এর দ্বারা পোস্ট করা
suMon azaD (সুমন আজাদ)
ধর্ম যখন মানুষের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তখন কল্যানের চেয়ে অকল্যানই বেশী ঘটে একটি জাতির জীবনে। তাই হয়ে এসেছে চীরকাল, ইতিহাস তাই বলে। অথচ কে না জানে, মানুষের জন্য ধর্ম এসেছিল, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। আজ যেনো মানুষ হয়ে গেছে গৌণ আর ধর্ম হয়ে উঠেছে মূখ্য এক শ্রেণীর মোল্লা-পুরোহিতদের কাছে। আর এই ধর্মের নামে তথাকথিত শরিয়ত এর খাতিরে নারী সমাজকে বলি হতে হচ্ছে মোল্লাতন্ত্র আর পুরোহিতের যাঁতাকলে।
ইসলাম ধর্মে নারীকে যতটা না অবরোদ্ধ রাখার প্রচেষ্ঠা করা হয়েছে, আর সকল ধর্ম মিলেও তার সমান হবে না।
ইসলামী দেশ এবং এর রীতিনীতির মধ্যে যা আসে তার মধ্যে পর্দাপ্রথা বা হিজাব অন্যতম।
আমাদের দেশ সাংবিধানিক ভাবে ধর্মীয় হলেও গণতান্ত্রিক শাষণ ব্যবস্থা বিদ্যমান। যেহেতু আমাদের দেশে এখনও কোরান ও সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থা চালু হয়নি, তাই নাগরিকরা কিছুটা ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে আসছেন এবং বিধর্মীরা একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন। কিন্তু কোরান ও সুন্নাহভিত্তিক শাষণ ব্যবস্থা চালুর জন্য মরিয়া কিছু উগ্র ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং এর অংগ সংগঠনগুলো ইসলামী বিভিন্ন কট্টরপন্থি নিয়মনীতি চালু করে দিয়েছে। তার মধ্যে হিজাব উল্লেখ্যযোগ্য। কারণ তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু নারী। কেনোনা তারা জানে একটি নারীকে বন্দী করতে পারলে পরিবারকে বন্দি করা সম্ভব। তাছাড়া, নারী জাতি সহনশীল এবং তুলনামুলকভাবে কম প্রতিবাদী হওয়ায় তাদেরকেই লক্ষবস্তুতে পরিণত করেছে উগ্র ইসলামী গুষ্ঠিগুলো। আর এর প্রভাব পড়েছি বাংলাদেশের সর্বত্র। কিন্তু একজন স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে আমি কখনোই এই আরোপিত হিজাব কে সমর্থ করতে পারি না।
বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জনের মত মুসলিম। স্বাভাবিক ভাবে জন্মগতভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হচ্ছে ইসলাম। নারী পুরুষের সংমিশ্রণে এই দেশ। আর নারী ও ইসলাম নিয়ে কথা উঠলেই কথা আসে পর্দাপ্রথার অর্থাৎ হিজাবের। ইসলামে নারী ও পুরুষ সবাইকে পোষাকের বিষয়ে নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু কাজ ভেদে, খেলাধূলার ধরন ভেদে, আবহাওয়া ও তাপমাত্রা ভেদে, ভৌগলিক অবস্থান ও অঞ্চল ভেদে, কখনো বা সময়ের প্রভাবে পোষাক যুক্তিসঙ্গত কারণেই পাল্টায়। যাতে ঐ বিশেষ সময়ে, বিশেষ অবস্থায় মানুষ তার ক্রিয়াকর্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু ইসলামে নারীর পোষাক সংক্রান্ত বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশ পোষাকের এই যৌক্তিক কার্যকারণগুলোকে মানে না। তাই এত বিতর্ক।
অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল মুসলিম নারীসমাজ এই অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য কোনো আন্দোলন বা প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুসলিম নারীদের মুক্তির সংগ্রামে এই পর্দাপ্রথা হয়ে উঠেছে প্রধান অন্তরায়। দাসত্বের এই প্রতীকের জন্য তারা ক্ষমাগত নিম্নমুখি হচ্ছে। পুরুষ আধিপত্যের শেকল ছিঁড়ে নিজ গৃহের বন্দিত্ব থেকেই মুক্তি পাচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে নারীরা এর বিরোধীতা করে নি তা নয়। মুসলিম রমণীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন এসব প্রথার বিরুদ্ধে। ১৯২৩ সালে মিশরে প্রথম একটি প্রতিবাদ হয়, মিশরের ফেমিনিস্ট ইউনিয়নের প্রধান মিজ হুদার নেতৃত্বে। তিনি ও তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাদের পর্দা ছুঁড়ে ফেলে দেন সমুদ্রে। তুরস্কে হিজাবের বিরুদ্ধে সরকার থেকে লড়াই শুরু হয় ১৯২৭ সালে। তখন কম্যুনিস্ট সরকার ছিল ক্ষমতায়। সেই সময় ৭,০০০ মহিলা প্রকাশ্যে তাদের হিজাব ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের সাথে শত্রুতা করার জন্য তাদের ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকের যে কট্টর আফগানিস্তান সেখানেও বাদশা শাহ এর সময় স্বাধীনতা উৎসবে, ১৯২৮ সালে পর্দাপ্রথার শেকল থেকে নারীকে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি তার স্ত্রীকে জনসম্মুখে পর্দা ছাড়া উপস্থিত হতে বলেছিলেন। পরে মুসলিম মৌলবাদীর ক্রমাগত প্রতিবাদের মুখে নারী মুক্তির সব ধরনের প্রকল্প তাকে বাদ দিতে হয়েছিল। ক্ষমতাও ছাড়তে হয় তাকে। ইরানের রেজা শাহ ১৯৩৬ সালে একটি বিশেষ আইন করে 'চাদর' পরা বন্ধের আদেশ দেন। কিন্তু সংস্কৃতির বিপক্ষে তার এই আদেশ জনপ্রিয়তা পায়নি এবং জনপ্রতিবাদের মুখে ১৯৪৬ সালে তিনি আবার তা পুনর্বহাল করেন।
পর্দা নারীর মুক্ত বিচরণকে রুদ্ধ করে দেয় এটি বলার অবকাশ রাখে না। যদিও মুসলিম রমণীদের অনেকে তাদের প্রয়োজনমত এসব নিয়মকানুনকে একটু মোচড়ে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করেন। কিন্তু খুব একটা সরব প্রতিবাদে তারা সহজে জড়াতে চান না সাধারণত পরিবার সমাজ ধর্ম এবং রাষ্ঠ্র আরোপিত শাস্তির ভয়ে। কিন্তু ‘হিজাবের’ অর্থ কেবল পোষাকের মাঝে জড়িত মনে করলে ভুল করা হবে। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরো অনেক নিয়ম-নীতি। যদি প্রশ্ন উঠে যে মুসলিম নারীর কি ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে? এর উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে তার নিজের বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে লুকিয়ে থাকাটাও হিজাবের বা পর্দা প্রথার অংশ।
এ বিষয়ে কোরানের সংশিস্নষ্ট আয়াত হচ্ছে ৩৩.৩৩: “And stay quietly in your houses, and make not a dazzling display, like that of the former Times of Ignorance; and establish regular Prayer, and give regular Charity; and obey Allah and His Messenger. And Allah only wishes to remove all abomination from you, ye members of the Family, and to make you pure and spotless.”
এই যে ঘরের মধ্যে নীরবে থাকার নির্দেশ; তা কোরানের। যারা ইসলামের সংশোধনে বিশ্বাসী এবং নিজেকে বিতর্কের বাহিরে রাখতে চান তারা এর সাথে আগের আয়াত যুক্ত করে একে চিহ্নিত করেন শুধুমাত্র নবীর স্ত্রীদের জন্য আদেশ বলে। যদিও নবীর কাজ এবং সম্মতি হাদিসের আওতায় পড়ে। যারা গোঁড়া/উগ্র মৌলবাদী কিংবা ইসলামী শাসন কায়েমে বিশ্বাসী তাদের মতে এই আদেশ সকল মুসলিম রমণীদের জন্য।
আজকের আধুনিক সমাজে যখন দেখি কোনো সম্প্রদায়ের যাবতীয় ধ্যান-ধারণা এবং চেতনা দিয়ে নারীকে পর্দা বা হিজাবের মধ্যে আবদ্ধ রাখার দলগত এবং ব্যক্তিগত চেষ্ঠায় লিপ্ত তখন অবাক এবং প্রতিবাদ না করে পারি না। এই একবিংশ শতাব্দিতে বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের বাংলাদেশে চলছে নারীকে হিজাবের আবরণে আবদ্ধ করার প্রচেষ্ঠা। পর্দাপ্রথা ও ইসলামের দোহাই দিয়ে নারীকে অবরোদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সময় এসেছে পর্দা ছুড়ে ফেলে, নিজের সমাজের কুসংস্কার ও অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস এর মোহ থেকে মুক্ত করে যুক্তি এবং বাস্তবতার আলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার। নারী দিবসে এই কামনা ব্যক্ত করছি।
