ঢ়. ২৬৩-২৭৮.
ক্স ডড়ৎশং ধহফ খরাবং: ঞযব অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরংঃ অং অঁঃযড়ৎ (১৯৮৮), ঝঃধহভড়ৎফ টহরাবৎংরঃু চৎবংং ১৯৯০ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৮০৪৭-১৭৪৭-৮
ক্স অভঃবৎ ঃযব ঋধপঃ: ঞড়ি ঈড়ঁহঃৎরবং, ঋড়ঁৎ উবপধফবং, ঙহব অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরংঃ, ঐধৎাধৎফ টহরাবৎংরঃু চৎবংং ১৯৯৫ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৬৭৪-০০৮৭২-৩
ক্স আধরষধনষব খরমযঃ: অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরপধষ জবভষবপঃরড়হং ড়হ চযরষড়ংড়ঢ়যরপধষ ঞড়ঢ়রপং, চৎরহপবঃড়হ টহরাবৎংরঃু চৎবংং ২০০০ ঢ়ধঢ়বৎনধপশ: ওঝইঘ ০-৬৯১-০৮৯৫৬-৬
ক্স "অহ রহপড়হংঃধহঃ ঢ়ৎড়ভবংংরড়হ: ঞযব ধহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরপধষ ষরভব রহ রহঃবৎবংঃরহম ঃরসবং" (২০০২), অহহঁধষ জবারবি ড়ভ অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মু, াড়ষ. ৩১, ঢ়ঢ়. ১-১৯
[সূত্রঃ- যঃঃঢ়://বহ.রিশরঢ়বফরধ.ড়ৎম//িরহফবী.ঢ়যঢ়?ঃরঃষব=ঈষরভভড়ৎফথএববৎঃ্ধুপঃরড়হ=বফর্ংঃবপঃরড়হ=৪]

উপসংহার

নৃবিজ্ঞানের কাজ অধ্যয়নরত সমাজটিকে বুঝে ফেলা নয়, বরং সেই সমাজের পরিসরে গিয়ে নিজেকেই চেনা বা নিজের সমাজেরই ব্যাখ্যা করা: অনেকটা আত্মানুসন্ধানের মতোই। যদি স্থানীয় সংস্কৃতিকে বুঝতে হয়, তবে তা গবেষকের চোখ দিয়ে দেখলে চলবেনা। কারণ গবেষকের তৃতীয় নয়ন বলতে কিছু নেই। তাই তার ক্ষেত্রে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বুঝতে হলে স্থানীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই গবেষককে ঘটনা প্রবাহ থেকে এ সকল নিগূঢ় সত্য বিমূর্তায়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন প্রতীকীবাদী নৃবিজ্ঞানী ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ। মূর্তমান বাস্তবতা থেকে ‘রূপক’ ও প্রতীক খুঁজে নিতে হবে। এথনোগ্রাফীক গবেষণায় গিয়ার্টজ নিবিড় ক্ষেত্র অনুসন্ধানের নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন যা প্রতীকী মডেলের তত্ত¡ীয় পাটাতন স্থাপনে একটি পদক্ষেপ। এই পদ্ধতির প্রায়োগিকতা নৃবিজ্ঞানের পরিচিত সীমানা ছাড়িয়ে অন্য বিদ্যাজাগতিক পরিমন্ডলেও বহুলভাবে সমাদৃত।
























সহায়ক গ্রন্থ

চৌধুরী, আহমেদ ফজলে হাসান (২০০৩) “নৃবৈজ্ঞানিক প্যারাডাইম রূপান্তরের ধারা”
ইন্সটিটিউট অফ অ্যাপ্লাইড এ্যানথ্রোপলজী, ঢাকা।

Url address

www.britannica.com/eb/topic-227742/cliford-Geertz .
www.ias.edu/newsroom/announcements/view/geertz-1926-2006 html.
www..wikipedia.org/w/index.php?title=Clifford_Geertz&action.