এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
সত্তর দশকে দেশত্যাগী, স্বেচ্ছানির্বাসিত কবি শহীদ কাদরীকে নিয়ে সমকালের শুক্রবারের আয়োজন 'কালের খেয়া' হাতে পেয়ে কতটা মুগ্গব্দ হয়েছি তা প্রকাশ করার মতো নয়। মুগ্গব্দতার পরক্ষণেই অবশ্য বেদনার্ত হয়ে যায় হূদয়। কারণ শহীদ কাদরী নামটা উচ্চারিত হলে আর যেসব প্রসঙ্গ চলে আসে তা হলো_ শামসুর রাহমান, আল মাহমদু, বিউটি বোডর্িং ইত্যাদি। সময়ের পরিক্রমায় সব কিছুই মোটামুটিভাবে চলমান ছিল গত বৃহস্পতিবার সন্দ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এ বেলায় এসে নিভে গেল শামসুর রাহমানের জীবনপ্রদীপ। আর সেই শামসুর রাহমান এবং শহীদ কাদরীর প্রসঙ্গই উঠে এলো হাসান ফেরদৌসের লেখায়। জ্ঞানগর্ভ সে প্রচ্ছদ রচনা পড়ে আরো জানা গেল শহীদ কাদরীর র্বতমান প্রবাস জীবনের খ-চিত্র। সৌম্য দাশগুপ্ত ও অংকুর সাহার সঙ্গে শহীদ কাদরীর পত্রালাপ (যাকে লেখক্টয় সাক্ষাৎহীন সাক্ষাৎকার বলেছেন) হওয়া সত্ত্বেও তা অনেকটাই অন্তরঙ্গ হয়ে উঠেছে উপস্থাপনের ধারাবাহিকতার জন্য।
শহীদ কাদরী ও তার প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরও যদি আলাদাভাবে বইগুলোর প্রকাশকাল ও তিনটি বই থেকে নির্বাচিত অন্তত তিনটি কবিতা পুনমর্দু্রিত হতো তাহলে মনে হয় সংখ্যাটা আরো পরিপূর্ণ হতো। তবুও কালের খেয়াকে ধন্যবাদ এ জন্য যে, কালের খেয়া সব সময় তার পাঠকের চাহিদাকে মূল্যায়ন করে। কালের খেয়া সম্পাদক আরো অগণিত পাঠকের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ থাকবেন; যদি তিনি অসুস্থ কবি শহীদ কাদরীর স্মৃতিকথা ও কবিতা বিষয়ক টিকা-টিপ্টপ্পনিগুলো উদ্ধারের (লেখিয়ে নেওয়ার) ব্যবস্থা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি বিভাগ হচ্ছে 'পাঠকের কলম'। সেখানে তানজীব-উল-আলমের চিঠি পড়ে মনে পড়ল বিগত এক সংখ্যায় সিলেটের কামরুজ্জামান হেলাল যে মন্তব্যগুলো করেছিলেন সুব্রত আগাসি্টন গোমেজ, টোকন ঠাকুর ও সাহিত্য পাতায় লেখা প্রকাশ নিয়ে তার প্রেক্ষিতে কিছু বলা দরকার। অবশ্য সুব্রত আগাসি্টন গোমেজ তার জবাব দিয়েছেন পরর্বতী সংখ্যায়। তাই আমি বলতে চাই টোকন ঠাকুর প্রসঙ্গে।
আমার মনে আছে, কয়েক মাস আগে সমকালের উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুহূদ সমাবেশ তিন দিনের একটি কর্মশলার আয়োজন করেছিল। সে কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাইরের অনেক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কামরুজ্জামান হেলালও ছিলেন। আর সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টোকন ঠাকুর। কবিতা বিষয়ক আলাপচারিতায় দু'দিন বরাদ্দকৃত সময়ে অনেক অন্তরঙ্গ মুহহৃর্ত তিনি সুহূদদের সাল্পিম্নধ্যে কাটান। সেসব আলোচনায় অনেক প্রশ্ন-উত্তর পবরাউ অন্যান্য অংশগ্রহণকারীর মতো হেলালও অংশ নিতেন। তবে তার বেশির ভাগ তত্ত্বের উৎস ছিল 'নয়া দিগন্ত' কিংবা 'সংগ্রাম'। আমার মনে আছে, সৃষ্টিশীলতার চর্চায় ওইসব পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে হেলাল দাবি করলে তার প্রেক্ষিতে ওইসব পত্রিকার উদ্দেশে টোকন ঠাকুর বলেছিলেন, 'জামায়াতের প্রোডাকশন আর কতটা ক্রিয়েটিভ হবে, সে আমাদের জানা আছে।' তখন চুপ মেরে যাওয়া হেলালের পরর্বতী সময়ে পত্রিকার মাধ্যমে একজন সিনিয়র কবিকে অপদস্থ করার প্রক্রিয়া দেখে প্রশ্ন জাগে, দু'দিন কাছে পেয়েও যে হেলাল টোকন ঠাকুরকে তার কবিতা নিয়ে একটি প্রশ্নও তুললেন না সেই হেলাল কোন উদ্দেশ্যে পত্রিকায় চিঠি লেখেন?