ইসলাম ধর্মে নারীকে যতটা না অবরোদ্ধ রাখার প্রচেষ্ঠা করা হয়েছে, আর সকল ধর্ম মিলেও তার সমান হবে না।
ইসলামী দেশ এবং এর রীতিনীতির মধ্যে যা আসে তার মধ্যে পর্দাপ্রথা বা হিজাব অন্যতম।
আমাদের দেশ সাংবিধানিক ভাবে ধর্মীয় হলেও গণতান্ত্রিক শাষণ ব্যবস্থা বিদ্যমান। যেহেতু আমাদের দেশে এখনও কোরান ও সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থা চালু হয়নি, তাই নাগরিকরা কিছুটা ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে আসছেন এবং বিধর্মীরা একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন। কিন্তু কোরান ও সুন্নাহভিত্তিক শাষণ ব্যবস্থা চালুর জন্য মরিয়া কিছু উগ্র ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং এর অংগ সংগঠনগুলো ইসলামী বিভিন্ন কট্টরপন্থি নিয়মনীতি চালু করে দিয়েছে। তার মধ্যে হিজাব উল্লেখ্যযোগ্য। কারণ তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু নারী। কেনোনা তারা জানে একটি নারীকে বন্দী করতে পারলে পরিবারকে বন্দি করা সম্ভব। তাছাড়া, নারী জাতি সহনশীল এবং তুলনামুলকভাবে কম প্রতিবাদী হওয়ায় তাদেরকেই লক্ষবস্তুতে পরিণত করেছে উগ্র ইসলামী গুষ্ঠিগুলো। আর এর প্রভাব পড়েছি বাংলাদেশের সর্বত্র। কিন্তু একজন স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে আমি কখনোই এই আরোপিত হিজাব কে সমর্থ করতে পারি না।
বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জনের মত মুসলিম। স্বাভাবিক ভাবে জন্মগতভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হচ্ছে ইসলাম। নারী পুরুষের সংমিশ্রণে এই দেশ। আর নারী ও ইসলাম নিয়ে কথা উঠলেই কথা আসে পর্দাপ্রথার অর্থাৎ হিজাবের। ইসলামে নারী ও পুরুষ সবাইকে পোষাকের বিষয়ে নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু কাজ ভেদে, খেলাধূলার ধরন ভেদে, আবহাওয়া ও তাপমাত্রা ভেদে, ভৌগলিক অবস্থান ও অঞ্চল ভেদে, কখনো বা সময়ের প্রভাবে পোষাক যুক্তিসঙ্গত কারণেই পাল্টায়। যাতে ঐ বিশেষ সময়ে, বিশেষ অবস্থায় মানুষ তার ক্রিয়াকর্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু ইসলামে নারীর পোষাক সংক্রান্ত বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশ পোষাকের এই যৌক্তিক কার্যকারণগুলোকে মানে না। তাই এত বিতর্ক।
অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল মুসলিম নারীসমাজ এই অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য কোনো আন্দোলন বা প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুসলিম নারীদের মুক্তির সংগ্রামে এই পর্দাপ্রথা হয়ে উঠেছে প্রধান অন্তরায়। দাসত্বের এই প্রতীকের জন্য তারা ক্ষমাগত নিম্নমুখি হচ্ছে। পুরুষ আধিপত্যের শেকল ছিঁড়ে নিজ গৃহের বন্দিত্ব থেকেই মুক্তি পাচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে নারীরা এর বিরোধীতা করে নি তা নয়। মুসলিম রমণীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন এসব প্রথার বিরুদ্ধে। ১৯২৩ সালে মিশরে প্রথম একটি প্রতিবাদ হয়, মিশরের ফেমিনিস্ট ইউনিয়নের প্রধান মিজ হুদার নেতৃত্বে। তিনি ও তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাদের পর্দা ছুঁড়ে ফেলে দেন সমুদ্রে। তুরস্কে হিজাবের