পৃষ্ঠাসমূহ

কবিতা ও কবিতা-ভাবনার কাগজ_ বটতলা



কবিতা ও কবিতা-ভাবনার কাগজ_ বটতলা

কবিতা বিষয়ক একটা লিটলম্যাগ করেছিলাম এক সময়।
আপনাদের জন্য আপলোড করে লিংকটা দিলাম।
পড়ে দেখতে পারেন একটু ভিন্নধাচের কাগজটি।


ওই কাগজের সম্পাদকীয়টা এখানে তুলে দিচ্ছি__

পতিতকথাঃ

প্রস্তুতি পেরিয়ে এ সংখ্যা থেকেই যাত্রা শুরু করছে বটতলা। অগ্রজের মিশ্রকথা আর সমবয়েসিদের সুপ্ত ইচ্ছাকে ধারণ করে এই আয়োজন। কবিতা এবং কবিতাই বটতলার; শেকড়, ডালপালা, পাতা কিংবা শাখা। কবিতা সম্পর্কে পূর্বের উচ্চারণ অপরিবর্তিত থাকছে। অথাৎ বটতলা কবিতাকে অনেকটা গণিতের মত দেখে; যার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকবে রহস্য। বটতলা মনে করে না, কবিতা একবার পড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবার মত কোন জিনিস। কেননা কবিতা হচ্ছে বারবার পড়ার মত, বারবার অনুভূতিকে নাড়া দেবার মত যৌক্তিক উপাদান। কবিতা শুধু কথার আঁকি-বুঁকি না হয়ে অনুভূতি প্রকাশের সূক্ষ্ণ নিয়ামক হয়ে আমাদের কাছে-পাশে থাকবে।...

'কবিতার পাঠক কমে গেছে'
'কবিতা এখন শুধু কবিদের হয়ে গেছে'
‘কবিতা বুঝা যায় না'

এ রকম অনেক অভিযোগ শোনা যায়। প্রশড়ব হচ্ছে কবিতার পাঠক কখন বেশী ছিল? আর দুর্বোধ্যতার অভিযোগ তো থাকবেই। সমাজের সব মানুষ তো আর সূক্ষ্ণ অনুভূতি নিয়ে জন্মায় নি! তাই বটতলা বলতে চায়- ‘আমাদের’ কবিতা আম-জনতার জন্য নয়। কবিতা কখনো গিয়ে কাউকে বলে নি আমাকে পড়ো, আমাকে পড়ো।

আর বলবেও না।”

স্বতন্ত্রতার বয়ান; অপরাধী আতড়ব-প্রলাপঃ

আমরা অন্যধারার কবিতার কথা বলতে চাই। আমরা বলতে চাই কবিতার বিচারে অনুভূতি-ই হবে প্রধান নিয়ামক। নিউরণের প্রতিটি সেল কাজে লাগিয়ে কবি’র কবিতা আবিস্কার করতে হবে। যে কবিতায় আবিস্কার করার মত কিছু থাকবে না, সে ধরণের কবিতা-চর্চায় আমরা নেই।

ঢুলি, বাদক ও অন্যান্য সমাচারঃ

নিজের ঢুল... ব্যাপারটা এমনই দাঁড়ায়। তবু নিজস্ব পথ ও মতের ব্যাখ্যা সময় ঠিকই দাবী করে। আমরা বাদক হলেও সময়কে এড়িয়ে যেতে চাই না। তার হাতেই ছেড়ে দিতে চাই তার হিসেব-নিকেশ।

অথৈ জল, জলঢেউ ও তরী প্রসঙ্গঃ

এই বাজারে মধু বেঁচতে যাওয়ার চেয়ে বিষ বিক্রি উত্তম। আমরা কোন বিক্রেতা হব জানি না। তবে বড় বড় ঢেউ দেখলে তরীর কথা মনে পড়ে। আর মনে পড়ে অগ্রজ মাঝিদের কথা।

একই পথে; ভিন্ন পথিকঃ

আমরা কবিতার পথেই হাঁটছি।

তবে প্রত্যেকে কিন্তু ভিনড়ব পথিক। ‘পথ কে পাবে’ অথবা ‘কাকে পথ পাবে’- সেই ব্যাপারে আগ্রহী হলেও উদগ্রীব নই। ‘বটতলা’ আপাত দৃষ্ঠিতে গোষ্ঠিবাদী প্রয়াস হলেও সেই দায় ‘সূচনা সংখ্যা’ এই অজুহাতের উপর চাপিয়ে দিলাম। এই সংখ্যায় হবিগঞ্জের তরুণরা, মূলত মধ্যশূন্যদশক (’০৫) থেকে যারা সচেতন ভাবে লেখালেখির সাথে জড়িত তারাই তালিকাভুক্ত হলেন। আর তালিকাভুক্তির তালিকাটি বটতলা খোলা রাখল সবার জন্য।
এ সংখ্যায় আমরা পূর্বজ কবি ও কবিতায় জানতে চেষ্ঠা করেছি সত্তর দশকের হবিগঞ্জের কবি, পার্থ সারথি চৌধুরী সম্পর্কে। আরো আছেন এক অনালোচিত মরমী সাধক, বাউল ছেগেন শাহ। ইংরেজ কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান এর কবিতা অনূদিত হল মুলত তাঁর কবিতার বাঁক বদলে বিশেষ অবদানের কথা মনে রেখে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বটতলা’য় কবিতার পাণ্ডুলিপি অংশে রনি হাসান এর কবিতা মুদ্রিত হল।

আমরা কবিতার পথেই হাঁটতে চাই। তবে গতানুগতিক পথে হেঁটে গিয়ে চিহ্ন রাখার কোনো মানে নেই। আসুন, মেধা ও মনন মিলিয়ে নাড়া দিই কবিতার ভিন্ন দিগন্তে; সুপ্ত অনুভূতির রাজ্যে।

কবিতার ভুবনে স্বাগতম।

ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।