ধন্যবাদ তানজীব-উল-আলম সেসব পত্র লেখকের আসল উদ্দেশ্য কালের খেয়ায় তুলে ধরার জন্য।
লেখার লিংক
শহীদ কাদরী ও তার প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরও যদি আলাদাভাবে বইগুলোর প্রকাশকাল ও তিনটি বই থেকে নির্বাচিত অন্তত তিনটি কবিতা পুনমর্দু্রিত হতো তাহলে মনে হয় সংখ্যাটা আরো পরিপূর্ণ হতো। তবুও কালের খেয়াকে ধন্যবাদ এ জন্য যে, কালের খেয়া সব সময় তার পাঠকের চাহিদাকে মূল্যায়ন করে। কালের খেয়া সম্পাদক আরো অগণিত পাঠকের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ থাকবেন; যদি তিনি অসুস্থ কবি শহীদ কাদরীর স্মৃতিকথা ও কবিতা বিষয়ক টিকা-টিপ্টপ্পনিগুলো উদ্ধারের (লেখিয়ে নেওয়ার) ব্যবস্থা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি বিভাগ হচ্ছে 'পাঠকের কলম'। সেখানে তানজীব-উল-আলমের চিঠি পড়ে মনে পড়ল বিগত এক সংখ্যায় সিলেটের কামরুজ্জামান হেলাল যে মন্তব্যগুলো করেছিলেন সুব্রত আগাসি্টন গোমেজ, টোকন ঠাকুর ও সাহিত্য পাতায় লেখা প্রকাশ নিয়ে তার প্রেক্ষিতে কিছু বলা দরকার। অবশ্য সুব্রত আগাসি্টন গোমেজ তার জবাব দিয়েছেন পরর্বতী সংখ্যায়। তাই আমি বলতে চাই টোকন ঠাকুর প্রসঙ্গে।
আমার মনে আছে, কয়েক মাস আগে সমকালের উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুহূদ সমাবেশ তিন দিনের একটি কর্মশলার আয়োজন করেছিল। সে কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাইরের অনেক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কামরুজ্জামান হেলালও ছিলেন। আর সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টোকন ঠাকুর। কবিতা বিষয়ক আলাপচারিতায় দু'দিন বরাদ্দকৃত সময়ে অনেক অন্তরঙ্গ মুহহৃর্ত তিনি সুহূদদের সাল্পিম্নধ্যে কাটান। সেসব আলোচনায় অনেক প্রশ্ন-উত্তর পবরাউ অন্যান্য অংশগ্রহণকারীর মতো হেলালও অংশ নিতেন। তবে তার বেশির ভাগ তত্ত্বের উৎস ছিল 'নয়া দিগন্ত' কিংবা 'সংগ্রাম'। আমার মনে আছে, সৃষ্টিশীলতার চর্চায় ওইসব পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে হেলাল দাবি করলে তার প্রেক্ষিতে ওইসব পত্রিকার উদ্দেশে টোকন ঠাকুর বলেছিলেন, 'জামায়াতের প্রোডাকশন আর কতটা ক্রিয়েটিভ হবে, সে আমাদের জানা আছে।' তখন চুপ মেরে যাওয়া হেলালের পরর্বতী সময়ে পত্রিকার মাধ্যমে একজন সিনিয়র কবিকে অপদস্থ করার প্রক্রিয়া দেখে প্রশ্ন জাগে, দু'দিন কাছে পেয়েও যে হেলাল টোকন ঠাকুরকে তার কবিতা নিয়ে একটি প্রশ্নও তুললেন না সেই হেলাল কোন উদ্দেশ্যে পত্রিকায় চিঠি লেখেন?
ধন্যবাদ তানজীব-উল-আলম সেসব পত্র লেখকের আসল উদ্দেশ্য কালের খেয়ায় তুলে ধরার জন্য।
লেখার লিংক
লেবেলসমূহ:
আলোচনা-সমালোচনা