বিরুদ্ধে সরকার থেকে লড়াই শুরু হয় ১৯২৭ সালে। তখন কম্যুনিস্ট সরকার ছিল ক্ষমতায়। সেই সময় ৭,০০০ মহিলা প্রকাশ্যে তাদের হিজাব ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের সাথে শত্রুতা করার জন্য তাদের ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকের যে কট্টর আফগানিস্তান সেখানেও বাদশা শাহ এর সময় স্বাধীনতা উৎসবে, ১৯২৮ সালে পর্দাপ্রথার শেকল থেকে নারীকে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি তার স্ত্রীকে জনসম্মুখে পর্দা ছাড়া উপস্থিত হতে বলেছিলেন। পরে মুসলিম মৌলবাদীর ক্রমাগত প্রতিবাদের মুখে নারী মুক্তির সব ধরনের প্রকল্প তাকে বাদ দিতে হয়েছিল। ক্ষমতাও ছাড়তে হয় তাকে। ইরানের রেজা শাহ ১৯৩৬ সালে একটি বিশেষ আইন করে 'চাদর' পরা বন্ধের আদেশ দেন। কিন্তু সংস্কৃতির বিপক্ষে তার এই আদেশ জনপ্রিয়তা পায়নি এবং জনপ্রতিবাদের মুখে ১৯৪৬ সালে তিনি আবার তা পুনর্বহাল করেন।
পর্দা নারীর মুক্ত বিচরণকে রুদ্ধ করে দেয় এটি বলার অবকাশ রাখে না। যদিও মুসলিম রমণীদের অনেকে তাদের প্রয়োজনমত এসব নিয়মকানুনকে একটু মোচড়ে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করেন। কিন্তু খুব একটা সরব প্রতিবাদে তারা সহজে জড়াতে চান না সাধারণত পরিবার সমাজ ধর্ম এবং রাষ্ঠ্র আরোপিত শাস্তির ভয়ে। কিন্তু ‘হিজাবের’ অর্থ কেবল পোষাকের মাঝে জড়িত মনে করলে ভুল করা হবে। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরো অনেক নিয়ম-নীতি। যদি প্রশ্ন উঠে যে মুসলিম নারীর কি ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে? এর উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে তার নিজের বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে লুকিয়ে থাকাটাও হিজাবের বা পর্দা প্রথার অংশ।
এ বিষয়ে কোরানের সংশিস্নষ্ট আয়াত হচ্ছে ৩৩.৩৩: “And stay quietly in your houses, and make not a dazzling display, like that of the former Times of Ignorance; and establish regular Prayer, and give regular Charity; and obey Allah and His Messenger. And Allah only wishes to remove all abomination from you, ye members of the Family, and to make you pure and spotless.”
এই যে ঘরের মধ্যে নীরবে থাকার নির্দেশ; তা কোরানের। যারা ইসলামের সংশোধনে বিশ্বাসী এবং নিজেকে বিতর্কের বাহিরে রাখতে চান তারা এর সাথে আগের আয়াত যুক্ত করে একে চিহ্নিত করেন শুধুমাত্র নবীর স্ত্রীদের জন্য আদেশ বলে। যদিও নবীর কাজ এবং সম্মতি হাদিসের আওতায় পড়ে। যারা গোঁড়া/উগ্র মৌলবাদী কিংবা ইসলামী শাসন কায়েমে বিশ্বাসী তাদের মতে এই আদেশ সকল মুসলিম রমণীদের জন্য।
আজকের আধুনিক সমাজে যখন দেখি কোনো সম্প্রদায়ের যাবতীয় ধ্যান-ধারণা এবং চেতনা দিয়ে নারীকে পর্দা বা হিজাবের মধ্যে আবদ্ধ রাখার দলগত এবং ব্যক্তিগত চেষ্ঠায় লিপ্ত তখন অবাক এবং প্রতিবাদ না করে পারি না। এই একবিংশ শতাব্দিতে বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের বাংলাদেশে চলছে নারীকে হিজাবের আবরণে আবদ্ধ করার প্রচেষ্ঠা। পর্দাপ্রথা ও ইসলামের দোহাই দিয়ে নারীকে অবরোদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সময় এসেছে পর্দা ছুড়ে ফেলে, নিজের সমাজের কুসংস্কার ও অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস এর মোহ থেকে মুক্ত করে যুক্তি এবং বাস্তবতার আলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার। নারী দিবসে এই কামনা ব্যক্ত করছি।
লেবেলসমূহ:
নির্বাচিত কলাম