এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
একটি অরাজনৈতিক সামরিক সমর্থনপুস্ট তত্বাবধায়ক সরকার চালাচ্ছে বাংলাদেশ!
খুবই অদ্ভূত শাসন ব্যবস্থা চলছে আমাদের দেশটিতে। যেখানে ১৪ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে চলে একটি নিয়মতান্ত্রিক সরকার সেখানে মাত্র গুটাকয়েকজন সামরিক ব্যাক্তিবর্গের সমর্থনে চলছে একটি সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যাচ্ছে দেশে একটা বিশেষ ব্যবস্থা বিদ্যমান। অথাৎ তথাকথিত জরুরী অবস্থা চলছে। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন রয়েছে, একটা দেশে জরুরী অবস্থা কতদিন থাকতে পারে এবং কতদিন থাকলে এটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়?
তত্বাবধ্যায়ক সরকার প্রথমে বিভিন্ন চমক দেখালেও এখন তাদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বড় দুই দলের প্রধানকে বন্দি করার পর তাদের মনোবল আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর কোথায় এবং কোন অবস্থায় মানবাধিকারের মত বিষয়টিকে এড়িয়ে একটি দেশ এবং তার সরকার চলতে পারে? বর্তমান সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন অভিযান চালাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষের সমর্থন আছে। এই কাজের জন্য সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো সরকার অতি উৎসাহী হয়ে একজনের দুর্নীতির জন্য তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলছে, ওই দুর্নীতিবাজ লোকের স্ত্রী তাকে দুর্নীতি করতে নিষেধ করলো না কেনো? সুতরাং তাকেও জেলে পাঠাও। কতটা হাস্যকর যুক্তি হতে পারে এটা। আপনি একজন চোরকে ধরলেন। তারপর ওই চোরের এলাকার সবাইকে ধরলেন আর বললেন, আপনাকে তাকে চুরি করতে নিষেধ করলেন না কেনো? পরবর্তী দেখা যাবে ওই চোর যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের শিক্ষককেও ধরলেন ভাল শিক্ষা দেয়া হয়নি এই অপরাধে! নাজমুল হুদাকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে দুর্নীতির দায়ে। সাথে তার স্ত্রী সিগমা হুদাকেও জেলে পাঠানো হল স্বামীকে অনুপ্রাণিত করার অভিযোগে! অথচ সিগমা হুদা একজন মানবাধিকার নেত্রী। সরকার মানবাধিকারের ধার তো ধারছেই না, উল্টো মানবাধিকার কর্মীকে জেলে ভরছে।
অথচ এই অরাজনৈতিক তত্বাবধায়ক সরকারের মূল ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর তাদের কাজে স্বচ্ছতা ও স্পস্টতা নিয়ে প্রশ্নের কোন অবকাশ থাকতে পারে না। বুলেট দিয়ে ব্যালট নিয়ন্ত্রণের উদাহরণ কখনও শুভ হয় না। সরকার জরুরী আইনের ক্ষমতার আওতায় সংস্কার ঘটাতে চাচ্ছে। সরকারের নেপথ্যে রয়েছে মহাক্ষমতাশালী চক্র যাদের উদ্ধত আচরণ স্পস্ট হয়ে উঠেছে। বাজেটে আর্থিক সংস্থান ছাড়াই স্ব-প্রমোশনের নির্লজ্জ উদাহরণ সৃস্টি করেছে ক্ষমতাবান জেনারেলরা। জেনারেলের আত্মীয় বিধায় দূর্নীতিবাজ আপনজনরা বিনা বাধায় দেশত্যাগ করেছে।
মাইনাস থিওরীর প্রবর্তন করে বর্তমান সরকার নতুন ধারার গণতন্ত্রের প্রবর্তন করতে চাচ্ছে। অথচ এটি সরকারের ম্যান্ডেট নয়। সরকার সুশীল সমাজ ক্রয়ের চমকপ্রদ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সামরিক পেশী শক্তির মুখপাত্র হিসেবে সংবাদ পত্রিকা আর সাংবাদিক কেনাবেচা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক নিয়োগ বাণিজ্য জমিয়ে মাথা কেনা চলছে। হায় হায় কোম্পানী, জাগো, নাশ, কল্যাণ পার্টি, নিরাপত্তা কাউন্সিল আর কনফারেন্স সর্বস্ব উদ্যোগ আয়োজন দিয়ে সরকার যথেস্ট হাস্যরসের জোগান দিয়ে জনগণকে বিনোদিত করার আপ্রাণ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো না করেও তো সরকার নন্দিত হতে পারত।
একজন রাজনৈতিক নেত্রীকে বহনকারী বিমানকে দেশের সীমানায় প্রবেশে বাধা দানের মতো হাস্যকর নাটকীয় ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়ে সরকার দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছে। জরুরী আইনের মধ্যেও সামরিক সরকার রাজনীতিতে কিংস পার্টির তরী ভাসানোর বিফল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জনগণ রাজনৈতিক স্বৈরাচার প্রত্যাখ্যান করেছে। মনে আছে, গত বছর পুলিশী ট্রাকের নীচে শহীদ হয়েছেন একজন গনতন্ত্রের সৈনিক। অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মী নির্যাতন ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। হয়নি কোন বিচার। গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন সংগ্রামের কারণেই বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের আগমন। তাই, আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়বার কোন অশুভ চেষ্টা এখনও সফল হবে না।
দু:খজনক হলেও সত্য যে, মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা এখনও বন্ধ হয়নি। দু'জন স্বনামধন্য উপদেস্টা তাদের রাস্ট্রীয় শপথ ভঙ্গ করেই জামাতীদের উদ্ধারে সময়ে-অসময়ে এগিয়ে এসেছেন। মৌলবাদী জামাতী আর হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা জরুরী আইন ভেঙ্গে মিটিং মিছিল করলেও জেলে যায়নি। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সামরিক ছাউনি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অপরাধে
অধ্যাপকরা আর ছাত্ররা এখনও জেলের ভেতরে ধুঁকছেন।
বর্তমান তত্বাবধায়ক তাদের ম্যান্ডেটের বাইরে অনেক কিছুই করতে চেয়েছে। তাদের সদিচ্ছার প্রকাশ ছিল অফুরন্ত। তবে তাদের অনেক কাজের মধ্যেই স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারী মনন কাজ করছে। আর স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে কোনোদিন জনগনের অন্তরে স্থান পাওয়া যায় না।
খুবই অদ্ভূত শাসন ব্যবস্থা চলছে আমাদের দেশটিতে। যেখানে ১৪ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে চলে একটি নিয়মতান্ত্রিক সরকার সেখানে মাত্র গুটাকয়েকজন সামরিক ব্যাক্তিবর্গের সমর্থনে চলছে একটি সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যাচ্ছে দেশে একটা বিশেষ ব্যবস্থা বিদ্যমান। অথাৎ তথাকথিত জরুরী অবস্থা চলছে। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন রয়েছে, একটা দেশে জরুরী অবস্থা কতদিন থাকতে পারে এবং কতদিন থাকলে এটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়?
তত্বাবধ্যায়ক সরকার প্রথমে বিভিন্ন চমক দেখালেও এখন তাদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বড় দুই দলের প্রধানকে বন্দি করার পর তাদের মনোবল আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর কোথায় এবং কোন অবস্থায় মানবাধিকারের মত বিষয়টিকে এড়িয়ে একটি দেশ এবং তার সরকার চলতে পারে? বর্তমান সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন অভিযান চালাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষের সমর্থন আছে। এই কাজের জন্য সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো সরকার অতি উৎসাহী হয়ে একজনের দুর্নীতির জন্য তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলছে, ওই দুর্নীতিবাজ লোকের স্ত্রী তাকে দুর্নীতি করতে নিষেধ করলো না কেনো? সুতরাং তাকেও জেলে পাঠাও। কতটা হাস্যকর যুক্তি হতে পারে এটা। আপনি একজন চোরকে ধরলেন। তারপর ওই চোরের এলাকার সবাইকে ধরলেন আর বললেন, আপনাকে তাকে চুরি করতে নিষেধ করলেন না কেনো? পরবর্তী দেখা যাবে ওই চোর যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের শিক্ষককেও ধরলেন ভাল শিক্ষা দেয়া হয়নি এই অপরাধে! নাজমুল হুদাকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে দুর্নীতির দায়ে। সাথে তার স্ত্রী সিগমা হুদাকেও জেলে পাঠানো হল স্বামীকে অনুপ্রাণিত করার অভিযোগে! অথচ সিগমা হুদা একজন মানবাধিকার নেত্রী। সরকার মানবাধিকারের ধার তো ধারছেই না, উল্টো মানবাধিকার কর্মীকে জেলে ভরছে।
অথচ এই অরাজনৈতিক তত্বাবধায়ক সরকারের মূল ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর তাদের কাজে স্বচ্ছতা ও স্পস্টতা নিয়ে প্রশ্নের কোন অবকাশ থাকতে পারে না। বুলেট দিয়ে ব্যালট নিয়ন্ত্রণের উদাহরণ কখনও শুভ হয় না। সরকার জরুরী আইনের ক্ষমতার আওতায় সংস্কার ঘটাতে চাচ্ছে। সরকারের নেপথ্যে রয়েছে মহাক্ষমতাশালী চক্র যাদের উদ্ধত আচরণ স্পস্ট হয়ে উঠেছে। বাজেটে আর্থিক সংস্থান ছাড়াই স্ব-প্রমোশনের নির্লজ্জ উদাহরণ সৃস্টি করেছে ক্ষমতাবান জেনারেলরা। জেনারেলের আত্মীয় বিধায় দূর্নীতিবাজ আপনজনরা বিনা বাধায় দেশত্যাগ করেছে।
মাইনাস থিওরীর প্রবর্তন করে বর্তমান সরকার নতুন ধারার গণতন্ত্রের প্রবর্তন করতে চাচ্ছে। অথচ এটি সরকারের ম্যান্ডেট নয়। সরকার সুশীল সমাজ ক্রয়ের চমকপ্রদ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সামরিক পেশী শক্তির মুখপাত্র হিসেবে সংবাদ পত্রিকা আর সাংবাদিক কেনাবেচা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক নিয়োগ বাণিজ্য জমিয়ে মাথা কেনা চলছে। হায় হায় কোম্পানী, জাগো, নাশ, কল্যাণ পার্টি, নিরাপত্তা কাউন্সিল আর কনফারেন্স সর্বস্ব উদ্যোগ আয়োজন দিয়ে সরকার যথেস্ট হাস্যরসের জোগান দিয়ে জনগণকে বিনোদিত করার আপ্রাণ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো না করেও তো সরকার নন্দিত হতে পারত।
একজন রাজনৈতিক নেত্রীকে বহনকারী বিমানকে দেশের সীমানায় প্রবেশে বাধা দানের মতো হাস্যকর নাটকীয় ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়ে সরকার দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছে। জরুরী আইনের মধ্যেও সামরিক সরকার রাজনীতিতে কিংস পার্টির তরী ভাসানোর বিফল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জনগণ রাজনৈতিক স্বৈরাচার প্রত্যাখ্যান করেছে। মনে আছে, গত বছর পুলিশী ট্রাকের নীচে শহীদ হয়েছেন একজন গনতন্ত্রের সৈনিক। অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মী নির্যাতন ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। হয়নি কোন বিচার। গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন সংগ্রামের কারণেই বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের আগমন। তাই, আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়বার কোন অশুভ চেষ্টা এখনও সফল হবে না।
দু:খজনক হলেও সত্য যে, মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা এখনও বন্ধ হয়নি। দু'জন স্বনামধন্য উপদেস্টা তাদের রাস্ট্রীয় শপথ ভঙ্গ করেই জামাতীদের উদ্ধারে সময়ে-অসময়ে এগিয়ে এসেছেন। মৌলবাদী জামাতী আর হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা জরুরী আইন ভেঙ্গে মিটিং মিছিল করলেও জেলে যায়নি। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সামরিক ছাউনি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অপরাধে
অধ্যাপকরা আর ছাত্ররা এখনও জেলের ভেতরে ধুঁকছেন।
বর্তমান তত্বাবধায়ক তাদের ম্যান্ডেটের বাইরে অনেক কিছুই করতে চেয়েছে। তাদের সদিচ্ছার প্রকাশ ছিল অফুরন্ত। তবে তাদের অনেক কাজের মধ্যেই স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারী মনন কাজ করছে। আর স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে কোনোদিন জনগনের অন্তরে স্থান পাওয়া যায় না।
লেবেলসমূহ:
নির্বাচিত কলাম